আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বরাবর কতিপয় 'নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুসাহিত্যিক বৃন্দ'-

আমরা হলাম আবাল জাতি, সব কিছুতেই লাভ খুজি। অনেকটাই সংকীর্ণমনা গোমূর্খ। কাচা টাকা হাতে আসলে কিছু লোক আছে যারা আর ধরাকে সরা ঞ্জান করে না। বাজারে টাকা নিয়ে যখন উঠে তখন সব কিছুতেই খুৎ খুৎ ভাব দেখায়। মাছের কানকো উল্টানো তো খুবই নগন্য ব্যাপার পারলে ওরা চকোলেট কিনার আগে চেটে খেয়ে দেখে কিনে।

ঠিক একি ধারায় আরও একটি সমান্তরাল রেখা বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে চলছে। সবাই এখন লিখতে পারে! চাইলেই নিজের লেখা এখন ছাপার ডিজিটাল অক্ষরে দেখা যায়। সেই সুবাদে বাংলাদেশের অলিতে গলিতে ল্যাম্প পোস্ট(ল্যাম্প পোস্টের আশে পাশে বিশেষ কাজে পারদর্শিদের সাথে তুলনা করলাম না)এর চেয়ে প্রগতিশীল লেখক বেশি। উনাদের একটাই কাজ সব জায়গায় সাহিত্য খুজতে যাওয়া। স্ট্যাটাস তো অনেক উচ্চমার্গীয় বিষয় উনারা বাজারের লিস্ট, পরীক্ষার রিপোর্ট কার্ড, এমন কি কাবীননামা- ডিভোর্স লেটারেও সাহিত্য খুজে বেড়ান।

শিক্ষা মুলক কিছু আছে কিনা তা অনুবিক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খোজেন। উনাদের অবসর কাঠে বিটিভির স্বাস্থতথ্যমুলক নাটিকা দেখে দেখে। উনারা আবার বই পড়েন ডিকসনারি হাতে নিয়ে, যদি বইয়ে কিম্ভুত, দাত ভাঙা কোন শব্দ খুজে পান তাহলেই উনারা ইউরেকা ইউরেকা বলে ইউরেকা স্টাইলেই নগ্ন নৃত্য শুরু করে দেন। যেহেতু উনারা স্বঘোষিত সাহিত্যিক তাই সাথে সাথেই ঐ বাক্য নিয়ে একখানা সাহিত্য লিখে ফেলবেন। এখন কথা হলো ছাপাবে কে? প্রথম পছন্দ অবশ্যই হায় হায় দিন।

কিন্তু সেখানে রসময় গুপ্ত(শফিক রহমানের ছদ্মমান লোকমুখে শোনা)নিজেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, এই নতুন *ছায় **ল উঠা তো কোন ছার। তো কি আর করা হুমায়ুন যুগে সব সুসাহিত্যিকগণের শেষ ভরষা, শেষ ঠিকানা, শেষ সম্বল বাংলা ব্লগ আর ফেইসবুক। এইখানে আবার উনার বিপুল পাঠক! তবে সেটা প্রথম পর্যায়ে 'নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক্ টাইপের লেখা লিখেই যোগার করেছেন। অবশ্য এখন উনারা প্রগতিশীল তাই এসব কথা মুখে আনাও পাপ। এইসব সুসাগণ(সুসাহিত্যিক)এর গত দুইদিন ধরে ঈদ দেখা দিয়েছে।

বাঘ নাই বনে এখন শিয়াল রাজা। মানুষটা চলে গেছেন দুইদিন হয় নি, তাকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় সমালোচনা শুরু করেছে শকুণের দল। হুমায়ুন নাকি এই প্রজন্মকে লুপুপুতু প্রেম শিখিয়েছেন, বৃষ্টিতে ভিজা শিখিয়েছেন, পুর্ণিমাতে চন্দ্রগ্রস্থ হওয়া শিখিয়েছেন, হলুদ পান্জাবী পড়া আরও প্রভৃতি ছাইপাশ শিখিয়েছেন!!! বেশ করেছেন শিখিয়েছেন তাতে তোদের বাপের কি? হুমায়ুন এ দেশে না জন্মালে এদেশের সবচেয়ে বড় সাহিত্যিকের নাম হতো 'নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক'। হলিদ পান্জাবী নয় ছেলেরা হলুদ রঙের কনডম পরে রাস্তায় হাটতো। কদম গাছ হতো না এ দেশে, ধান ক্ষেতে লাগানো হতো পপি।

এতো সমালোচনা এতো উচ্চমার্গীয় সাহিত্য কপচানো জিবদ্দশায় উনাকে এতটুকুও ছুয়ে যেতে পারে নি। উনি উনার মতো লিখে গেছেন, আমাদের আনন্দ দিয়ে গেছেন। ওরে মুর্খের দল উনার সাহিত্য থেকে কিছু শিখতে চাইলে আগে সুশিক্ষিত হয়ে আয়। হুমায়ুন সাহিত্য ডিকশনারি খুলে পড়ার জিনিস নয়। হুমায়ুন আহমেদ নিজেই একটা ভাষা, নিজেই একটা বর্ণমালা।

এই ভাষা বোঝতে হলে আগে নিজের মনটা বড় কর, চটি তো অনেক পড়লি এবার নিখাদ কিছু ভালো বই পড়। উনি জনপ্রিয় কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ বলতে পারবে না তার বইয়ে কোন রগরগে কাহিনী চিলো। জনপ্রিয় হওয়ার জন্য যে পথ তোরা বেছে নিয়েছিস ঐ পথে তিনি কোনদিন পা বাড়ান নি। তার বই এমনিতেই চলে, ওমনি করেই চলবে। মানুষ হো, এবার তোরা মানুষ হো।

বাপ থাকলে বাপের দেওয়া নামটা নিয়ে কিছু লিখে দেখা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।