" কেউ তোমার দিকে পাথর ছুড়ে মারলে , তুমি তার দিকে ফুল ছুড়ে মারো...তবে ফুলের সাথে সাথে ফুলের টবটাও ছুড়ে মারতে যেন ভুল না হয় "
গৃহকর্মী নির্যাতনের এমন ঘটনা কম করে হলেও আরো ১০-১২ টা বুমেরাং এ প্রকাশিত হয়েছে। তবে এখনো এসব ঘটনার একটিরও শাস্তি হয়েছে সে খবর বুমেরাং দিতে পারেনি। তাহলে কেন বুমেরাং পেইজ বারবার পোস্ট করছে এসব? কারন বুমেরাং পেইজ এর ফ্যানদের কেউ হয়ত ভবিষ্যতে হবেন সৎ এবং সাহসী পুলিশ অফিসার যারা এসব ঘটনা এখানে দেখে তাদের ক্ষুদ্ধ মতামত জানাচ্ছেন। ভবিষ্যতে তারা হয়ত এমন ঘটনা প্রতিরোধে নিবে কঠোর ব্যবস্থা। অথবা কেউ হতে পারে ম্যাজিষ্টেট কিংবা জজ।
তারাও এসব নির্যাতঙ্কারীর জামিন বাতিল করে দিবে শাস্তি। ঘুষ কিংবা প্রভাবের কাছে করবেনা মাথানত, প্রয়োজনে চাকরি ছেড়ে দিবে। সেই সচেতনতা আর পরিবর্তনের জন্যেই বুমেরাং দিয়ে যাচ্ছে এসব পোস্ট!
ঘটনাঃ মোবাইল চুরির মিথ্যা অপবাদে পারভেজ মোশারফ (১৪) নামে এক গৃহকর্মীকে পল্লী বিদ্যুতের মুন্সিগঞ্জের ডিজিএম (ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার) বৈদ্যুতিক তার দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ করেছে নির্যাতিতের পরিবার।
প্রভাবশালী ওই ডিজিএম ও তার স্ত্রীর ভয়ে নির্যাতিত পারভেজ মোশারফ তার ভগ্নিপতির বাসায় থেকে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছে।
পারভেজ মোশারফ বাংলানিউজকে জানান, গত সাড়ে তিন বছর ধরে ধানমন্ডির শংকরে ৩৯০/১ পল্লী বিদ্যুতের মুন্সিগঞ্জের ডিজিএম ইমদাদুল ইসলামের বাসায় গৃহকর্মী কাজ করতো।
৫ জুলাই শবে বরাতের রাতে তার সাহেব মোবাইল ফোন নিয়ে মসজিদে যান এবং সেখানে মোবাইল ফোন হারিয়ে ফেলে।
কিন্তু পরদিন শুত্রবার ৬ জুলাই মোবাইল চুরির অপরাধে তাকে বৈদ্যুতিক তার (রাবার দিয়ে পেচানো) দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে, এতে তার পিঠে, হাতে, ঘাড়ে,মাথায় লাল হয়ে ফুলে যায়। ওই দিন ডিজিএম এর স্ত্রী জামেলা আক্তার তাকে বাসার একটি ঘরে আটকে রাখে ও চড়-থাপ্পর মেরে অনাহারে রেখে নির্যাতন চালায়।
পরে শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় পারভেজ ওই বাসা থেকে পালিয়ে যায় তার ভগ্নিপতি বাসার উদ্দেশ্যে, কিন্তু ঢাকার সে কিছুই চেনে না, অনেক কষ্ঠে লোকজনকে জিজ্ঞেস করে গভীর রাতে রোকেয়া স্বরণীর তালতলা বাস স্ট্যান্ডে আসে।
এ সময় শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশের এসআই আব্দুর রাজ্জাক সন্দেহজনক ঘোরাফেরা করায় তাকে থানায় নিয়ে ডিউটি অফিসার এসআই তন্তয় কুমারের কাছে দিয়ে আসেন।
জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে নির্যাতনের কথা জানালে শেরে নগর থানার এসআই তন্তয় কুমার তার ভগ্নিপতি লোকমান হোসেনের জিম্মায় পারভেজকে বুঝিয়ে দেন।
ভগ্নিপতি লোকমান তার নির্যাতনের চিহ্ন গুলো দেখিয়ে বাংলানিউজকে বলেন, “বেত কিংবা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মানুষকে শাসন করা হয় কিন্তু এ কোনো ধরনের বর্বরতা, মধ্যযুগীয় নির্যাতন কেও হার মানায়। তিনি এ জন্য নির্যাতনকারী ডিজিএম ইমদাদুল ইসলাম ডিজিএম এর স্ত্রী জামেলা আক্তার এর বিচার দাবি করেন। ” বাংলানিউজ২৪
কৃতজ্ঞতাঃ Bumerang (বুমেরাং)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।