আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পিচ্চিগপ -ধর্মানুভূতি



ইদানীং মুমিন সাহেব খুব পেরেশানের মধ্যে আছেন। কারণ উনি বেশ কিছুদিন হয় উনার ধর্মানুভূতি খুঁজে পাচ্ছেন না। ধর্মানুভূতি খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে পড়ার পরে বাধ্য হয়ে এলাকার বড় হুজুরের কাছে গেলেন। হুজুর সব শুনে বললেন আপনাকে প্রথমে তওবা করতে হবে, তারপর আমি একটা তাবিজ দিব সেটা ভিজিয়ে প্রতিদিন তিন গ্লাস পানি খাবেন। এভাবে সাতদিন খাওয়ার পর তিনটা ছাগল নিয়ে মাজারে এসে শিন্নি দিতে হবে।

ছাগলের রঙ কালো হতে হবে, অন্য কোন রঙ হলে হবেনা। মুমিন সাহেব হুজুরের নির্দেশনা তিলেতিলে পালন করলেন। কিন্তু ফলাফল শূন্য, মানে উনি উনার ধর্মানুভূতি খুঁজে পেলেন না। না পেয়ে তিনি আরও বেশি দিশেহারা হয়ে উঠলেন। ভাবতে লাগলেন এই জীবনের কোন মানে নাই, এই বেঁচে থাকার কোন মানে নাই যে জীবনে ধর্মানুভূতি নেই।

আমাকে যে কোন মূল্যে আমার ধর্মানুভূতি ফিরিয়ে আনতে হবে। অবশেষে কাছের বন্ধু ইউসুফ সাহেবের পরামর্শে উনি ডাক্তারের কাছে গেলেন। ডাক্তার সব শুনে বললেন আপনাকে আপাতত তেমন কোন মেডিসিন দিচ্ছিনা, এই এই টেস্টগুলা যত তাড়াতাড়ি করতে হবে। টেস্ট করিয়ে রিপোর্ট নিয়ে আসেন সেগুলা দেখে আপনাকে প্রেসক্রাইব করবো। উনি ডাক্তারের কথামত টেস্ট করিয়ে রিপোর্ট নিয়ে আবার ডাক্তারের কাছে গেলেন।

ডাক্তার রিপোর্ট দেখে উনি চোখ কপালে তূলে বললেন – আপনাকে অতিসত্বর অপারেশন করতে হবে অন্যতায় আপনার ধর্মানুভূতি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবেনা। এমনও হতে পারে আপনে বাকী জীবনের জন্য ধর্মানুভূতিহীন হয়ে যেতে পারেনন। এসব শুনে মুমিন সাহেব আপারেশনে রাজী হলেন এবং উনার অপারেশন সাকসেসফুল হল। আপারেশন করে উনার শরীরের ভিতরে একটা উইপোকা পাওয়া গেল। যে উইপোকায় উনার ধর্মানুভূতি আয়েশ করে খাচ্ছিল, খেতে খেতে প্রায় শেষ করে ফেলেছিল।

ডাক্তার সাহেবের কথামত অপারেশন না করলে উনার সব ধর্মানুভূতি ঘুণে পরিণত হতে আর তেমন বাকী ছিলনা। ডাক্তার মুমিন সাহেবকে কড়া এন্টিবায়োটিক দিয়েছেন, সাথে সকাল বিকেল এক্সারসাইজ। মুমিন সাহেব শাহবাগের সবচেয়ে বড় ফার্মেসি থেকে এন্টিবায়োটিক কিনে এনেছেন। তিনি এখন নিয়ম করে এন্টিবায়োটিক খাচ্ছেন সাথে সকাল বিকেল এক্সারসাইজ করছেন উনার ঘুণ হয়ে যাওয়া ধর্মানুভূতি ফিরিয়ে আনার জন্য। মুমিন সাহেব এখন খুব খুশি এবং রিলাক্সড এবং আশাবাদী।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।