গেদু চাচার খোলা চিঠি। ছোট একটা দ্বীপ...অপরুপ তার শোভা...চারিদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। এই নয়নাভিরাম দ্বীপেই বাস করে প্রতাপশালী দুই রাক্ষুসী...চিকন করে অদ্ভুত ভাবে চোখের ভ্রু উৎপাটন করা ‘'খ' রাক্ষুসী আর প্রচন্ড বাকপটু ‘'হ’' রাক্ষুসী...যাদের এই দ্বীপের মানুষ জানে একে অপরের শত্রূ হিসেবেই। তাই অন্ত্যান্ত গোপনীয়তার সাথে বসছে এই মিলন মেলা। অনেক দিন পর দুই রাক্ষুসী বোনের মিলন হচ্ছে... ‘খ’ রাক্ষুসী আসবে ‘হ’ রাক্ষুসীর বাড়িতে।
চারিদিকে সাজ সাজ রব। ‘হ’ এর মনে আনন্দের সীমা নাই...অধঃস্তনদের নির্দেষ দিয়ে দিছে...সাজাও চারিদিক। সাজানো হয়েছে...তাজা মানুষের মাথা কেটে মালা বানিয়ে...টেরাকোটার কাজ হিসেবে নিপুনতার সাথে বাসের ভেতর পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া মানুষ দিয়ে দেয়ালের কারুকাজ করা হয়েছে। দেয়ালে দেয়ালে তাজা রক্তের গাঢ় লাল বর্ণ। মানুষদানীতে ডুবন্ত লঞ্চের ভেতর ফুলে যাওয়া মানুষ দিয়ে সাজানো আজ ডাইং রুম।
মানুষের চোখের পানি দিয়ে বানান হয়েছে ঝর্ণা...অঝোরে ঝরছে সেই বর্ণহীন নোনা পানি। পরম আত্মীয় আসছে আর সঙ্গীত থাকবে না তাই হয়?বাজছে মানুষের কান্না,হাহাকার আর দির্ঘশ্বাসের গান।
‘খ’রাক্ষুসী পৌছে যায় সময় মত...অদ্ভুত ভাবে সামনের সারির কর্তন দাঁত বের হয়ে আছে তার...গোলাপী শাড়ীতে ছোপ ছোপ রক্তের সুক্ষ কাজ। গাড়ি থেকে হাত ধরে নিজে নামায় নেয় ‘হ’...কেউ দেখে ফেলার আগেই শাড়ির আচল দিয়ে পরম মমতায় ‘খ’ এর মুখে লেগে থাকা রক্তের দাগ মুছে দেয়... ‘হ’ দেখে ফেলার আগেই ‘খ’ এর সাথে থাকা ‘গ’, ‘ক’, ‘ফ’, ‘ন’ আরো অসংখ্য রাক্ষস হাসি গোপন করে ফেলে। ডাইং রুমে যেতেই আরেক বৃদ্ধ রাক্ষস ‘এ’র দেখা পেয়ে যায়...ভীতি জাগানিয়া হাসি দিয়ে বলে ওঠে...‘আপনি!!’।
বৃদ্ধ রাক্ষসের এই বয়সেও সবার অলক্ষে লালা ঝরে পরে মুখ দিয়ে... ‘হ’এর মুখে লুকিয়ে যায় দুষ্টুমির হাসি। খুব ক্লান্ত আজকে ‘খ’...‘হ’ ব্যাস্ত হয়ে যায় তাকে আপ্যায়ন করতে...চিৎকার করে ডাক দেয়...‘স’......লাঠিতে ভর দিয়ে বৃদ্ধ্যা এসে হাজির হয়...হাতের ট্রেতে একটা ছোট বাচ্চা...তখনও খেলছে। ‘হ’ বলে, ‘কি নিয়ে আসছো এইটা?’... ‘স’ মুখের লালা গোপণ করে বলে স্বাস্থ্য নীতির কাছ থেকে নিয়ে আসছি জনাবা...খুব স্বাদের হবে। লোভের লোলে শাড়ির আচল ভিজে যায় ‘খ’ আর ‘হ’ এর। বাচ্চাটাকে একটা প্যাকেট থেকে কিছু একটা বের করে খাওয়ানো হয়...সাথে সাথে তীব্র ক্রন্দনে জায়গাটার পরিবেশ ভারী হয়ে যায়...আস্তে করে বাচ্চার মাথায় একটা আঘাত করে তার ঘিলু বের করে ‘খ’ আর ‘হ’ এর সামনের প্লেটে রাখা হয়...হাত চাটতে চাটতে ‘স’ বলে, ‘জুস সম্পুর্ন বের হতে দেরি হবে...আর কাবার দেব রাতের খাবারে’।
গোগ্রাসে গিলে ফেলে দুইজনে...চারিদিকে পুর্বনির্দেষ মত...বাচ্চার মায়ের ব্যাথার করুণ কান্নার গান বাজতে থাকে। খিল খিল করে হাসতে থাকে ‘খ’ আর ‘হ’।
হালকা নাস্তা তো হলো...এবারে ‘খ’ কে চারিদিক ঘুরিয়ে দেখানোর পালা। ‘হ’ বলে চলো আগে তোমাকে আমার ব্যাক্তিগত লাইব্রেরি দেখায় নিয়ে আসি। লাইব্রেরিতে ঢুকতেই দেখা যায়...সারি সারি বিভিন্ন ধর্মের রাক্ষস দ্বীপের ইতিহাস লেখছে...কেউ বলছে... ‘অমুক জায়গায় অমুক যোধ্যার নাম বাদ দাও...কিছুই হবেনা...একটা ‘র’ বা ‘আ’ গ্রপের কারো নাম লটারি করে বসায় দাও’।
‘খ’ আর ‘হ’ এর মুখে তা দেখে প্রশান্তির হাসি খেলে যায়। পায়ের তলায় তাদের কিছু একটা বেধে যেতেই দেখা যায় একজন ‘ম’ গ্রুপের অজানা কারো ছবি...আর তার হাতের লেখা একটা চিঠি...অট্টহাসি দিয়ে তা সামনে জ্বলতে থাকা টেংরাটিলায় ক্ষতিগ্রস্থ গ্য্যসের আগুনে ফেলে দেয়া হয়।
এবার দেখার পালা ‘হ’ এর চিড়িয়াখানা। এই চিড়িয়াখানায় সারি সারি খাঁচায় বন্দি করে রাখা হয়েছে ‘ম’ গ্রপের সব মানুষ। ‘খ’ আনন্দে চিৎকার দিয়ে ওঠে... ‘আরে...আমি তো এদের আমার সময়ে বন্দি করছিলাম...আর ‘হ’ তুমি এদের রেখে দিছ।
বাহ্ বাহ্’। সারি সারি খাচায় বন্দি খাকি রংয়ের পোষাক পরা একদল মানুষ...বুকে লেখা ‘ইপিআর’...কারো কারো গায়ে নেই কোন পোষাক...আঘাত থেকে চুইয়ে চুইয়ে রক্ত পরছে। কেউ একজন তীব্র চিৎকার দিয়ে ওঠে...‘একদিন কেউ ছাড়বে না তোদের...রাস্তায় কুত্তার মত পিটায় মারবে...আমাদের নিয়া মজা করিস?অসম্মান করিস?জানতে দিস না কি হয়েছিলো?...জানাতে গেলে রাতের আধারে মেরে লাশ গুম করে দিস?’। ‘হ’ এর চোয়াল শক্ত হয়ে যায়...এক নিমিষেই এক দাড়িওয়ালা ‘র’ গ্রুপের রাক্ষস তীব্র আঘাত চালায় তার উপর...নিস্তেজ হয়ে যায় সে...আস্তে গায়ের পোষাক টা খুলে পরে ফেলে...মুখে তার বিজয়ের হাসি। মুখ দিয়ে ঝরা লালা টা মুছে ‘হ’ কে বলে... ‘ম্যাডাম,রাবার দিয়ে নামটা মুছে আমার নামটা দিয়ে দেই?’... ‘এইটা আবার বলতে হয় নাকি? যাও যাও নিজের কাজ করো’...হই হই করে ওঠে ‘খ’।
‘চলো তোমাকে একটা সারপ্রাইজ দেই’...আলোচনা অন্যদিকে ঘুরাতে ‘হ’ বলে ওঠে ‘খ’ কে। আস্তে আস্তে ওরা হেটে যায়...নদীর পাড় দখল করে গড়ে ওঠা একটা পার্কে। ‘খ’ অবাক আর আনন্দের সাথে দেখে দেখে সেখানে চারটি রাক্ষস শিশু ‘ত’, ‘ক’,‘জ’আর ‘প’ মনের আনন্দে একসাথে খেলছে...এর মাঝে একজন শিশু মেয়ে। তাদের তদারকি করছে লাস্যময়ী কিছু বিবস্ত্র নারী। তিন ছেলে শিশুর মুখে লোভ আর লিপ্সার লালা...কেউ ঝাপায় পরছে নারীদের উপর; আক্রোসে ছিড়ে কুড়ে খাচ্ছে তাদের।
‘খ’ আনন্দে ‘হ’ কে জড়ায় ধরে কেঁদে দেয়...বলে ওঠে, ‘তুমি এত্ত ভাল?’। ‘হ’ হো হো করে অট্টহাসি দিয়ে বলে... ‘আরে... ‘ত’ আর ‘ক’ তো আমার নিজের ছেলের মত...আর তুমি যা দেখো তাই বিশ্বাস করো’। ‘খ’ বলে... ‘কত কি দেখাতে হয় মানুষকে...ওরা তো বোকা...বুঝনা কেন? একদিন দুই ‘হ’ দিলেই ভাবে তুমি আমার মহা শত্রু’। ‘খ’ এর আচল ধরে টান দেয় কেউ...তাকাতেই আবার আনন্দে ডুবে যেয়ে দেখে ‘ত’ এর বন্ধু ‘গ’ ‘আ’ ‘ম’ আদ্যক্ষরের ছেলেটা। সস্নেহে বুকে জরায় ধরে ‘খ’...আজ যে তার মহা আনন্দের দিন।
এবারে ‘হ’ বলে চলো তোমাকে আমার সম্পদ দেখায় নিয়ে আসি। তারা দুজনে হাত ধরাধরি করে হাটা শুরু করে। পৌছে ‘খ’ দেখে হাজার হাজার লোক কি যেন বাছাই করতেছে...হাতে তুলে নিয়ে দেখে ‘শ’ নামক একটা সোনার হরিণের কাগজ সেগুলি...কোনটায় বিশ হাজার তো কোনটায় বিশ লাখ। এদের কে দেখাশোনা করছে যেই লোকটা সে পেছন ফেরা...গায়ে শ্বেত বর্ণের পাঞ্জাবী...সামনে যেতেই ‘খ’ এর মুখটা আবার আনন্দের হাসিতে উজ্জল হয়ে ওঠে...আরে এতো দেখি তার সময়ের সেই ‘ঋ’ক্ষোর দরবেশ বাবা। দরবেশ তার পা ছুঁয়ে বলে... ‘সবই আপনাদের দোয়া জনাবা’।
মাথায় হাত বুলায় স্নেহের আদর দেয় ‘খ’। কোথা থেকে টাক মাথার একজন এসে ‘খ’ এর সামনে হাত কচলাতে থাকে... ‘খ’ বলে,‘কিছু বলবা?’ টাক মাথার রাক্ষস বলে , ‘একটু দেখে রাখবেন জনাবা...আমরা তো আপনাদেরি কেনা গোলাম’...টাক মাথার মুখে বাঘের ছাপ ওয়ালা একটা কাগজ সরায় দিয়ে ‘খ’ বলে ‘চিন্তা করো না যাও...আছি তো আমরাই...আবার কে আসবে?’
বিকাল হয়ে গেছে... ‘হ’ বলে চলো একটু টিভি দেখা যাক। তারা টিভি ছেড়ে দেয়...কোন একটা চ্যানেলে চলছে চরম উত্তেজনার নাটক...দশতলা একটা ভবনে জ্বলছে দাও দাও করে আগুন...চারিপাশে সব বোকা মানুষের ভীর। সেই আগুনের লেলিহান শিখায় জ্বলবে না তাই নিচে ঝাপ দিয়ে পরছে কেউ কেউ...হঠাৎ পরিচালক এসে টিভি ক্যামেরার সামনে চোখ মুছতে থাকে... ‘খ’ আর ‘হ’ এর মুখে হাসি খেলে যায়। পেছন থেকে খানসামা বৃদ্ধ্যা মহিলা রাক্ষস বলে ওঠে রাতের খাবার মেনু হিসেবে এই ভাজা মানুষও আছে... ‘খ’ আর ‘হ’ পেছন ফিরে তার দিকে তাকাতেই...মুখের লালা মুছে ফেলে সে।
রাতের খাবারে বসে যায় ‘খ’ আর ‘হ’ আর তাদের পায়ের কাছে বসে পরে ‘গ’, ‘ক’, ‘ফ’, ‘ন’...একটা ছোট টুলে বসে পরে ‘এ’। একে একে খাবার মেনু হাজির হয়...সকালের সেই বাচ্চার রক্তের জুস গ্লাসে করে দু’জনকে পরিবেশন করানো হয়... ‘খ’ আর ‘হ’ আধা গ্লাস খেয়ে পায়ের কাছে থাকা রাক্ষস গুলাকে দিয়ে দেয়...নরপিশাচ সেই রাক্ষস মহা আক্রোসে চেটে পুটে শেষ করে ফেলে মুহুর্তেই...পরম তৃপ্তি নিয়ে তা দেখে তারা। এরপর তাদের সামনে আনা হয় বিশাল এক ট্রে...তাতে শুয়ে আছে বার চোদ্দ বছরের এক কিশোরী...গায়ে তার নীল বর্ণের ফ্রক...তখনও যেন ছেড়ে দিলে এক লাফে ঝাঁপিয়ে পরবে মায়ের বুকে...তবুও কেন যেন কিসের এক জাদুতে অদ্ভুত ঘুমের দেশে সে...কোমর থেকে ঝরছে দলা দলা রক্ত। ‘হ’ আর ‘খ’ এর সামনের বের হয়ে থাকা দাঁত চিক চিক করে ওঠে আলোতে...মুখ দিয়ে লালা ঝরে পরে। ‘স’ অক্ষরের খানসামা বৃদ্ধ্যা মহিলা রাক্ষস বলে ওঠে ... ‘সীমান্তে মেরেছি জানাবা!! আমার বড় শখ হাড় খাবার...আমায় একটু দেবেন’...মুখের লালা মুছে ফেলে সে দ্রুত।
‘হ’ আর ‘খ’ ছুরি দিয়ে টুকরা টুকরা করে খেতে থাকে...আর নিচে পায়ের কাছে লালা ঝরে পরা মুখ গুলির দিকে ফেলতে থাকে...তীব্র আক্রোশে ওরা খেয়ে ফেলে কিশোরীর দেহ। এবারে আনা হলো সেই দশতলা ভবনে পুড়ে কাবাব হয়ে যাওয়া মানুষের দেহ...সাথে বিশেষ সস। চেটে পুটে খেয়ে ফেলে সব ওরা। একসময় ‘হ’ সেই কিশোরীর হাড় গুলি ‘স’ অক্ষরের খানসামা বৃদ্ধ্যা মহিলা রাক্ষসকে দিয়ে দেয়...কড়মড় করে হাড় চিবাতে থাকে সে। ‘হ’ আর ‘খ’ স্নেহের একটা হাসি নিয়ে তাকায় তাকায় দেখে...দুরে কোথাও স্লো মিউজিকে বাজছে এক মায়ের সন্তান হারানোর কান্না গান।
এবারে নিজের হোম থিয়েটারে সিনেমা দেখার আমন্ত্রন জানায় ‘হ’। দ্বীপের ‘ঢ’ নামক শহরের ‘ম’ নামক এলাকায় হাজারে হাজারে মানুষ তীব্র উত্তেজনায় ছুটছে... তাদের গরু পেটা করছে একদল বাহিনী...হঠাৎ একটা শব্দ হলো ‘কাট’...বের হয়ে আসলো ছবির ক্ষল নায়ক...সেই দাড়িওয়ালা দরবেশ। সে কি যেন একটা মিটারে ঠিক করে দিলো। আবার বোকা মানুষ গুলা শান্ত হয়ে গেল...কিছুক্ষণ পর দরবেশ আবার মিটারে কারসাজি করে দিলো...আবার বোকা মানুষের দল তীব্র উত্তেজনায় রাস্তায় নেমে আসল...আবার সেই বাহিনীর হাতের লাঠি তাদের পিঠ কে রক্তাক্ত করে দিলো...এভাবেই সিনেমা শেষ হয়ে গেল একসময়। ছবির শেষ অংশে সেই টাক মাথা বলল,‘ এই ছবির সব চরিত্র কাল্পনিক...কোন বাস্তব চরিত্রর সাথে মিলে ছবির পরিচালক দায়ী থাকবে না’
এবার শোবার পালা।
ঘুম কি আসে তাদের?...কত দিন পর তাদের দু’জন একজায়গায় শুলেন। এই কথায় সেই কথায় অনেক রাত হয়ে গেল। এই দ্বীপের মানুষ কি বোকা তা তারা গল্প করতে লাগল...কিচ্ছু বোঝেনা। হাসতে হাসতে তাদের দু’জনে গড়াগড়ি দিতে লাগল। এরই মাঝে ‘এ’ এসে তাদের কবিতা আবৃত্তি করে শুনিয়ে গেছে।
কথা প্রসঙ্গে দ্বীপের আইন শৃংখলা আর নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নিয়ে কথা উঠল। ‘হ’ বলল ‘দ্যাখ,চিন্তা করবার কিছু নাই...তোমার রাজ্য আমার রাজ্য...আমার রাজ্য তোমার...আচ্ছা,তুমিই বলো...আমার পিতা মারা যাবার সময় কি রেখে গেছেন?আর তোমার স্বামী?তবুও আজকে আমরা বুদ্ধির জোড়ে হ্যামার আর লেক্সাস চরে বেরাই...তো এখানে বোকা মানুষের দল কি বল্ল তা দেখার বিষয় না’। ‘খ’ বলে উঠল আমারো একই কথা...আমার ‘ত’ আর ‘ক’ এর গায়ে তো আচর লাগছে না...তাই আমি দ্বীপ নিলেও তোমার ‘জ’ আর ‘প’ এর কিছু হবেনা...বোকা মানুষের কথা বাদ দাওতো’। হঠাত ‘খ’ বলল,‘আচ্ছা দ্বীপে রুমানা নামের এক মানব কন্যাকে নির্মম ভাবে অত্যাচার করে চোখ তুলে নিয়েছে এক পুরুষ রাক্ষস...তার কি করবা বলতো?কিছু একটা না করলে তো বোকা মানুষ এবার আর প্রতিবাদ জানাতে দেরী করবে না’। ‘হ’ কিছু বলে ওঠার আগেই দুরের একটা ঘরে এক নারী মানবীর চিৎকার ভেসে আসল...বিরক্ত মুখে ইন্টারকম টা হাতে নিয়ে তাতে ডায়াল করল ‘হ’...ওপাশ থেকে রিসিভ করতেই ‘হ’ বলে উঠল, ‘সেঞ্চুরী মানিক, বহুবার মানা করছি,কাম কাজ সাবধানে করবি...আগেরবার বাঁচাইছিলাম,চাকরিও দিলাম...আবার শুরু করছিস!!? খটাশ করে রিসিভার রেখে দেয় ‘হ’।
‘খ’ আর কথা আগায় না...আস্তে করে বলে, ‘আসো,শুয়ে পরি’। সিডিতে বাজছে এক মায়ের কান্নার মৃদু শব্দের গোঙ্গানী গান
রাক্ষুসী। গেদু চাচার খোলা চিঠি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।