বিশ্বটাকে সুন্দর করে সাজানোর জন্যই এত কথা বলি.. । ১) হঠাৎ সকালের আলো...
কলেজ থেকে শিক্ষা সফরে যা্ওয়া হল সুন্দরবন, খুলনা । ৫ দিনের ভ্রমন,যত দুস্ট,শিষ্ট আর ভদ্র বন্ধুরা সবাই এক বাসে!
রাতের বেলা চার বন্ধু হোটেলের এক রুমে থাকার বন্দোবস্থ হল। যাকে নিয়ে ঘটনা তার সর্ম্পকে একটু বর্নণা করি
-নাম সজিব,লম্বা,দেখতে সুন্দর তবে বোম ফাটার আগেয় দৌড়ে পালানোর মত সাহস!
তো সবাই রাতে বাইরে আনন্দ করছে,নাচানাচি করছে কিন্তু এই বেচারা তখন নাক ডেকে ঘুমায়!
আনন্দ মজা করে রুমে আসা হল রাত ২ টাই! এসে দেখি এইটা ঘুমে! ..হাইরে বেচারা স্যারেরা তোকে খুজলো আর এখানে তুই মজা করে ঘুমাস! দুষ্ট বুদ্ধি চাপল মাথায় বন্ধু জুয়েলের, সবাই রেডি হয়ে সবার ঘড়ির কাটা এগিয়ে আনল সকাল ৫টাই! আর সবার কাধে তোয়ালে,কেউ মুখ মুছছে কেউ ব্রাশ হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে!
সবার মাঝে একটা তাড়াহুড়া! ডাকতে লাগল সজিব কে--
-সজিব এই সজিব ওই তাড়াতাড়ি উঠ! সকাল হয়ে সবাই বের হয়ে গেছে বাইরে গাড়ী চলে আসছে,স্যারেরা ডাকাডাকি করছে,তাড়াতাড়ি উঠ
--আরে মাত্র ঘুমাইছি! এত তাড়াতাড়ি সকাল হয় নাকি যা ফাজলামু করিস না!
(এইটার আবার বেশি ঘুমের অভ্যাস )
তখন সবাই তাদের ঘড়ি দেখাল
-এই দেখ কয়টা বাজে,সবাই রেডি দেখ চেয়ে!
সে দেখে সবাই গামছা নিয়ে রেডি!
দুই বন্ধু বাথরুমে কে আগে যাবে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু করছে!
এই সব দেখে সে এক লাফে বিছানা থেকে উঠে গামছা নিয়ে প্রতিযোগীতার মাঝখান দিয়ে বাথরুমে ঢুকে যায়! পাছে আবার বাস ফেল করে !
গোসল শেষ করে এসে দেখে সবাই বিছানায়! ব্যপক ঘুমে টাল ,আর তার ঘড়িতে বাজে রাত ২.৪৫ মিনিট
২) মেয়ে ভীতু---
আমার আর এক বন্ধু ছোট থেকে মেয়েদেরকে ভয় পেত! সব সময় মায়ের কাছে থাকতো,তাকে নিয়ে ঘুরতে বের হলে দেখা যেত আমাদেরকে তার বাসায় গিয়ে তাকে বাইরে বের করতে হত। কারন অন্য কারো সাথে বের হত না!
কলেজে পড়ার সময় তার হাতে প্রথম মোবাইল আসল।
তখন মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি চাপল! আমার এক আন্টিকে ফিটিং দিলাম যেন তাকে মোবাইলে ডিস্টার্ব করে আর সুন্দর সুন্দর কথা বলে যাতে তার মেয়ে ভীতি আর লজ্জা কাটে
ওমা কিন্তু একি !
ফোনে মেয়ে কন্ঠের আওয়াজের কিছু কথা শুনেয় ফোন দিয়ে দেয় তার মায়ের কাছে!
হাইরে ভয় তাড়াতাড়ি আমাকে ফোন দেয়''
-দোস্ত একটা মেয়ে আমাকে ফোন দিয়ে আমার সর্ম্পকে সব বলে দিয়েছে,বলেছে কাল যদি দেখা না করি তাহলে আমার বাসায় এসে ধরে নিয়ে যাবে!
--তো তুই কি বললি?
-আমি ভয়ে ফোন মাকে দিয়ে দিছি !
আমিতো পুরা টাসকি খাই,হাইরে বেচারা এত ভয়।
(এখন অবশ্য উন্নতি করছে)
৩)প্যাকের নামতা--
আমার বন্ধু "পরাগ" ছোট থেকে কবিদের মত কবিতা লেখে। কিন্তু বিষয় কবিতা না।
সে আবার মন ভুলা+খামখেয়ালী।
ছোট থেকেয় স্কুল হোস্টেলে থাকত আর স্যারদের হাতে মার খাওয়া ছিল প্রায় নিয়মিত ঘটনা!
তো সে ভর্তি পরীক্ষার জন্য ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে গেল এবং হলে উঠল পরীক্ষার আগের দিন রাতে।
হল গুলোতে বড় ভায়েরা রাতের বেলা ছাত্রদেরকে রেগ করে এটা ওর জানা ছিল না! তাই সে রাতের বেলা একা একা ঘুরছিল আর দেখছিল।
হঠাৎ কয়েকজন বড় ভাই তাকে ডাকলে সে তাদের কাছে যাওয়ার পর নাম,পরিচয় জানতে চাইলো! সে সব বললো...
তারপর যা হওয়ার!
বড় ভায়েরা তাকে ১ থেকে ৩ এর ঘরের নামতা বলতে বললো! সে ভাবলো বড় ভায়েরা তাকে ভর্তির জন্য সাজেশন দিবে তাই সে অনেক আগ্রহ নিয়ে নামতা বললো
তখন এক বড় ভাই বললো"'আচ্ছা এবার প্যাকের নামতা বল?""
বন্ধুতো আমার আকাশ থেকে পড়ে!
- প্যাকের নামতা!
--কেন তোমাদের স্কুলে প্যাকের নামতা পড়াইনি?
-না তো ভাই,
--কান ধর ব্যাটা প্যাকের নামতা পারছ না ঢাকা ভার্সিটিতে ভর্তি হইতে আসছস
বন্ধু আমার ভয়ে জান যায় অবস্থা! কাদতে কাদতে বললো''ভাই আমাকে প্যাকের নামতাটা শিখিয়ে দেন
বড় ভায়েরা তখন তাকে প্যাকের নামতা শিখালো;;;;;
প্যাক একে প্যাক..
প্যাক দুকনে প্যাক প্যাক
তিন প্যাকে প্যাক প্যাক প্যাক
চার প্যাকে প্যাক প্যাক প্যাক প্যাক
পাচ প্যাকে প্যাক প্যাক প্যাক প্যাক প্যাক
** ভাই-বোনেরা কেউ কিন্তু বলে দিয়েন না যে আমি তাদের বোকামীর কথা গুলো আপনাদের বলে দিছি।
লেখা পুর্বে প্রকাশীত অন্য ব্লগে) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।