হিমালয় থেকে সুন্দরবন হঠাৎ বাংলাদেশ ১) বাঙ্গালি নারীদের জগৎ-সংসার ভয়ংকর রকম সংকীর্ণ । তাদের সারা জীবনের চিন্তা-ভাবনায় শুধুই স্বামী-সন্তান-সংসার। এদিক থেকে বাঙালি পুরুষদের জীবন ও চিন্তা-ভাবনা অনেক বিস্তৃত ও উদার। স্ত্রী-সন্তান-সংসার ছাড়াও তারা নিজেদের পেশা ও বাজার করা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেন।
২) শীতের তীব্রতা ঘুমের সাথে সমানুপাতে এবং গোসলের সাথে ব্যাস্তানুপাতে যুক্ত।
৩) শিক্ষক হিসেবে চাকুরী নিলেই শিক্ষক হওয়া যায় না। শিক্ষক হতে হলে নূন্যতম কিছু গুণ লাগে।
৪) আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতেন চরিত্রবান মেধাবীরা। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে লাগে মাঝারি সিজিপিএ আর প্রতিযোগিতামূলক চরিত্রহীনতা।
৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আর প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকের মাঝে পার্থক্য এক জায়গায়।
প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক জানেন তিনি বেশী কিছু জানেন না। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এই সাধারণ সত্যটাতো জানেই না, বরং কোন ভাবে জানানো হলে তীব্র রাগে দাঁত কিড়মিড় করে।
৬) যে কোন কাজ সেটা ব্যবসা সম্পর্কিত হোক বা জনস্বার্থ সম্পর্কিত, প্রচারণাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঠিকভাবে প্রচারণা চালাতে পারলে পনের মিনিটে তিন হাজার মানুষ খুন করে সফলভাবে গুম করে ফেলা সম্ভব।
৭) চুল দাড়ি বড় রাখলে আর পাঞ্জাবি পরলেই কবি হওয়া যায় না।
যদি তাই হত, দেশে পাঞ্জাবির দাম বেড়ে যেত, আর নাপিত সম্প্রদায় তাদের পেশা বদলাত।
৮) বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশী উচ্চারিত শব্দ ভাই। এ থেকেই স্পষ্ট বোঝা যায় আমাদের সমাজের পুরুষতান্ত্রিকতা ও তোষামোদি রোগ কত ভয়াবহ।
৯) নির্লজ্জ বেহায়া বেশরম নারীপুরুষ দেখতে চান। লাইব্রেরিগুলোর রিডিংরুমে যান।
জোড়ায় জোড়ায় পেয়ে যাবেন।
১০) একজন ছাত্র আরেকজন ছাত্রী । গ্রুপ স্টাডির সবচেয়ে জনপ্রিয়, এবং সবচেয়ে বেহায়াপূর্ণ ফরম্যাট।
১১) তুমি নারী, কারণ গাছের মিষ্টি ছায়াতেও তোমার মাথার উপর ছাতা থাকে।
আমি পুরুষ, কারণ দুপুরের কাঠ ফাটা রোদেও আমার সাথে ছাতা নেই।
১২) অশ্লীলতা ব্যাপারটা যে বিষয়ের উপর নয় প্রকাশ ভঙ্গীর উপর নির্ভর করে সেটা জ্ঞানী-গুণীরা বহুকাল আগে থেকেই বলছেন। কিন্তু এই সত্যটা এতদিতে ভালো করে উপলব্ধি করলাম বাঁশ শব্দের বহুমাত্রিক প্রয়োগ দেখে।
১৩) পুরুষতন্ত্র দ্বারা নারীবাদ ভয়াবহভাবে নিয়ন্ত্রিত। নারী সেটা বুঝতেও পারে না। তারা নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য মিটিং-মিছিল-সমাবেশ করেন হাই হিল জুতা পরে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।