আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উনি নায়ক না খলনায়ক , একজন সোহেল তাজের চার বার পদত্যাগ তাও বিভিন্ন ইস্যু সময় ।

স্বপ্ন আমার দেয়না ধরা :( তাই তো এতো অপেক্ষা চারটি কঠিন ধাপ খুবই সহজ ভাবে তিনি পার করলেন প্রথম ধাপ ২০০৮ সালের নির্বাচনে গাজীপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ। আর সবাইকে অবাক করে দিয়ে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন সোহেল তাজ । আর ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিয়ার সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনা বিচার নিয়ে যখন আওয়ামীলীগ সরকার সবার কাছে প্রশ্নবিদ্ধ এবং সরকারের বিরুদ্ধে বিরাট এক ইস্যু , তখন এই ইস্যুকে অন্য দিকে ঘুরাতেই ২০০৯ সালের ৩১ মে সোহেল তাজ মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন , তবে তার পদত্যাগ তখন পুরাটাই কাজে দিয়েছিল ইস্যু ঘুরাতে । এবার দ্বিতিয় ধাপ তার পর মাস গেলো বছর গেলো কোন খবর নাই সোহেল তাজের তার পর কি হলো সুরঞ্জিতের কালো বিড়াল , হ্যা সুরঞ্জিত সেন গুপ্তবাবুর ৭০ লাখ টাকার দুর্নীতি নিয়ে যখন সরকার বিব্রত তখন মহা নায়ক হয়ে সোহেল তাজের আগমন , তিনি জানালেন মন্ত্রীত্ব ছেড়েছেন ৩৩ মাস আগে তার পরেও কেন আমাকে মন্ত্রিত্বের বেতন দেওয়া হচ্ছে । আর আমরা হুজুগে বাঙালী সুরঞ্জিতের দুর্নীতির কথা ভুলে সোহেল তাজকে নিয়েই লাফালাফি শুরু করে দিলাম , সুরঞ্জিত ইস্যু থেকে কিছুটা হলেও সরকার রক্ষা পেলো ।

এবার আসি তিতৃয় ধাপে যখন ইলিয়াছ আলী গুম , দেশের সব মানুষের তিক্ষদৃষ্টি যখন সরকারের দিকে তখন মহা নায়ক হয়ে উদয় হলেন সোহেল তাজ , আবারো পদত্যাগ নাটক , এবার এম্পি পদ থেকে পদত্যাগ । ২৩ এপ্রিল সোমবার সকালে সোহেল তাজের পদত্যাগ পত্র সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে জমা দেন তার ব্যক্তিগত সহকারী আবু কাওসার। কিন্তু নাহ এখানেই যদি নাটক শেষ হয়ে যায় তাহলে নাটকের বাকি অংশ কিভাবে শেষ হবে । তাই আমাদের মাননীয় স্পিকার বলেন, ‘কার্যপ্রণালি বিধির ১৭৭ (১) বিধিতে বলা হয়েছে বলা হয়েছে, পদত্যাগ পত্রে ‘পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক’ কথাগুলো লেখা থাকতে হবে। কিন্তু সোহেল তাজের চিঠিতে সে বিষয়টি উল্লেখ নেই।

এছাড়া বলা হয়েছে, পদত্যাগ পত্র স্বহস্তে লিখিত থাকতে হবে। কিন্তু সোহেল তাজের পদত্যাগ পত্রটি টাইপ করা। ’ স্পিকার আরো বলেন, ‘গত ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় ১০টা ৫০ মিনিটে জনৈক কাওসার আলী আমেরিকার স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫০ মিনিট। পদত্যাগ পত্রে তারিখ দেওয়া হয়েছে ২৩ এপ্রিল। তাহলে কিভাবে আমেরিকা থেকে মাত্র ৫০মিনিটে চিঠি বাংলাদেশে পৌঁছালো? আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে ৫০ মিনিটে চিঠি পাঠাতে হলে আল্লাহর ফেরেশতা হতে হবে তাই সোহেজ তাজের পদত্যাগ পত্র গ্রহন করা হলোনা না না তাই ইলিয়াছ ইস্যু মাটি চাপা পরলো সোহেল তাজের পদত্যাগ নাটকের কাছে এবার আসি চতুর্থ ধাপে নাটকের শেষ অংশে দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে বিশ্বব্যাংক সরে দাঁড়ানোর পর সরকার যখন দিশেহারা এবং বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে , তখনই এলেন মহা নায়ক তানজীম আহমদ সোহেল তাজ অবশেষে তার এমপি পদ থেকে পদত্যাগপত্র নিজ হাতে জমা দিলেন স্পিকারের হাতে , আর এই দিকে আমরা দর্শক হয়ে বাহ বাহ হাতে তালি দিলাম , কিন্তু কত বড় একটা ইস্যু থেকে আওয়ামীলীগ দেশের জনগনের দৃষ্টি এরিয়ে গেলো একবারকি চিন্তা করেছেন , যেতো বার আওয়ামীলীগ বিপদে পরেছে ততো বারই সোহেল তাজ পদত্যাগ করেছে ।

একটা মানুষ কতবার পদত্যাগ করে একবার দুই বার কিন্তু সোহেল তাজ চার বার পদত্যাগ করলেন চার বার পদত্যাগ করতে বেশি হলে চার দিন লাগে কিন্তু সাড়ে তিন বছরের এতো সময় থাকতে কেন BDR এর বিচারের সময় পদত্যাগ করলো মন্ত্রীত্ব থেকে , তার ৩৩ মাস পর যখন সুরঞ্জিত দুর্নীতি ধরা খেলো তখন আবার কেন বললো তার একাউন্ডে মন্ত্রীত্বের বেতন জমা হচ্ছে কেন , কিন্তু তিনি কি এই ৩৩ মাস ব্যাংক একাউন্ড একবারও চেক করেনন নাই ?????? ইলিয়াছ যখন গুম হলো তখন কেন তার ব্যক্তিগত সহকারী আবু কাওসারকে দিয়ে এম্পির পদত্যাগ পত্র জমা দিতে এলো কিন্তু যেহেতু স্পিকার তার পদত্যাগ পত্র গ্রহন করেন নাই , তাহলে এই তিন মাস কেন সে চুপ করে বসে রইলো ? যখন খবর এলো দুর্নীতির কারনে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু বানাতে টাকা দিবেনা , তখন আবার বাবাজি নিজেই হাজির হলেন পদত্যাগ করতে , এতো নাটক কেন ????? আওয়ামীলীগকে বাচাতে নাকি নিজে নায়ক হতে !!!!! সাবধান বকাবকি করবেননা গাঞ্জা খাইয়া লেখাটা লিখেছি , তাই মাথা ঠিক নাই বকা দিলে উল্টাও খেতে পারেন , তাই দূরত্ব ভজায় রাখুন , ভালো না লাগলে আমার ব্লগ থেকে দূরে থাকুন  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।