হুমায়ূন আহমেদ-এর প্রতি যে নৈতিক অনাস্থা জন-মানসে বহুকাল ঘাপটি মাইরা ছিল এতোক্ষণে সেইটা প্রতিস্থাপিত হওয়ার একটা রাস্তা পাইছে। অন্তর্ধানের ভেতর দিয়ে হুমায়ূন তো ভালো-মন্দের বাইরে চলে গেলেন। কিন্তু নিজের মেয়ের বান্ধবীকে বিয়ে করার 'পাপ' তো আর ছাড়া পাইতে পারে না। ফলে, শাওন রাক্ষুসী হইলেন।
হুমায়ূনের শেষ ইচ্ছা কী ছিল সেইটা তার মরদেহ কোথায় সমাহিত হবে এই প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ।
শাওন জানাইছেন, নুহাশ পল্লী হুমায়ূনের অন্তিম বাসনা ছিল। কিন্তু হুমায়ূনের কন্যাদের দাবী, বাবা এককালে বুদ্ধিজীবী গোরস্থানের কথা বলছিলেন। এই দাবি মুহম্মদ জাফর ইকবাল থেইকা শুরু করে সকলেই খুব আমলে নিতেছেন। অথচ, শেষ ইচ্ছাটা যে শাওনেরই জানা উচিৎ সেইটা কেউ গায়ে মাখছেন না। বরং শাওনের কান্না অভিজ্ঞ দর্শকের চোখে 'নিপুণ অভিনয়' হইয়া উঠতেছে।
শিলা অভিনেত্রী হইলেও তাঁর বিরুদ্ধে কারো এমন অভিযোগ নাই। এমনকি, হুমায়ূনের শেষ ইচ্ছার ব্যাপারে শাওন মিথ্যা বলছেন - এইরকম অভিযোগও শোনা যাইতেছে।
পাপ ছাড়ে না বাপেরে। ধর্মপুত্তুর সমাজের এখন সুদিন। প্রিয় লেখক হুমায়ূন যে পাপ করছিলেন তার শাস্তি হিসেবে এইবার ধর্মপত্নীরে পোড়ায়ে মারার একটা সুযোগ আসছে।
রাক্ষুসী হিসাবে শাওনের ডিসকার্সিভ ফরমেশন মহাসমারোহে শুরু হইল। এই মহাযজ্ঞে সকল ধর্মপুত্র আর এয়োতি মেয়েরা কংকর ছুড়িয়া পূণ্য লাভ করুন। আমেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।