একটু ধর্যের পরীক্ষা নেয়াযাক, প্রশ্নের উত্তটা পরে দেব। তার আগে একটা গল্প বলি।
অনেক অনেক কাল আগের কথা। একরাজা তার রাজ্যের জন্য কিছু বিজ্ঞ লোক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিলেন। বিজ্ঞপ্তিতে তাও বলা হল যে, যারা তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে তারাই রাজ সভায় গুনিজন আসন পাবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে "বলা হল'' বললাম কারন তখনত আর প্রিন্ট মিডিয়া ছিলনা। তখন ঢোলিরাই ছিল সাংবাদিক- তবে তখনকার ঢোলিরা আজকের বাংলাদেশের মত সেপাইদের হাতে মার খেতনা। কারণ তারা ছিল রাজ পক্ষের ঘোষনা সাংবাদিক। অনেকটা (বি টি ভির) মত।
, তা প্রশ্ন তিনটা কি?
১. পৃথিবীর পরিধি কত?
২. পৃথিবীর মধ্যভাগ কোথায়?
৩. আর সাত সাগরের জল কত?
রাজ্য ভিন রাজ্য সবখানে সাড়াপরে গেল সব পন্ডিতের মাথার চুল পায়ের পাতার চামরা সব ছিটা ফুটা হয়ে গেল কিন্তু কোন সুরাহা হচ্ছেনা।
আর অনেক বড়বড় পন্ডিত যেমন সেন বংশীয়, মাল গুত্রীয়, আবুল সম্প্রদায়ীর মত বড় বড় বংশিয় পন্ডিতরা রাজসভার গুনিজন হতে নাপেড়ে হতাস, হাতের নখ গুলান কামরে কামরে ছোট হয়ে যাচ্ছে কেবল। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছেনা।
সব সম্ভাবনা যখন শেষ তখন হঠাত এক অচেনা লোকের আবির্ভাব ঘটল। সে কে ? তার পরিচয় জানাগেল, সে পাল বংশীয় কোন এক বিক্ষাত পন্ডিত গোপাল।
এবার উত্তরের পালা
-
গোপাল একে একে উত্তর দিল-
১. মহাশয় আমি পৃথিবীর পরিধি মেপে এসেছি, আপনার রাজ দরবারে ফটকের বাইরে পচিশটি রেশম সুতাবোঝাই গরুর গাড়ি আছে।
পরিধি মাপার পর দৈর্ঘ বরাবর রেখে প্রস্থছেদ করেছি। আপনার লোক দিয়ে মাপিয়ে নিন।
২. আর আছে ২১ গাড়ি নুরি পাথ , প্রতি এক গ্যালন করে পানি মেপেছি আর একটা করে নুরি পাথ গাড়িতে রেখেছি। মহাসয় সংখ্যার পরিমানে ১২ লিখে ১২১২টি শূণ্য বসাতে হবে। মহাসয় বিশ্বাস নাহলে গুনে দেখতে পারেন।
আর তৃতিয় প্রশ্নর উত্তর?
মহাশয় আপনার বাড়ির উঠানের তালগাছটা পৃথিবীর একবারে মাখখনে । আপনি চতুরদিকে মেপ আসতে পারেন। আমার কোন আপত্তি নাই। তবে উত্তর পেতে কিন্তু আপনাকে পরকালের অপেক্ষায় থাকতে হবে মহারাজ।
কারণ ঐ হিসাব গুলা আমার দাদার দাদার দাদার দাদা শুরু করেছিলে আর শেষবধি আম।
রাজার চুখে চরখগাছ গজাইছিল কি না তা জানিনা, তবে রাজার অক্ষমতার বদৌলতে গোপাল রাজগুনিজন হয়েছি বৈকি।
রুপক গল্প।
এমন থাক্পা মারা ধাপ্পাবাজি সব যুগেই ছিল, যেন লর্ডক্লাইভকে কে কোন এক বাংগালি কুলি বরেছিল
কুলি- সাহেব কলিকাতার ৯৯৯৯৯ টা গাধা আছে।
ক্লাইব - কিবল? কমওত হইতে পারে, আবার বেশিও হইতে পারে।
কুলি- সার বেশি হইলে ডিল্লি থেকে বেড়াইতে আইছে আর কম হইলে বেড়া্ইতে পাটনা গেছে।
তবে ঠিক ৯৯৯৯৯ টা।
ঐ ৯ অঙ্ক টা আবার ক্লাই সহেবের পচন্দনা তাই ক্লাইভ সাবেহ নাকি মেডাম ক্লাইভ কে গাধার পরিমান টা বলেছিল খুব কষ্ট নিয়ে মেডাল বলেছিল " তুমি কি তোমাকে ছাড়া হিসাব করেছ নাকি তোমাকে সহ"। তো
তোমাকে সহ হিসাব কর তাহলে পরিমান টায় আর ৯ সংখ্যাটা থাকবেনা।
তবে যাহা প্রমান করা যায়না তাহা বিশ্বাস করা ভাল না করা আরো ভাল। অকপটে বিশ্বাস করা খারাপ
কথা হচ্ছিল হিগস-বোসন নিয়ে, বিজ্ঞানী "পিটার হিসগস" এবং বাঙগালী বিজ্ঞানী "সত্যেন্দ্রনাথ বসো" এই দুইজনের নামে শেষাংশ নিয়ে গঠিত নাম হিগস-বোসন।
এক কথায় বলতে গেলে বর্তমানের সব চাইতে আলোচিত শব্দ এটি, একে বলা হয়ে থাকে "ইশ্বর কনা"। মা
মানেকি? এই কনা কি ইশ্বর। রূপক অর্থে কেও কেও তা বললেও আমরা বলনা।
কারণ আমরা আল্লাহয় বিশ্বাস করি। আমাদের আল্লাকে ধরা যায়না।
তাকে হৃদয় দিয়ে অনুভব করতেহয়। বিশ্বাস করতে হয় না দেখে । কারণ আল্লা নিরাকার ।
আসলে এটি একটি অতি পারমানবিক কনা যা পদার্থের ভর তৈরি করে। ইহা ধরার জন্য সম্প্রতি ফাদ পাতা হইয়েছিল ।
যেহেতু কনাটি কাল্পনিক তাই এটির অস্তিত্ব প্রমান হবে লার্জ হার্ডন কোলাইডারে এবং বিজ্ঞানিরা একে বাস্তব অস্থিতের আকারে পৃথিবী বাসি মানুষের কাছে, আমাদের কাছে তুলে ধরবেন।
ঈশ্বর কনা কত ভারি? এটাকি বিজ্ঞানীরা তোলে ধরতে পারবেন? আমাদের সামনে? নামে ঈশ্বর কনা হলেও উজনে কিন্তু কয়েক টন বা কয়েম মন নয়। এমন কি কয়েক ছটাক ও না। প্রোটনের চাইতে মাত্র ১২৫ গুন ভারি।
২০০৭ সাল থেকে জ্ঞানের পসরা সাজিয়ে ধর্যের পরীক্ষা দিয়ে আসছে বিজ্ঞানিরা, "" ঐ ফুল কই গেল? এই বুঝি এল এল,""
কিন্তু অপেক্ষার আর শেষ হয়না।
জানিনা তখন বিজ্ঞানিদের কেও কেও কনাকে তখন ডেকেছিল কিনা দুই হাত তোলে ( এসো এসো ঈশ্বর এসো ধরা ধামে, এসো কনা হয়ে হিগস- বোসন নামে) ।
হয়তবা ডেকেছিল - হয়তবা না। তবে প্রার্থনা শোনলে ই ভার হত - খাটি রূপে আসত, এখন যা এসেছে তা ভেজাইল্লা ঈশ্বর, এক রাশ সন্দেহ আর আরো পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ছায়া কনার আবিভাব হল ।
জানিনা চাঁদে অভিযানের মত এটিও কোন দিন প্রশ্ন বিদ্ধ হয়কিনা।
দির্ঘ ৫ বছর অপেক্ষার পর এবার ঘোষনা দেবার পালা।
যার উপর নির্ভর করছে স্টেন্ডার্ড ফিজিক্সের ভবিষ্যত বাছা মরা । সেই শ্বাস রোদ্ধকর মূহুর্ত।
বিজ্ঞানিরা ঘোষনা করলেন আমরা হিগস- বোসনের অনুরুপ কনার সন্ধান পেয়েচি। তবে তা হিগস-বোসন কিনা তা নিশ্চিত হতে আরো পরীক্ষার পয়োজন এবং বড় পরিসরে আরো গবেষণা করতে হবে। এটি ত ছোট গবেষণা মাত্র ১০০০ কোটি ডলার খরচ করে করা হয়েছে।
আমার জ্ঞানের পরিধি অনেক কম এবং এমন পরীক্ষা করা আমাদের দুঃসাধ্য বিধায় আমি বিশ্বাস করলাম । পাঠক আপনি করবেন কিনা তা আপনার উপর।
তবে মনে রাখবেন ৫০ বছর আগে যা কাল্পনিক মনেহত এখন কিন্তু তা প্রমানিত্তই না একদম পুরাতন সেকেলে বিজ্ঞান। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।