শনিবার সন্ধ্যায় বিজিবি ও পুলিশের পৃথক অভিযানে একটি নৌকা ও একটি হোটেল থেকে তাদের আটক করা হয়।
বিজিবি‘র টেকনাফস্থ ৪২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর শফিকুর রহমান জানান, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়া বিজিবির সদস্যরা হারিয়াখালী ভাঙ্গা নামক এলাকায় একটি নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে ১০ জনকে আটক করা হয়।
টেকনাফ থানার ওসি মোহাম্মদ ফরহাদ জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে টেকনাফ পৌর এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাবার প্রস্তুতিকালে ১১জনকে আটক করা হয়।
এদের মধ্যে নরসিংদীর পাঁচজন, নারায়ণগঞ্জের পাচঁজন ও কক্সবাজার জেলার এগারজন বাসিন্দা রয়েছে।
এরা হলেন- নরসিংদীর দনিস মিয়ার ছেলে আল আমিন (২০), মো আব্দুল্লাহের ছেলে নয়ন মনি (১৯), শোধন মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া (২২), আওয়াল মিয়ার ছেলে সজল মিয়া ( ১৯), সাহাজ মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া (২০) ও নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারের জজ মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (২৮), আমির হোসেনের ছেলে মাহবুব আলম (২০), মৃত মাঈন উদ্দিনের ছেলে সোলেমান (২০), মৃত আবু ছিদ্দিকের ছেলে জাকের হোসেন (৩৬), শামসু উদ্দিনের ছেলে নুর মোহাম্মদ (১৯) টেকনাফের হোয়াক্যং এলাকার হাবিরের ছেলে মো. ইয়াছিন (১৮), নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. জুনায়েদ (১৮), কোরবান আলীর ছেলে আহমদ হোসাইন (২০), আব্দুল গণির ছেলে মো. আব্দুস সালাম (১৮) ও ছৈয়দ করিম (১৭), আব্দুল গফুরের ছেলে জামাল (২২), আবুল খায়েরের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (২০), মৃত মোকতার আহমদের ছেলে তারেক (১৭), নুরুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ করিম উল্লাহ (১৮), আব্দুল করিমের ছেলে উসমান মিয়া (১৮) এবং রামুর রাজারখুলের কাশেম আলীর ছেলে মো. বেদার মিয়া (১৭)।
শাহপরীর দ্বীপের দালাল চক্রের সদস্য ধলু হোসেন, নুর হোসেন, মোহাম্মদ আমিন, আব্দুর রশিদ, শরীফ হোসেন, মো ফিরোজ, আবুল কালাম, কচুবনিয়ার ইমাম হোসেন, মো ইসলাম ওরফে বাগু ও আব্দুল হামিদ সমুদ্রপথে জাহাজে করে মালয়েশিয়া পৌঁছে দেয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা করে নিয়েছে আটক ব্যক্তিরা জানান।
মালয়েশিয়া পৌঁছানোর পর বাকি দেড় লাখ টাকা স্বজনদের মাধ্যমে তাঁদের লোকদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল।
বিজিবি‘র টেকনাফস্থ ৪২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর শফিকুর রহমান ও টেকনাফ থানার ওসি মোহাম্মদ ফরহাদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য টেকনাফে এসেছেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
এঘটনায় জড়িত দালালদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ কর্মকর্তা।
আর আটক ২১ ব্যক্তির নাগরিকত্ব যাচাই করে তাঁদের নিজ নিজ অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।