আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুর রহস্য উন্মেচন

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব। মৃত্যুর আট বছর পরে আজও রহস্য হয়ে আছে যে, ঠিক কিসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলনের নেতা ইয়াসির আরাফাত। ইসরাইলি বাহিনীর হাতে অবরুদ্ধ আরাফাতকে তার রামাল্লার অফিস থেকে সরাসরি বিমানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ফ্রান্সের একটি সামরিক হাসপাতালে, সেখানেই প্রচুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার চাপে জীবনের শেষ দিনগুলো কাটিয়েছিলেন তিনি। তার ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার, লিভারে সিরোসিস হবার এমনকি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হবার গুজবও ছিল তখন। কিন্তু আন্তর্জাতিক টিভি নেটওয়ার্ক আল-জাজিরা’র নয় মাসব্যাপী অনুসন্ধানের পর মঙ্গলবার প্রচারিত খবরে যে তথ্য বেরিয়ে আসলো- তাতে দেখা যাচ্ছে গুজবটির কোনোটিই সত্য নয়।

দেখা যাচ্ছে, ২০০৪ সালের ১২ অক্টোবর হঠাৎ অসুস্থ হবার আগ পর্যন্ত আরাফাতের স্বাস্থ্য পুরোপুরি ভালো ছিল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল, মরণরোগের শয্যায় থাকাকালে আরাফাতের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত জিনিসপত্র- পোশাক, দাতের ব্রাশ এমনকি তার বিখ্যাত আরবি জোব্বা’র পরীক্ষায় প্রমাণ মিলেছে যে এসব কিছুতেই অতি অস্বাভাবিক উচ্চমাত্রায় মিশে ছিল মারাত্মক বিষাক্ত একটি তেজস্ক্রিয় উপাদান- পলোনিয়াম। আরাফাতের রক্ত, ঘাম ও মূত্র মিশে থাকা এসব জিনিসপত্র পরীক্ষা করা হয় সুইজারল্যান্ডের লসান রেডিওফিজিক্স ইনস্টিটিউটে, পরীক্ষা নিরীক্ষার ফল দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছে যে যখন তিনি মারা যান তখন তার শরীরের প্রতিটি কোষ আর রক্তবিন্দুতে ঠাসা ছিল অতি অস্বাভাবিক উচ্চমাত্রার বিষাক্ত তেজস্ক্রিয় পদার্থ- পলোনিয়াম। আল-জাজিরা টিভিতে প্রচারিত সংবাদে দেখা যায় ইনস্টিটিউটটির পরিচালক ড. ফ্রাঙ্কো বোচসহ অনেক বিশেষজ্ঞ এ পরীক্ষার ফল সমর্থন করছেন। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বিষাক্ত পলোনিয়াম-১২০ বিষাক্ত তেজস্ক্রিয় শতকরা ৬০ থেকে ৮০ ভাগ হারে ছিল ইয়াসির আরাফাতের শরীরে, যাকে ‘অসমর্থিত’ হার বলছেন তারা, যার মানে হচ্ছে কোনো প্রাকৃতিক উৎস থেকে এ বিষ আসেনি তার শরীরে- কৃত্রিমভাবে ঢোকানো হয়েছিল।

সুত্র Tests hint at possible Arafat poisoning  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।