রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘দো‘আ হ’ল ইবাদত’।
[ তিরমিযী, আবুদাঊদ প্রভৃতি, মিশকাত হা/২২৩০ ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, পরিচ্ছেদ-২। ]
আল্লাহ বলেন,
‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব। যারা অহংকার বশে আমার ইবাদত হ’তে বিমুখ হয়, সত্বর তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে লাঞ্ছিত অবস্থায়’। এখানে ‘ইবাদত’ অর্থ দো‘আ।
[ গাফের/মুমিন ৪০/৬০; ‘আওনুল মা‘বূদ হা/১৪৬৬-এর ব্যাখ্যা, ‘দো‘আ’ অনুচ্ছেদ-৩৫২। ]
আল্লাহ আরও বলেন,
‘আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে আমার বিষয়ে জিজ্ঞেস করে, তখন বলে দাও যে, আমি তাদের অতীব নিকটবর্তী। আমি আহবানকারীর আহবানে সাড়া দিয়ে থাকি, যখন সে আমাকে আহবান করে। অতএব তারা যেন আমার আদেশ সমূহ পালন করে এবং আমার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস পোষণ করে। যাতে তারা সুপথ প্রাপ্ত হয়’ (বাক্বারাহ ২/১৮৬)।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মহান আল্লাহকে ডাকে না, তিনি তার উপরে ক্রুদ্ধ হন’।
[ ইবনু মাজাহ হা/৩৮২৭ ‘দো‘আ’ অধ্যায়-৩৪, ‘দো‘আর মর্যাদা’ অনুচ্ছেদ-১। ]
তিনি বলেন, ‘মহান আল্লাহর নিকট দো‘আর চাইতে অধিক মর্যাদাপূর্ণ বিষয় আর কিছু নেই’।
[ তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, হাদীছ হাসান, মিশকাত হা/২২৩২, ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, পরিচ্ছেদ-২। ]
দো‘আর ফযীলত :
হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন,
‘মুসলমান যখন অন্য কোন মুসলমানের জন্য দো‘আ করে, যার মধ্যে কোনরূপ গোনাহ বা আত্মীয়তা ছিন্ন করার কথা থাকে না, আল্লাহ পাক উক্ত দো‘আর বিনিময়ে তাকে তিনটির যেকোন একটি দান করে থাকেন।
(১) তার দো‘আ দ্রুত কবুল করেন
অথবা
(২) তার প্রতিদান আখেরাতে প্রদান করার জন্য রেখে দেন
অথবা
(৩) তার থেকে অনুরূপ আরেকটি কষ্ট দূর করে দেন। , একথা শুনে ছাহাবীগণ উৎসাহিত হয়ে বললেন, তাহ’লে আমরা বেশী বেশী দো‘আ করব।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, আল্লাহ তার চাইতে আরও বেশী দো‘আ কবুলকারী’।
[আহমাদ, হাকেম, মিশকাত হা/২২৫৯ ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯; সনদ হাসান -আলবানী; হাদীছ ছহীহ, আহমাদ হাসান দেহলভী, তানক্বীহুর রুওয়াত ফী তাখরীজি আহাদীছিল মিশকাত (লাহোর: দারুদ দা‘ওয়াতিস সালাফিইয়াহ, ১৯৮৩), ২/৬৯ পৃঃ। ]
এজন্য সর্বদা পরস্পরের নিকট দো‘আ চাইতে হবে।
চলবে ......। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।