রাসুল সাঃ তবুকের যুদ্ধে যখন সবার কাছ থেকে মালের কোরবানি চাইলেন, আবু বকর রাঃ তাঁর সমস্ত মাল রাসুল সাঃ এর খেদমতে হাজির করেন । ওমর রাঃ তাঁর সমস্ত মালের এক তৃতীয়াংশ জমা করেন। উল্লেখ্য যে ওমর রাঃ এর এক তৃতীয়াংশ সম্পদ আবু বকর রাঃ এর সমস্ত সম্পদের চেয়ে বেশী ছিল।
তা সত্ত্বেও রাসুল সাঃ এর চোখে আবু বকর রাঃ ই বড় দাতা সাব্যস্ত হন। সুতরাং দাতা হবার জন্য বড়লোক হওয়া জরুরী নয়।
যে কারনে আবু বকর রাঃ অল্প সম্পদ দিয়ে বড় দাতা, একই কারনে সাদাসিদা গরীবী হালতে চলে রাসূল সাঃ সবচেয়ে বড় দাতা আল্লাহর পরে।
গরীব হওয়া কোন অপমান বা লজ্জার বিষয় নয় । কিন্তু রাজারবাগী পীরের কাছে গরীব হওয়া অপমানের। রাসুল সাল্লুল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম কে বড়লোক বানিয়ে উনি নিজের অবৈধ সম্পদের (ইহুদী ডোনেশন ও মুরিদদের পকেট কাটা) পাহাড়কে জায়েজ বানানোর ধান্দায় আছেন।
হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত।
তিনি বলেন, আল্লাহ পাক-উনার হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা কি জানো, সর্বাধিক দানশীল কে? হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ বললেন, আল্লাহ পাক এবং উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই অধিক জ্ঞাত। তিনি বলেন, সর্বাধিক দাতা হচ্ছেন আল্লাহ পাক, অতঃপর বণী আদমের মধ্যে আমিই সর্বাধিক দাতা। ” (বুখারী) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।