আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কি নিষ্ঠুর ০ কন্যা সন্তানকে জীবন্ত পুতেছে পিতামাতা -আমরা কোথায়

কন্যা সন্তান জন্ম নেয়ায় সদ্যজাত ওই শিশুকে জীবন্ত পুঁতে ফেলেছে তার পিতামাতা। এরপর তারা পালিয়েছে। রাজস্থান পুলিশ এ কথা জানিয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গালফ নিউজ। পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, জয়পুর থেকে ১০০ কি: মি: দূরে দাউসা জেলার তোদারাস গ্রামের বাসিন্দারা গত সোমবার একটি শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পায়।

তারা সেখানে গিয়ে দেখতে পায় এক দম্পতি তাদের সদ্যপ্রসূত কন্যাসন্তানকে জীবিত পুঁতে রেখেছে। গ্রামবাসী ওই দম্পতিকে ধরার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়। তারপর তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ আরও জানিয়েছে, শিশুটিকে উদ্ধার করার পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

তার জ্বর ছিল। কিন্তু এখন সুস্থ আছে। প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে পলাতক দম্পতির বিরুদ্ধে একটি কেস নিবন্ধিত করা হয়েছে। রাজস্থানে কন্যা সন্তান হত্যার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। সেখানে অনেক পিতামাতা তার সন্তান কন্যা হলে তাকে ফেলে দেয় অথবা তারা ভ্রুণ থাকা অবস্থায় গর্ভপাত ঘটিয়ে হত্যা করে।

পুলিশের কাছে এমন অনেক ঘটনার ফিরিস্তি আছে। গত ১৯শে মে রাজস্থানের বাসস্টান্ডের বুন্ডি এলাকায় কাপড় দিয়ে প্যাঁচানো মৃত একটি কন্যা সন্তানের মৃতদেহ উদ্বার করা হয়েছে। এদিকে ৯ই মে উদয়পুরে এতিমখানার দরজার পাশে ১টি শিশু পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। গত বছরের জরিপ অনুযায়ী, রাজস্থানে ১০০০ ছেলে শিশুদের বিপরীতে কন্যা শিশু রয়েছে ৮৮৩ টি। এদের বয়স ৬ বছরের মধ্যে।

দিনদিন মেয়ের সংখ্যা অবনতির কারণে রাজস্থান সরকার গত মে মাসে মেয়েদের জন্য নতুন পলিসি ঘোষণা করেছে। গালফ নিউজ আরও জানায়, এশিয়া মহাদেশের অন্যতম জনবহুল ও উন্নত রাষ্ট্র ভারত। সেখানে বেশির ভাগ হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং বিভিন্ন নারী দেবতার আরাধনা করেন। নারীদের ধন-দৌলতের দেবী মনে করলেও সেই দেবীকে নির্দিধায় হত্যাও করতে পারে তারা। ভারতের কুসংস্কার আচ্ছন্ন অনেক জায়গায় এখনও কন্যাসন্তান জন্ম দেয়াকে অভিশাপ মনে করা হয়।

ভারতের একদিকে যখন নারীরা বিশ্বকে জয় করার প্রয়াস করছে, অন্যদিকে সেখানেই অন্য অংশের নারীরা শিকার হচ্ছেন নানা বঞ্চনার। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।