জাফনা স্কুলে যায়, আমি প্রায়দিন তাকে নানা প্রশ্ন করি। ক্লাশে কি পড়ালো, কি খেলা হল। তার কটা বন্ধু হল..........ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব প্রশ্নে সে সীমাহীন বিরক্ত হয়। মেজাজ ঠিক না থাকলে উত্তর পাই না।
তবে রাতে ঘুমুবার সময় ঠিকই পুটুর পুটুর করে মা'কে সব কথা বলে দেয়। তাই আজকাল আমি আর প্রশ্ন করে ওকে বিরক্ত করি না। এর মাঝে একদিন বলছিল তার বন্ধুদের নাম, দেখা গেল সবগুলোই মেয়েদের নাম। কেন কোন ছেলে বন্ধু নেই? বলল, না নেই। মেয়েটা ছেলেগুলোর ধারকাছ দিয়ে যায় না।
তার ক্লাশের এক ছেলেবাচ্চার মায়ের সাথে আমার বেশ ভাব হয়ে গেছে। আমি মেয়েকে যখন বলি অমুক কে চেন? সে বলে না চিনি না। আমাকে আবার পাল্টা প্রশ্ন করে, আমি কিভাবে চিনি। আমি বললাম, ওর আম্মুকে আমি চিনি, তিনি বলেছেন।
সেদিন আমরা স্কুল থেকে ফিরছি, সেই ছেলেবাবুটা তার মায়ের সাথে আমাদের আগে আগে।
ওর মা দাঁড়াল, উনার ছেলে নাকি বলেছে...আম্মু পেছনে যে মেয়েটা আসছে সেটা আমার ক্লাশের মেয়ে বন্ধু । অথচ জাফনা নাকি তাকে চেনেই না।
এই কথা আমি আমার এক বিটলা বন্ধুকে (ছেলেবন্ধু) বললাম, আমার মেয়ে দেখি ক্লাশের ছেলেগুলোকে খেয়ালই করে না! ঐ বিটলা বলে........মেয়েরা তো এমনই হয়। ছেলেদের খেয়াল করে না।
.......................................
বিকেলে পার্কে হাটতে যাই।
নিজের মত হাটি, হাটা শেষে বাড়ী ফিরে আসি। কখনো খেয়ালও করি না আর কে এল গেল। সেদিন আমাদের ভাইজানও গেছেন হাটতে, আমি আমার মত চলে এসেছি। উনি এসেই পার্কে কতজন মহিলা ছিল, তারা কে কেমন স্বাস্থ্যের অধিকারী, এবং তাদের সাথে হাটতে হাটতে উনি পিছনে পড়ে যাচ্ছিলেন............ইত্যাদি গল্প মজা করে বলছিলেন। তখন আমরা একমত হলাম................আসলেই মেয়েরা কিছুই দেখে না।
ছেলেরা সবই দেখে।
( এইটা পড়ে কেউ যেন মাইন্ড না খায়................দ্বিমত থাকতেই পারে.........জাস্ট ফান)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।