আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেয়েরা কি একা?

অনেক পুরনো এক বিতর্ক এটি। বলা যায়, এ নিয়ে কথা বলতে বলতে আমি এবং আমরা অনেকেই আজ ক্লান্ত। বলছিলাম মেয়েদের একাকীত্ব নিয়ে। এই সমাজ ক্রমশ: এগোচ্ছে, এটাই আমরা জানি। কিন্তু কোথায় এগোচ্ছে, কোনদিকে এগোচ্ছে? সামাজিক পরিবর্তনগুলো যদি আমরা দেখি, তবে বলবো, যেদিকেই এগিয়ে যাক না কেন, এর সুফল-কুফল দুই-ই পড়ছে আমাদের ব্যক্তি জীবনে।

আমরা সমষ্টি থেকে ব্যষ্টিকে যাচ্ছি, দল থেকে বিচ্যুত হয়ে একা হয়ে পড়ছি। এই একা হয়ে পড়ার মহোৎসবে আজ অনেকেই শামিল, কিন্তু তার কতটা আনন্দে, কতটা বিপদে পড়ে, সেই হিসেবটা আজ আর মেলাতে পারি না। মেয়েদের একা হয়ে যাওয়া, তাদের একা করে দেওয়া এবং সবশেষে তাদের একাকীত্ব সমাজকে ভারীই করে তুলছে ক্রমশ:। এই একা থাকার মিছিলে প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে মেয়েরা। একদিন এই মিছিল বড় হবে, আকাশ ফুঁড়ে বেরিয়ে যাইবে মহীরুহ হয়ে, তখন তাকে সামাল দেবে কে? তার যোগ্যতায় কতজন পুরুষ এগিয়ে যাচ্ছে যে, তার মাথা সেখানে হেট হবে? মেয়েরা কি একা থাকে না? থাকে।

থাকতে হয়। একজন মেক্সিকান কবির কবিতায় পড়েছিলাম, 'প্রতি রাতে মেয়েদের একটি সময় দেওয়া উচিত, যাতে সে কেঁদে নিতে পারে'। কথাটা খুব সত্যি। মেয়েরা প্রকৃতিগতভাবে সবাইকে নিয়ে থাকতে চাইলেও মূলত সে একাই। অনেকের মাঝে একা।

তার এই একাকীত্বে কেউ তার সঙ্গী হয় না, কেউ বুঝে উঠতে পারে না তাকে। দিনশেষে বিছানায় যাওয়ার আগে তাইতো তার একটু সময় বের করার জন্যই মেক্সিকান ওই কবির আকুতি। স্রষ্টা যেই হোন না কেন, খুব যত্ন করেই একজন নারীকে দশভুজা করে পৃথিবীতে পাঠান, যাতে সে সব অন্যায়-দু:খ-কষ্ট অর্থাৎ সর্বংসহা হয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত। সেদিক দিয়ে স্রষ্টাকে একেচোখা বললেও অত্যুক্তি হয় না। প্রতিবাদী মেয়ে মাত্রই একা মেয়ে।

এসব মেয়েকে টেবিল সঙ্গী করে ঘুরে বেড়ানো যায়, ঘরে আনা যায় না। কারণ, সে প্রতিবাদী। অন্যায় সে সইবে না। (চলবে) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।