!!!!!!!!!!!!!!! দালালের হাত ধরে সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে মালয়েশিয়াগামী ১০৮ বাংলাদেশীর করুণ পরিণতি ঘটেছে আন্দামান সাগরে। অনাহারে ২৪ জন মারা গেছেন, দুই দালালসহ ৮২ জন মিয়ানমারের কারাগারে বন্দি, শিশু হওয়ায় দুইজনকে কারাদণ্ড না দিয়ে নিরাপত্তা হেফাজতে রেখেছে মিয়ানমারের মন প্রদেশের কর্তৃপক্ষ। সোমবার এ খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এদিকে যেখান থেকে তারা যাত্রা করেছিলেন সাগরে- সেই কক্সবাজারের পুলিশ কর্তৃপক্ষ বলছেন, এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঠেকাতে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের আরো বেশি ভূমিকা কাম্য।
এর আগে এই দুর্ভাগা ১০৮ জনকে ‘রোহিঙ্গা’ হিসেবে উল্লেখ করে মিয়ানমারের একটি দৈনিক কয়েকটি খবর প্রকাশ করলেও অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এরা সবাই বাংলাদেশি।
গত ২৫ মে মিয়ানমারের দৈনিক ইরাবতি জানায়, দেশটির মন প্রদেশের ইয়ে শহরের কাছের এইম দেইন গ্রামের উপকূলে আন্দামান সাগর থেকে ৮৪ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলে তারা সাগরে ভাসছিলেন।
বার্মিজ ভাষা বলতে না পারলেও তারা গ্রামবাসীকে বোঝাতে সক্ষম হন যে তারা মালেয়শিয়া যাচ্ছিলেন এবং তাদের সাথে থাকা ২৪ জন খাবার ও পানির অভাবে মারা গেছেন- যাদের লাশ সাগরে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে।
পত্রিকাটি তাদের খবরে জানায়, এইম দেইন গ্রামের স্থানীয়রা তাদের খাবার ও পানির যোগান দেয়। পরে তাদের আটক করে নিয়ে আসে বার্মিজ নৌবাহিনী ও পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
এত বেশি সংখ্যক লোককে বন্দি করে রাখার মতো কারাগার না থাকায় ছোট্ট শহরটির পুলিশ কর্তৃপক্ষের তাদের শহরের একটি ফুটবল স্টেডিয়াম মাঠে আটকে রাখেন। মিয়ানমারের অভিবাসন আইন ভঙ্গ করার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় স্থানীয় আদালতে।
গত ১৯ জুনের এক খবরে দৈনিক ইরাবতি জানায়, আটকৃতদের মধ্যে ৮২ জনকে ১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে স্থানীয় আদালত। তবে কারাগারের অভাবে তাদের ফুটবল স্টেডিয়ামেই আটক রাখা হচ্ছে এখনো। অন্যদিকে দুই শিশুকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে শহরের দক্ষিণে অপর একটি ছোট্ট শহর কাওজারের কাছের থায়ে কোং গ্রামে।
সূত্র: বার্তা ২৪
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।