সম্পাদনা করি আমিরাত-বাংলা মাসিক মুকুল। ভালবাসি মা, মাটি ও মানুষকে.. কাঁচা চানা সাথে পাতলা খিচুড়ি আর একসাথে সবাই বসে আছেন। চতুর্দিক থেকেই কানে ভেসে আসছে বাংলা বর্ণমালা। বিদেশেও দেশী আমেজে এভাবেই প্রতিদিন ইফতার করেন বাংলাদেশীরা। আরব আমিরাতের দুবাইস্থ বাংলা বাজারে ইফতারের সময় তৈরী হয় এক আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ।
অনেকের কাছেই লাগে যেন দেশের কোন আঞ্চলিক বাজারে বসে আছেন। তাই দেশ থেকে আসা নতুন প্রবাসীদের কাছে এটা আলাদা পরিবেশ। ভিনদেশেও নিজের দেশীয় স্বাদ পাওয়া। অবশ্য দুবাইতে বাঙালি ছাড়া পাকিস্তানি ও ভারতীয় ছাড়াও অন্যান্য দেশের মুসলিমরা এই ইফতারে অংশ নেয়। আর ইফতার সামগ্রী সরবরাহ করে থাকে দুবাই সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন পানীয় ও খাদ্য কোম্পানী।
দেরা দুবাই এর স্থানীয় বাঙালি ব্যবসায়ীরাও ইফতার সামগ্রী প্রদান করেন এই বাংলা বাজারে। দুবাই বাংলা বাজারের কেন্দ্রতে অবস্থিত কুয়েতি মসজিদ। এটাকে কেন্দ্র করে বসে বাঙালিদের আড্ডা। রমদ্বানে সেই আড্ডার মুল আয়োজন ইফতার।
শুধু রোজাদার নয় দোকানীরাও পশরা সাজিয়ে বসেন এক্কেবারে দেশের মতোই।
সেই সাথে হাক তুলেন- আসেন ভাই নিয়ে যান ভাল পেয়াজু। দেশের রেস্টুরেন্টের মতো এখানের চানা, পেয়াজুর দোকানেও থাকে ভীড়-ভাট্টা। আছরের পর থেকে ভীড় যেন বাড়তেই থাকে। তবে নেই বাংলাদেশী হোটেলগুলোতে ব্যবসার ধুম। জানা যায়, রমজানে সবজায়গায় খারিজি (বিদেশী) দের জন্য ইফতারের আয়োজন থাকায় কেউ নিজের টাকায় কিনতে আগ্রহী না।
তাই ইফতারের সময় বেশিরভাগ রেস্টুরেণ্ট বন্ধ থাকে। কোথাও আবার সেহরীর জন্যও খাবার বিতরণ করা হয়। বাঙালি সহ নানাদেশের শ্রমিকশ্রেণীর লোকজন এগুলো নিয়ে আসেন। দেরা দুবাইস্থ বাংলা বাজারে প্রতিদিন ইফতার পূর্বে বাংলাদেশীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়ে ওঠে। অনেক হিন্দুরাও ইফতারে অংশ নেয় বলে জানা গেছে।
মুসলমান কেউ যেমন বাঁধা দেননা ঠিক তেমন অসংকোচে দেশী ভাইদের সাথে অন্য সময়ের মতো ইফতারেও খেতে বসেন ওই হিন্দু লোকেরা। শুধু দুবাই নয় এ দৃশ্য যেন পুরো আমিরাতকে ঘিরে যেখানে বাংলা বাজার রয়েছে ঠিক সেখানেই। আর বাঙালিদের সংযোগ স্থান যেখানে বাঙালিরা বসে গল্প করেন কিংবা কয়েকটা বাঙালি মালিকানাধীন দোকান গড়ে ওঠে সেই এলাকা বাঙরা বাজার নামে পরিচিতি লাভ করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।