ভারতের গুজরাট রাজ্যে ২০০২ সালের মুসলিম বিরোধী ভয়াবহ দাঙ্গার সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর ব্যাপারে জরিপ প্রতিবেদন পেশ করার জন্য দেশটির সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। আজ (সোমবার) বিচারপতি কে এস রাধাকৃষ্ণণ ও বিচারপতি দীপক মিশ্র'র সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের এ সংক্রান্ত নির্দেশে আরো বলা হয়েছে, ধ্বংসপ্রাপ্ত ধর্মীয় স্থাপনাগুলো পুননির্মাণ বা মেরামতের জন্য কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তাও আদালতকে জানাতে হবে।
এর আগে গুজরাট হাইকোর্ট মুসলিম বিরোধী দাঙ্গার সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে নরেন্দ্রমোদি সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল। গুজরাট সরকার সে রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যে আর্জি জানিয়েছিল, তার শুনানি শেষে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত এ নির্দেশ দিল।
২০০২ সালে গুজরাটে উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলোর মুসলিম বিরোধী দাঙ্গার সময় হাজার হাজার মুসলমান নিহত হন এবং শত শত মসজিদ ধ্বংস করা হয়।
সে দাঙ্গায় উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেতা নরেন্দ্রমোদি সরকারের পরোক্ষ মদদ ছিল বলে একাধিক তদন্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশে দাঙ্গার সময় পুলিশ মুসলমানদের রক্ষার কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলেও একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা পরবর্তীতে স্বীকার করেছেন।
আজ সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে গুজরাট রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদ পুনর্নিমাণ ও মেরামতের কাজে রাজ্য সরকারের অর্থ ব্যয় করা সম্ভব নয়। এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ধ্বংসপ্রাপ্ত ধর্মীয় স্থাপনা মেরামতে সরকারি তহবিল ব্যবহার করা যেতে পারে কিনা তা খতিয়ে দেখছে আদালত।
ভারতের সুপ্রিম কোর্টে আগামী ৩০ জুলাই এ মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
মসজিদ ধ্বংস করে সেখানে পূজা-অর্চনা করছে উগ্র হিন্দুরা (২০০২ সালের ফাইল ছবি)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।