..............জানেত চাই জানাতে চাই.................. রাত দশটা বাজে...সন্ধার সময় যে ইফতারটা করেছিলাম তা থেকে গ্লুকোজ কণা,অক্সিজেন,কার্বন ডাই অক্সাইড, পানি ও শক্তি হয়ে ইতোমধ্যে তাদের স্ব-স্ব জাযগায় চলে গেছে....তাই আমার দেহের চব্বিশ নম্বর গুদাম একটু একটু করে জানান দিচ্ছে যে গুদামে মালামাল শর্ট পড়ে গেছে দ্রুত আপলোড করতে হবে !! কিন্তু এদিকে আমার খাদ্যমন্ত্রী আসে নাই । শত অনুনয়-বিনয় করেও রাত সাড়ে নয়টা বেজে যাওয়াতে তাকে আনতে পারেনি । আমার বিশ্বাস খাদ্যমন্ত্রীকে যে অনুনয়-বিনয় করেছি তা নারীকুলের অন্য কাউকে করিলে নিশ্চিত হাজির হইতো । অথচ আমার খাদ্য মন্ত্রীর দয়া হইল না !!যা হোক, প্রোডাকশান রুমে যাওয়াটা কোন এক বিচিত্র কারণে আমার চরম অপছন্দ । কেন জানি যেতে ইচ্ছে করেনা !! কিন্তু গুদাম ঘর যে ভাবে চেচামেঁচি শুরু করছে এই মুহুর্ত্এ খাবার আপলোড না দিলে সারারাত ঘুমাতে দিবেনা ।
নিরুপায় হয়ে আমার সবচেয়ে অপছন্দের রেসিপি যা আম্মাজান আমার ২৯ বৎসরের জীবনেও খাওয়াতে পারেনি তা তৈরি সহজ হবে বলে নির্বাচন করলাম । দোকান থেকে হাফকেজি দুধ আনলাম । রুমে দুটা কলা আছে, সামান্য ভাত রান্না করে দুধ,কলা,ভাত দিয়ে গুদাম ঘর পূর্ণ করার মনস্থির করলাম !! ভাত রান্না করতে হয় আমার আরেক সমস্যা !! যতক্ষন না আমার দন্তসকল বলে যে এখন যা হয়েছে তা গুদামঘরে চালানযোগ্য ততক্ষন আমার চিবানোও চলতে থাকে । আজও তাই চলতে থাকলো । অবশেষে দন্ত সকল বলিল যে, তোমার তৈরিকৃত বস্তুটি এখন গুদামঘরে চালানযোগ্য!! তাই ওটাকে উঠালাম ।
কথায় আছে, ভাগ্যে না থাকিলে নাকি হাতের সামনে থেকেও নিশ্চিত বস্তু দুরে চলে যায় !! আমি যথাসাধ্য যতনে ধরে ভাতের পাতিলটা মাড় সরানোর জন্য থ্রি-ষ্ট্যান্ড এর উপর বসালাম । কিন্তু সদ্য বৃষ্টিতে প্লাবিত হওয়া কোন বাঁধের উপর দিয়া যেভাবে পানি উপচে আসে আমার পাতিলের ভিতর থেকে সেই ভাবে গরম পানি বের হতে থাকলো !! আর আমি তখন ভাতের আগে হাত বাচাঁনোটাকেই শ্রেয় মনে করলাম! তাই পাতিলের ঢাকনা থেকে হাঁত দুটো ছেড়ে দিলাম । সাথে সাথেই বন্যার পানির সাথে বর্ষার স্ব-প্রাণ মাছগুলি যেমন লাফাইয়া লাফাইয়া চতুদিকে ছড়াইয়া পরে আমার পাতিলের ভাতগুলোও তাই করিল!! আমি তাঁকিয়ে তাকিঁয়ে দেখিলাম আর বলিলাম.!!” হে গুদাম ঘর!! আমি সর্বচ্চ চেষ্টা করেছি কিন্তু উপরওয়ালা হয়তো চায়না তোমার গুদামে আজ খাদ্য পড়ুক তাই ফিরিয়া আসিলাম!! আমাকে তুমি ক্ষমা করিও!!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।