অবশেষে সাপ পালক বালকটি সাপের ছোবলে মারা গেল। তার মৃত্যুতে তার মায়ের কান্না দেখে আমার সাপ পালক হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু! সেই স্বপ্ন পুরনের লক্ষ্যে বাজার থেকে সাপও কিনে আনলাম, সাথে দুধ -কলা। সেই থেকে দুধ-কলা খাইয়ে আমি সাপ পালছি।
আমার সাপ পালার ব্যাপারটা আমার মা মেনে নিতে পারছেন না। আমার মা খুব কান্নাকাটি করেন, এসব তার কাছে পাগলামি লাগে।
মা মনে করেন এসব পাগলামির জন্য জীন ভুত দায়ী। তাই তাদের তাড়াতে মাঝেমাঝে বাড়িতে পীর ফকিদের আসর বসে। আমি আবার পীর ফকিরদের খুব ভক্ত। কারণ তাদের কাজকারবার আমারে খুব বিনোদিত করে। এতসব করে যখন মা আমার পাগলামি ছাড়াতে পারেনা, তখন সামনে বিরক্ত হয়ে বলে আমার মৃত্যু নাকি সাপের ছোবলে হবে! আর পিছনে দাদীকে গিয়ে ধন্যা দেন যেন দাদী এসে যেন আমারে বলেন এসব পাগলামি ছেড়ে দিতে।
অথচ আমার মৃত্যু কেমনে হবে সেটা অনেক আগেই একজন ঠিক করে রেখেছে। সে ছিল আমার বিজনেস পাটনার। আমরা একসাথে পাতার ব্যবসা করতাম। সে পাতা কুড়াত আমি সেটা ঝুড়িতে ভরে বাজারে নিয়ে বিক্রি করতাম! পাতা বিক্রি করা টাকা দিয়ে আমি কিনতাম ফড়িঙ, রংধনু আর অচিন দেশ থেকে উড়ে আশা তুলা। আর সে কিনত বিষ।
বিষ কিনে জমিয়ে রাখতো একটা টিনের ট্যাঙ্কে। আমাকে প্রতিদিন একবার করে মনে করিয়ে দিত তার টিনের ট্যাঙ্কে জমানো বিষে আমার মরন হবে।
একদিন ঘুম থেকে উঠে ঘরের দরজা খুলে দেখলাম একটা চিরকুট দরজার সমানে ফেলা। চিরকুটটা আমার বিজনেস পাটনারের লেখা। সে লিখেছে – সে তুলার সাথে অচিন দেশে উড়াল দিয়েছে, সাথে করে টিনের ট্যাঙ্কটি নিয়ে গেল।
আমি যেন ফড়িঙ আর রংধনু নিয়ে বাকিটা জীবন কাটিয়ে দেই।
ফড়িঙ আর রংধনু নিয়ে বাকিটা জীবন কাটিয়ে দিতে আমার কোন আপত্তি নাই, যদি আমার মরণ হয় বিষে। সে বিষ সাপের হউক আর টিনের ট্যাঙ্কে জমানো বিষ হউক। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।