গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার।
গৃহকর্মীর কাজ করে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল পিতৃহারা রোকেয়া। এবার এইসএসসি তেও জিপিএ-৫ পেয়ে সাফল্য ধরে রেখেছে সে।
তার বিধবা মা গোলেনুর বেগমও অন্যের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করেন। ১০ বছর আগে স্বামী শাহাবুদ্দীন ইসলাম হঠাৎ মারা গেলে স্বামীর বাড়ি নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার মটুকপুর গ্রাম থেকে মেয়ে রোকেয়া বেগম (১০) ও ছেলে গোলাম আজম হেলালকে (৪) নিয়ে তিনি একই উপজেলার ডোমার পৌরসভার পূর্ব কলেজপাড়ায় বোন আলেকজানের বাড়িতে আশ্রয় নেন।
জীবিকার তাগিদে অন্যের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ নেন। অস্টম শ্রেনী পর্যন্ত রোকেয়াকেও অন্যের বাড়িতে কাজ করতে হয়েছে।
রোকেয়ার অদম্য ইচ্ছার কাছে হার মেনে কষ্ট করেও তিনি মেয়েকে পড়াতে থাকেন। মা গোলেনুর বেগম অসুস্থ হলে মাঝে মাঝে রোকেয়াকেও অন্যের বাড়িতে কাজ করতে যেতে হয়। এভাবে শত বাধা পেরিয়েও এসএসসি পরীক্ষায় নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
এবার ডোমার মহিলা ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসিতেও মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে সাফল্য ধরে রেখেছে সে। রোকেয়া বলে,আমার একমাত্র ভাই হেলাল (১৪) অন্যের দোকানে কাজ করে আমাকে সাহায্য করেছে। অধ্যক্ষ শাহিনুল ইসলাম, প্রভাষক আবু ফাত্তাহ্ কামাল(পাখি), মহিউদ্দিন আহমেদ,রাশেদ কবির স্যার আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। নবম শ্রেনী থেকে টিউশনি করে লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করেছি। কোনো দানশীল ব্যক্তির সাহায্য ছাড়া আমার পক্ষে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
আমি বড় হয়ে শিক্ষকতা পেশা হিসেবে নিয়ে আমার মতো গরীবের লেখাপড়ায় সহযোগিতা করতে চাই।
অধ্যক্ষ শাহিনুল ইসলাম জানান,এতো প্রতিবন্ধকতার পরও জিপিএ-৫ পেয়ে মেধাবী রোকেয়া উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। তাকে সহযোগিতা করার জন্য কলেজ অধ্যক্ষ শাহিনুল ইসলামের ০১১৯৭০৮৬২৬০ নম্বরের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে ।
ভোরের কাগজ : ৩০/০৭/২০১২ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।