ভাল কিছু লিখার প্রত্যাশায় লিখি..
মোবাইল স্কিনে তাকিয়ে দেখি তিনটা মিসকল। কখন মিসকল এসেছে বুঝতেই পারি নি। নাম্বার ও অপরিচিত।
যাই হোক কলটা বেক করলাম। অপর পাশ থেকে মেয়েলী কন্ঠে উত্তর আসল হ্যালো।
প্রথমে আমি কন্ঠটা বুঝতেই পারি নি। আমি বললাম কে?
ঃ আমি আশা।
এবার আমার কন্ঠ বন্ধ হওয়ার যোগার। আশাই চুপচাপ অবস্থার অবসান ঘটাল। প্রশ্ন করে বসল, কেমন আছ?
আমার মুখ থেকে যেন উত্তর বাহির হতে চাচ্ছে না।
আমি আস্তে আস্তে বললাম..
ঃ ভাল। তা এতোদিন পর কি মনে করে আমাকে মনে করলে?
ঃ কি যে বল সময় করে ফোন দেওয়া হয়ে ওঠে না।
একি শুনছি আমি, যেন বিশ্বাস ই হতে চায় না যে এটা আশা। কারণ আশা ছিল অনেক লাজুক। আমরা একই ক্লাসে পড়তাম।
কোনদিন কোন কিছু জিজ্ঞাসা করলে কখনো মুখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারত না। কথা বলার সময় অন্যদিকে তাকিয়ে আস্তে আস্তে কথা বলত।
সেই আশাই আজ কত ঝটপট কথা বলছে । সময়ের সাথে সাথে মানুষ কত বদলায়। আশাও হয়ত এরকমই বদলে গেছে।
যাই হোক আশার কথায় আমার হুশ ফিরে আসে। তা বল আশা হঠাৎ দশ বছর পর কি মনে করে আমাকে ফোন দিলে?
ঃ তোমাকে দাওয়াত দিতে ফোন করেছি।
ঃ কিসের দাওয়াত?
ঃ আমার বিয়ের ।
বিয়ের কথা শুনে বুকের ভিতরটা কেমন যেন মোচর দিয়ে উঠল।
ঃ বিয়ে কবে?
ঃ এই তো ঈদের ৩য় দিন ।
তোমাকে কিন্তু আসতেই হবে।
ঃ আমার উত্তর দিতে সমস্যা হচ্ছে । আমি বললাম দেখা যাক সময় হলে যাব।
ঃ তুমি কিন্তু না আসলে আমি কষ্ট পাব।
ঃ ঠিক আছে যাবার চেষ্টা করব।
পুরা আধাঘন্টা এভাবে কথা বললাম। হায়রে সময় কত বদলে যায়??
আমার মনে পড়ে যায় সেই দিনগুলোর কথা যখন আশাকে আমি প্রচন্ড ভাল বাসতাম। এক কথায় আশার লজ্জাটা আমাকে প্রতি মহুর্তে আকর্ষিত করত। ক্লাসের সবাই ব্যপারটা জানত। কোন কোন স্যার ও জানত।
কিন্তু আশাই ব্যপারটাকে পাত্তা দেয় নি। আমি আনেকবার চেষ্টা করেছি আশাকে বোঝাতে তাকে আমি অনেক ভালবাসি।
তারপর দুজনের পথ আলাদা হয়ে গেছে। আমি অনার্স করার জন্য ইউনিভার্সিটিতে চলে এসেছি অনেক দুরে।
আর আশা জেলার একটা কলেজেই পড়ছিল।
তার পরের ঘটনা আর বলতে ইচ্ছে করছে না............
যাই হোক সেই কলেজেরই এক ছেলের সাথে আশার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। কিছুদিন না যেতেই ছেলেটা আশার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। এভাবেই কেটে যায় আশার সময় গুলো।
গত দুই বছর হল সেই ছেলের সাথে আশার ব্রেক আপ হয়ে গেছে। আর আজ শুনলাম আশার বিয়ের কথা।
আশা এখন কত বদলে গেছে।
সেই লাজুক আশাই এখন কত নির্লজ্জ...........
সেইফ হওয়ার আগের গল্পটি পরে দেখতে পারেন এইখানে ক্লিক করুন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।