একবার আপনারে চিনতে পারলে রে , যাবে অচেনা রে চেনা প্রথম খটকাটা লাগলো যেদিন শাহবাগে প্রথম দেখলাম হলুদ ব্যান্ড পরা কয়েকজনকে। ওখানে লেখা ব্লগার এন্ড অনলাইন এক্টিভিস্ট ফোরাম। জিজ্ঞেস করলাম , আমি ও একজন ব্লগার এই হলুদ ব্যান্ড আমি ও একটি পাব কি? যাকে প্রশ্নটি করেছিলাম তিনি আমার কথায় খুব একটা পাত্তা দিলেন না। আমি ও বুঝতে পারলাম না এই ফোরাম কবে কখন কোথায় সংগঠিত হল। কোন ব্লগের নোটিশ বোর্ডে এই ফোরামের কোন নোটিশ ছিল কি? আমি আজ ও জানি না আমি এর সদস্য কি না? কিংবা সদস্য হতে হলে কি যোগ্যতা লাগবে?
পরদিন দেখলাম এই ফোরামের আহ্বায়ক ডা: ইমরান এইচ সরকার নামের একজন ব্লগার।
পুরনো সিনিয়র নাম জানা বহুল পঠিত কোন ব্লগার নন, ইমরান এইচ সরকার। তিনি কোথায় ব্লগিং করেন তা ও জানা হলোনা। গা করিনি। আমি কত কিছুই তো জানিনা!
এরপর আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হতে লাগলো। সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লো তার আঁচ।
দলমত নির্বিশেষে মানুষ এসে জড়ো হতে লাগলো শাহবাগে। ইমরান এইচ সরকার টিভি চ্যানেলে চ্যানেলে টক দিতে লাগলেন। আমরা দেখি আর মূগ্ধ হই । তিনি আমাদের প্রতিনিধি।
খটকা লাগলো আবারো যখন গত শুক্রবারের সমাবেশের পর জানলাম আন্দোলন হাফ টাইম করা হয়েছে।
এখন থেকে চলবে কেবল ৩ টা থেকে ১০ টা । এ যেন ম্যাটিনি শো। জনতার স্বতস্ফূর্ত আন্দোলন কার ইচ্ছায় কাট ছাট করা হলো জানতে পালাম না। কোন জনমত জরিপ কি হয়েছে? যে ফোরামের কথা বলা হয়েছে সেই ব্লগার এবং অনলাইন এক্টিভিস্টদের সাথে কোন আলোচনা কি হয়েছে? জানিনা।
সর্বশেষ কর্মসূচি জানতে পেলাম ২১শে ফেব্রুয়ারী তে বেলুন ওড়ানো।
সেখানে বেলুনের সুতোয় একটা করে চিঠি বেধে দেওয়া হবে শহীদদের উদ্দেশ্যে। এটা যেন এক ফাইজলামো শুরু হয়েছে। যেন কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায়কে সেলিব্রেট করা হচ্ছে। এমনিতেই আন্দোলনটি তার স্বাভাবিক গাম্ভীয হারিয়েছে আগেই। এটা একেবারে চূড়া্ন্ত ফাইজলামো হয়ে গেল।
১৫ টা দিন গেল এখন পযন্ত সেরকম কোন অর্জন নেই। জামায়াত শিবির নিষিদ্ধের ব্যপারে এখানো তালবাহানা করছে সরকারে। এর মধ্যেই বেলুন ওড়ানো শুরু হয়ে গেল।
আরো আছে। জনাব ইমরান বলেছেন যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই তারা শহীদ মিনার বানাবেন।
এই অল্প সময়ে ( আর আছে দেড়দিন) সেটা কি করে সম্ভব? আন্দোলনটিকে এরকম হাস্যকর করে তুলছেন কেন কেউ কি বলবেন? কিসের প্রতিনিধিত্ব তিনি করছেন?
সর্বশেষ আজ বাংলা নিউজ ২৪ ডট কম থেকে জানলাম ব্লগার ইমরান সাহেব বলেছেন, যে কেউ ব্লগার পরিচয়ে আন্দোলন সম্পর্কে গণমাধ্যমে, কোন টক শো তে মন্তব্য করতে পারবেন না। টিভি চ্যানেলগুলো যেন কারো ইন্টারভিউ নেওয়ার আগে তাকে ফোন করে ঐ কথিত ব্লগার এর পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নেয়। বাহ, এটা একটু বেশী ধৃষ্টতা হয়ে গেল না?নিজেকে একেবারে অথরিটি ঘোষণা করা। এ তো দেখি মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটের মত হয়ে গেল। ইমরান সাহেব কি নিজেকে এই প্রজন্মের শেখ মুজিব ভাবতে শুরু করেছেন? বাংলা ব্লগের পথিক্বৃত সামু ব্লগের মডারেটর এবং আমব্লগাররা কি কিছু বলবেন এই বিষয়ে?পরিশেষে নিবেদন:
জনাব, আমি ২ বছরের অধিক কাল হইতে ব্লগিং করিতেছি।
আমি এযাবত শতাধিক পোস্ট লিখিয়াছি। সহস্রাধিক মন্তব্য পাইয়াছি। ততোধিক মন্তব্য করিয়াছি। আমি কি আপনাদের বিচারে ব্লগার হিসেবে গণ্য হইব?
বি: দ্র: এই পোস্টে কোন ছাগু চান্স নেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে জুতা মারা হবে। নো এন্ট্রি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।