ইরানি বিশষজ্ঞরা গত বছরের ৪ ডিসেম্বর দেশটির আকাশে
অনুপ্রবেশকারী অত্যাধুনিক মার্কিন আরকিউ-১৭০ ড্রোন সফলভাবে নামিয়ে আনেন। মার্কিন লকহিড মার্টিন কোম্পানির তৈরি রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম ড্রোনটি আফগান সীমান্ত দিয়ে ইরানের আকাশসীমায় ঢুকেছিল।
কোনরকম ক্ষতি ছাড়াই গোয়েন্দাবৃত্তির কাজে ব্যবহৃত ড্রোনটি মাটিতে অবতরণ করিয়েছিল ইরান। সে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ড্রোনটি ওয়াশিংটনের কাছে ফেরত পাঠানোর জন্য তেহরানের প্রতি আহবান জানিয়েছিলেন। কিন্তু ওবামা'র লজ্জাশরম না থাকলেও ইরানের মাথায় তো বুদ্ধি আছে! তারা তাদের 'বড় শত্রু' আমেরিকার ড্রোনটির ওপর রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং শুরু করেন।
গত ডিসেম্বরে এ খবরও বেরিয়েছিল যে, রাশিয়া ইরানের কাছ থেকে এ ড্রোনের প্রযুক্তি সংগ্রহ করতে পারে।
সর্বশেষ খবর হচ্ছে, ইরানি বিশেষজ্ঞরা মার্কিন ড্রোনটির প্রযুক্তি অর্জন করে ফেলেছেন। খুব শিগগিরই তারা নিজস্ব প্রযুক্তিতে এটি তৈরি করবেন, তবে রাশিয়াকে এ প্রযুক্তি দেয়া হবে কিনা- তেহরান এখনো সে সিদ্ধান্ত নেয়নি।
ইসলামী ইরান আরকিউ-১৭০ মার্কিন ড্রোনের অনুকরণে নতুন ড্রোন তৈরি করবে। ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র বিমান ও আকাশ প্রতিরক্ষা বিভাগের শীর্ষ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইরান এরইমধ্যে ভূপাতিত ওই ড্রোনের বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য পেয়ে গেছে এবং এখন নিশ্চিতভাবেই এ ড্রোনের অনুকরণে নতুন পাইলটবিহীন বিমান বানাবে।
ভূপাতিত ড্রোনের গোপন তথ্য উদ্ধারে ইরান সক্ষম নয় বলে বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যম বিশেষ করে পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমে যেসব খবর বের হয়েছে তা নাকচ করে দিয়ে জেনারেল হাজিজাদেহ বলেন, ইসলামী ইরান ওই জটিল প্রযুক্তির ড্রোন অক্ষত অবস্থায় ইরানের মাটিতে নামিয়ে এনে এরইমধ্যে তার সক্ষমতা প্রমাণ করেছে।
তিনি বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে- মার্কিন এ ড্রোনে শত শত রকমের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এবং ব্যবহারিক, তথ্য ও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে এর প্রত্যেকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রযুক্তি এখন ইরানের হাতে চলে এসেছে, যদিও শত্রুরা তা চায়নি।
ইরান মার্কিন ড্রোনের এ প্রযুক্তি রাশিয়ার মতো দেশের কাছে বিক্রি করবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে জেনারেল হাজিজাদেহ বলেন, এ বিষয়ে ইরান সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে, গত পহেলা জুলাই ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমাদ ওয়াহিদি বলেছেন, তার দেশের বিশেষজ্ঞরা ভূপাতিত মার্কিন আরকিউ-১৭০ ড্রোনের কারিগরী বিষয়ক নতুন তথ্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি জানান, স্বাভাবিক পথেই আরকিউ-১৭০ ড্রোনের কারিগরী তথ্য বের করা গেছে। তবে, ইরান এ বিষয়টি নিয়ে তেমন প্রচার চালাতে চায় না বলে জানিয়েছিলেন আহমাদ ওয়াহিদি।
গত ৪ ডিসেম্বর ইরানি সেনাবাহিনীর ইলেক্ট্রনিক যুদ্ধ ইউনিট ইরানের আকাশে ঢোকার পর রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম মার্কিন আরকিউ-১৭০ ড্রোন সফলভাবে নামিয়ে আনে। মার্কিন লকহিড মার্টিন কোম্পানির তৈরি ড্রোনটি আফগান সীমান্ত দিয়ে ইরানের আকাশসীমায় ঢুকেছিল।
#
আকাশে উড়ছে একটি মার্কিন আরকিউ-১৭০ ড্রোন
ইরানের হাতে আটক ড্রোন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।