অহন থিক্কা সব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি খালিক্ব মালিক রব হিসেবে একক মর্যাদা মুবারক উনার অধিকারী। আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মাখলূকাতের মধ্যে একক মর্যাদা মুবারক উনার অধিকারী। মহান আল্লাহ পাক উনার সমকক্ষ যেমন কেউ নেই, তেমনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারও সমকক্ষ সৃষ্টিরাজীর মধ্যে কেউ নেই। যেমন ‘ছহীহ বুখারী শরীফ’ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি তোমাদের কারো মতো নই।
” আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদের মধ্যে কে আছ আমার মতো? আমি মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে রাত্রি যাপন করি, তিনিই আমাকে খাওয়ান এবং তিনিই আমাকে পান করান। ”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাধারণত মানুষ খাদ্য-পানীয় খেলে তা ইস্তিঞ্জার ছূরতে বের হয়। কিন্তু নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খাদ্য-পানীয় হিসেবে যা কিছু গ্রহণ করেন সবকিছু নূর মুবারক-এ পরিণত হয় এবং নূর মুবারক হিসেবে তাশরীফ রেখেছেন। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জিসিম মুবারক উনার বাইরে ও ভিতরে অবস্থিত সবকিছুই এমন পূত-পবিত্র যে, উক্ত পূত-পবিত্র নিয়ামত মুবারক থেকে যৎসামান্য যিনি গ্রহণ করেছেন তিনিও পবিত্র হয়ে গেছেন। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জিসিম মুবারক উনার সমস্ত কিছুই পবিত্র থেকে পবিত্রতম।
উনার সুমহান শান মুবারক উনার মধ্যে কোনো ধরনের নাপাকীর কল্পনা করাটাও ঈমান নষ্ট হয়ে চিরজাহান্নামী হওয়ার কারণ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘ইস্তিঞ্জা’ শব্দের একটি অর্থ হচ্ছে মল-মূত্র ত্যাগ করা। আরেকটি অর্থ হচ্ছে নাজাত তলব করা। এ দুটি অর্থই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শান মুবারকে ব্যবহার করা চরম বেয়াদবি ও সম্মানহানিকর। কেননা সাধারণভাবে মল-মূত্র হচ্ছে নাপাক; অথচ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জিসিম মুবারক উনার মধ্যে অবস্থিত সবকিছুই পাক ও পবিত্রতম।
আর সমস্ত কিছুই উনার উসীলায় নাজাত তলব করে এবং উনার উসীলায় নাজাত লাভ করার কথা বর্ণিত রয়েছে। কাজেই উনার শান মুবারকে নাজাত তলব করার প্রশ্নই আসতে পারে না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যেসব শব্দ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক উনার খিলাফ, তা উনার শান মুবারকে ব্যবহার না করে উনার শানসম্মত শব্দ ব্যবহার করাটাই হচ্ছে সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার নির্দেশ মুবারক। এ প্রসঙ্গে পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ উনার ১০৪ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ভালো-মন্দ উভয় অর্থ দানকারী ‘রায়িনা’ শব্দের পরিবর্তে কেবলমাত্র ভালো অর্থ দানকারী ‘উংযুরনা’ শব্দটি উনার শান মুবারকে ব্যবহার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন- নূরে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহান শান মুবারক উনার প্রতি খেয়াল রেখে উনার পবিত্র শান মুবারকে সর্বাধিক উত্তম শব্দ ব্যবহার করতে হবে।
কারণ, উনার সুমহান শান বা মর্যাদা মুবারক উনার সামান্যতম ত্রুটি হলে ঈমান নষ্ট হয়ে চিরজাহান্নামী হতে হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে ‘ইস্তিঞ্জা’ শব্দটি ব্যবহার না করে বরং মানুষেরা নিজেদের ব্যাপারে যেটাকে ছোট ইস্তিঞ্জা বলে থাকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে সেটা ‘নূরুশ শিফা মুবারক’ বলাটাই আদব হবে এবং মানুষেরা নিজেদের ব্যাপারে যেটাকে বড় ইস্তিঞ্জা বলে থাকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে সেটা ‘নূরুল গইব মুবারক’ বলাটাই আদব হবে। যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, একদা হযরত উম্মু আয়মান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জিসিম মুবারক হতে পানির ছুরতে নির্গত নূর মুবারক পান করেন। তখন তিনি ইরশাদ মুবারক করেন যে, আপনি আর কখনোই পেটের রোগে আক্রান্ত হবেন না। সুবহানাল্লাহ! অপর এক পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বর্ণনা মুবারক করেন, একদা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জিসম মুবারক থেকে নুরুল গাইব যখন যমীনে মুবারক তাশরীফ রাখেন অতঃপর যখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হুজরা শরীফ তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন, তখন আমি সেখানে প্রবেশ করে কোনোকিছুর আলামত না পেয়ে শুধু সুঘ্রাণ মুবারক লাভ করি তখন উনাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করি।
তিনি ইরশাদ মুবারক করেন যে, হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের জিসিম মুবারক হতে নির্গত প্রতিটি বিষয় মাটিতে পৌঁছামাত্র মাটি উনাদেরকে গায়েব করে দেয় বা গিলে ফেলে। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কাজেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ইস্তিঞ্জা শব্দ ব্যবহার না করে ‘নূরুশ শিফা’ এবং ‘নূরুল গইব’ শব্দ মুবারকদ্বয় ব্যবহার করাটাই আদব ও সম্মানের অন্তর্ভুক্ত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।