আপাতত লিখার কিছু নাই.....ভাবছি কি লিখব... জীবন হয়ত আপনার ভালোই চলছিল। দেখতে দেখতে পার করে দিলেন ত্রিশ-চল্লিশ বছর।
তবুও যেন ভাল ভালো চলতে চলতেই হঠাত যেন ছন্দ পতন! চাকরি আছে, ব্যস্ততা আছে, ছেলে-মেয়ে স্ত্রী সংসার আছে, তবুও কিছু ভাল লাগে না। বন্ধুর সাথে কথা বলতে ভালো লাগে না, বাসায় এসে খিট মিট করেন, ছেলে-মেয়ের সাথে দুরত্ব বাড়তে থাকে এমন কি একই বিছানায় শোয়া এত দিনের প্রিয় স্ত্রীর সাথেও মানসিক দুরত্ব!!
এ রকম একটা অবস্থা কে Mid life crisis (মধ্যজীবনের সংকট) বলে অভিহিত করেন Elliott Jaques ১৯৬৫ সালে। তিনি বলছেন, এরকম অবস্থা শুরু হয় যখন একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ তার মৃত্য নিয়ে ভাবতে থাকেন, ভাবেন জীবনের বেশীর ভাগ সময় চলে গেছে, আর কতদিন বাচবেন ইত্যাদি, তখন সেটা তার অবচেতন মনে প্রভাব ফেলতে থাকে।
এ সমস্যা শুরু হতে পারে বিশেষ কোন ঘটনা বা অবস্থা থেকে যেমন বাবা-মার মৃত্য, ছেলে-মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়া/ বাড়ি ছেড়ে যাওয়া, চাকরি পছন্দ হচ্ছে না কিন্তু আরেক টি বিকল্প খুজে পাচ্ছেন না, চাকরি হারানো/বেকার হয়ে যাওয়া, অথবা চাকরি আছে তা চলে যাবার ভয়, ছেলে-মেয়ে তো আপনার মনের মত মানুষ হবে না এ রকম ভয়, কোন শারিরীক অসুস্থতা ইত্যাদি। এ সময় মানুষ তরুন জীবনের স্বপ্নের সাথে বর্তমান বাস্তবতা মিলিয়ে দেখে, কি পেলাম বা পেলাম না, জীবনে কি ঠিক করলাম ব কি ভুল করলাম তা খতিয়ে দেখে। একবার এ রকম অবস্তার মধ্যে ঢুকে গেলে তা মানুষের প্রতিদিনের জীবন, ক্যারিয়ার, বিবাহিত সম্পর্ককে নষ্ট করতে পারে, এমন কি শারিরীক অসুস্থতা মত অবস্থা তৈরী করতে পারে।
১৯৮০ সালের এক সমীক্ষায় বলে আমেরিকায় ১০% লোক মিড লাইফ ক্রাইসিস এর মধ্য দিয়া যায়। পুরুষ দের মধ্য এই সংকট ১০ বছর পর্যন্ত এবং মহিলাদের মধ্যে এই সংকট ৫ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।