আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভালো বাবা-খারাপ বাবাঃ হুমায়ন আহমেদকে নিয়ে আমিনুল ইসলামের স্ট্যাটাস এবং প্রসঙ্গ কথা

চিত্ত যেথা ভয়শূন্য কবি এবং চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম আমার ফেসবুক বন্ধু। তার স্ট্যাটাসে একটা কমেন্ট দিয়েছিলাম। কমেন্ট দেবার আগে কল্পনাও করিনি, কী ভয়ঙ্কর পথে পা বাড়াচ্ছি। টের পেলাম কিছুক্ষন পরে। চাকে ঢিল ছুড়লে যেভাবে ভীমরুল দল বেঁধে কামড়াতে ছুটে আসে, ঠিক সেইভাবে বাক্যবাণ ছুটে আসতে থাকলো।

আমিনুল লিখেছিলেনঃ “পৃথিবীতে অসংখ্য খারাপ মানুষ আছে, একজনও খারাপ বাবা নেই। হুমায়ূন আহমেদের এ কথার সঙ্গে আমি একমত নই । আমার ধারণা, পৃথিবীতে কম করে হলেও একজন খারাপ বাবা আছেন । তিনি হুমায়ূন আহমদ নিজেই । ভাল লেখক হলেই ভাল মানুষ বা ভাল বাবা হতে হবে সে রকম কোন কথা অবশ্য নেই।

" আমিনুল কবিতা লেখেন ভালো, কিন্তু সমাজ সম্পর্কে এতটা পিউরিটান কেন, সেটা আমার বোধগম্য হলোনা। আমার মন্তব্য ছিলো, ভালো বা খারাপ বাবা বলার অধিকার এবং প্রাসঙ্গিকতা আছে একমাত্র তাঁর সন্তানদের, আমাদের নয়। আমরা পাঠক এবং সেজন্য আমরা তাঁর রচনার সাহিত্যগুণ নিয়ে আলোচনা করতে পারি। কিন্তু তাঁর ব্যক্তিজীবন নিয়ে আলোচনা করতে পারিনা, কারণ ইতিহাসের কাছে তার ব্যক্তিজীবনের আবেদন নেই, খুব বেশী প্রাসঙ্গিকতাও নেই। স্ট্যাটাসটিতে একটি আলোকিত বিতর্ক হওয়ার চমৎকার সম্ভাবনা ছিলো।

কিন্তু আলোচনাতে এমন সব ব্যক্তিগত আক্রমন আর যুক্তিহীন বক্তব্য আসা শুরু হল যে, শেষ পর্যন্ত তা একেবারে গ্রাম্য ঝগড়ায় পর্যবসিত হল। স্ট্যাটাসে এতো লম্বা আলোচনা চালিয়ে যাওয়া আর সম্ভব হচ্ছিলনা। তাই সেটার উত্তর আমি একটা নোটে লিখে আলোচকদের ট্যাগ করে দেবো বলে অঙ্গীকার করেছিলাম। এই হচ্ছে এই নোট লেখার প্রাক-কথন। আলোচনাতে আমি কিঞ্চিৎ দর্শন থেকে যুক্তি তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলাম।

সেটা আবার আমিনুল ইসলামের পছন্দ নয়। যুক্তির বদলে মন্তব্য দিয়ে চিন্তাকে খারিজ করার চেষ্টা বাংলাদেশের আলোচকদের একটা সহজাত গুন, ওই আলোচনায় আলোচকদের সেই গুনের অভাব ছিল না। হুমায়ন আহমেদের সাথে আমার ব্যক্তিগত জানাশোনা নেই। তাঁর বিষয়ে আমার কোন মুগ্ধতাও নেই। তবুও এই বিষয়ে আলোচনার অবতারনা করেছি, কারণ এই ইস্যুতে "সমাজে নৈতিকতা" বিষয়ে প্রচলিত ধারণা নিয়ে কিছু প্রশ্ন উত্থাপনের সুযোগ হয়েছে।

আলোচনার বিষয় হুমায়ন আহমেদ নয়, বরং বিষয়"নৈতিকতা"। হুমায়ন আহমেদ এখানে নিছক উপলক্ষ। আলোচনাটা একটু আগে থেকে শুরু করতে হবে। এটাকে আবার কেউ জ্ঞান ফলানো বলে ভেবে নেবেন না আশা করি। একটা সমাজ এবং রাষ্ট্র যেন চলমান থাকে, সেই উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয় আইন।

আমরা আমাদের কিছু কিছু সার্বভৌম অধিকারকে রাষ্ট্রের কাছে অর্পণ করে রাষ্ট্রকে সার্বভৌম করে তুলি এবং রাষ্ট্র কিছু আইনের সীমানায় আমাদের আচরণকে বেঁধে রাখে। কিন্তু মানুষের আচরণ এত বিচিত্র এবং বহুমুখী যে, আইনের সীমানায় সব আচরণকে বেঁধে ফেলা সম্ভব হয়না। তখন প্রয়োজন হয় নৈতিকতার। মানুষের চিন্তার ইতিহাসে নৈতিকতার সন্ধান সবচেয়ে পুরনো। কারণ “ নৈতিকতার ধারণার “ ক্ষমতা আছে আরও কিছু স্বেচ্ছা আরোপিত শৃঙ্খলা কারো উপর চাপিয়ে দেয়ার, যেটার (নৈতিকতার) কোন প্রমিত রূপ কোনও দেশে, কোনও সমাজে কোনও কালে ছিলো না, কখনও থাকবেও না।

তাই একসময় নৈতিকতার সন্ধান চিন্তার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ হলেও পরবর্তীতে তা ক্ষীণ হতে হতে হারিয়ে যায়। যেহেতু হুমায়ন আহমেদ আইন ভাঙ্গেননি, তাই সবার চেষ্টা নৈতিকতা দিয়ে কীভাবে তাঁকে আটকে দেয়া যায়। তাই সেই স্ট্যাটাস এর কমেন্টে এক আলোচক বলেছিলেন "“ইউ ক্যান নট"”। এই "“ক্যান"” আমিই তৈরি করেছি যেটা আমি শুধু জানি আর এই “"ক্যান”" তুমি মানতে বাধ্য। কী আগ্রাসী চিন্তা রে বাবা ! এই “ক্যান” এবং “ক্যান নট” এর যন্ত্রণায় নৈতিকতা অধিকাংশ সময়ে হয়ে দাঁড়ায় একধরনের কুসংস্কারের মতো।

তাঁরা বোঝেনও না, তাদের ভালো-মন্দ বোধ নির্দিষ্ট স্তরে আটকে আছে, নৈতিকতার শামুকের ভেতর খোলসে আবদ্ধ হয়ে আছে। এই খোলসে আবদ্ধ মানুষ বা সমাজ কখনও বাড়তে পারে না, তাদের নীতিচিন্তাও নতুন কোন স্তর অতিক্রম করতে পারে না। নৈতিকতার মজাটা দেখুন। বিবাহ বিষয়ক নৈতিকতা একটু ব্যবচ্ছেদ করা যাক। এক ধর্মে, সভ্যতায়, রাষ্ট্রে কিংবা সমাজে যা অনৈতিক তা অন্য ধর্মে, সভ্যতায়, রাষ্ট্রে কিংবা সমাজে নৈতিকতার মাপকাঠিতে তা অবলীলায় উত্তীর্ণ হয়ে যায়।

হিন্দু সমাজে চাচাতো, ফুফাতো, খালাতো, মামাতো বোনদেরকে বিয়ে করা অনৈতিক। কিন্তু মুসলিম সমাজে শুধু যে নৈতিক তা-ই নয়, ঐ কাজিনদের সন্তানদেরকে বিয়ে করাও অনৈতিক নয়। আবার দেখি হিন্দু সমাজে ক্ষেত্রজ সন্তান গ্রহণ (স্বীয় পত্নীর গর্ভে অন্য পুরুষের দ্বারা সন্তান উৎপাদন), একজন নারীর একাধিক স্বামী, আপন দুই বোনের এক স্বামী, কুম্ভ বিয়ে(মানুষের সাথে গাছের বিয়ে), বিধবার মৃত স্বামীর ভাইয়ের শয্যা সঙ্গিনী হওয়া কোন অনৈতিকতা নয়, বরং আইনসিদ্ধ বলে মান্য করা হয়ে থাকে। তেমন করে- হিন্দু সমাজে রাক্ষস বিয়ে, পিশাচ বিয়ে, আইনসিদ্ধ বলে গণ্য করা হয়ে থাকে। কিন্তু ইসলামে এই ধরণের বিয়ে নিষিদ্ধ।

এই কাজগুলো মুসলিম সমাজে শুধু অনৈতিক-ই নয়, বরং পাপ হিসেবে বিবেচিত হয়। লালন বিষয়টা ঠিকই বুঝেছিলেন। এই গানটা নিশ্চয় শুনেছেন? এক দেশে যা পাপ গণ্য অন্য দেশে পূণ্য তা \ পাপ পুণ্যির কথা আমি কারে বা শুধাই \ দ্বিপতনীয়ম অনুসারে এক নারী বহুপতি ধরে এদেশেতে হলে পরে ব্যভিচারির দন্ড দেয়‍‍\ পাপ পুণ্যির কথা আমি কারে বা শুধাই‍\ শুকর গরু দুটি পশু খাইতে বলেছেন যিশু\ তাই শুনে কেন মুসলমান হিন্দু \ বিচ্ছেদতে হটায় \ পাপ পুণ্যির কথা আমি কারে বা শুধাই\ দেশ সমস্যা অনুসারে ভিন্ন বিধান হতে পারে \ লালন বলে তাই জানিলে\ পাপ পূণ্যের আর নাই বালাই\ নৈতিকতা বা অনৈতিকতা গোষ্ঠী, সমাজ, সভ্যতা ও ধর্মে আপেক্ষিক। আমি আগেই বলেছি এর কোন প্রমিত রূপ নেই। প্রতিটি জীবন-দর্শন গড়ে উঠেছিল সেই সময়ের প্রয়োজনের তাগিদে, তাই প্রতিটি জীবন দর্শন সেই প্রেক্ষিতে সেই সময়ে স্বীয় নৈতিকতার মানদণ্ড প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছিলো।

কাজেই এক সময়ের মানদণ্ড দিয়ে অন্য সময়ের নৈতিকতা কখনো পরিমাপ করা যায় না। এটাই নৈতিকতার ধারণার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত American Psychiatric Association এর সংজ্ঞা অনুযায়ী সমকামিতাকে মানসিক রোগ হিসেবে আখ্যায়িত করা হতো। পরবর্তীতে সমাজে সমকামিতাকে আইনগতভাবে সমর্থন দেয়ার কারণে ইউরোপের কমপক্ষে তেইশটি দেশে সমকামিদের বিবাহ, আইন দিয়ে সিদ্ধ করা হয়েছে। যে সমস্ত দেশে সমকামি বিবাহ আইনত সিদ্ধ, সেখানে প্রতিবাদ কিন্তু হচ্ছে নৈতিকতার দোহাই দিয়ে।

এই যে এখানেও কিন্তু সেই “"ইউ ক্যান নট”"। এবার একটা উদাহরণ দেই। অলিভার টুইস্ট, আ ক্রিসমাস ক্যারল, ডেভিড কপারফিল্ড, আ টেল অব টু সিটিজ পড়েছেন নিশ্চয়? কেমন লাগে লেখাগুলো? ভিক্টোরীয় যুগের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক চার্লস ডিকেন্সের লেখা ভালো না লাগার কোনও কারণ নেই। শুধু আজকেই নয় আজ থেকে কয়েক শতাব্দী পরেও তাঁর লেখার আবেদন ফুরাবে না, ফুরাবে না চার্লস ডিকেন্সকে নিয়ে আগ্রহও। এবার বলুন চার্লস ডিকেন্সকে কেমন লাগে? খুব বেশী হয়তো জানা নেই তাঁর ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে।

জানার দরকার নেই জন্যই আমরা জানিনা। কারণ তাঁর ব্যক্তিজীবন গবেষকদের আগ্রহের বিষয় হতে পারে, কিন্তু পাঠকের তা না জানলেও চলে। তারপরেও যদি জানতে ইচ্ছে করে, তাহলে বলিঃ চার্লস ডিকেন্সের বিবাহিত এবং যৌন জীবন ছিল ভয়াবহ। ১৭ বছর বয়সে ১৮ বছরের এক তরুণীর সঙ্গে প্রণয়ে জড়িয়ে পড়েন, যা ব্যর্থ হয়। তিনি বিয়ে করেন ক্যাথরিন হগারথকে।

তাঁর স্ত্রী ছিল বাঙ্গালি নারীর মতো পতিব্রতা, নমনীয়। কিন্তু চার্লস ডিকেন্স ছিলেন ঠিক উল্টো। বহু কিশোরীর সঙ্গে তিনি প্রণয়ে মেতেছেন। বিয়ের পরে তিনি তাঁর শ্যালিকা ১৬ বছরের মেরির সঙ্গে প্রণয়ে মেতে ওঠেন। মেরি ছিল সাহিত্যানুরাগী।

অকালে মেরি দেহত্যাগ করলে মর্মাহত চার্লস মৃত শ্যালিকার হাত থেকে একটি আংটি খুলে নিয়ে নিজের হাতে সারা জীবন ধারণ করেছিলেন। তিনি ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, মৃত্যুর পরে তাঁকে যেন মেরির কবরেই সমাহিত করা হয়। ১৮৫৮ সালে ২২ বছর বিবাহিত জীবনের পর তিনি তাঁর স্ত্রীকে ত্যাগ করে তাঁর মেয়ের বয়সী ১৯ বছরের অভিনেত্রী এলেন টারনেন কে বিয়ে করেন। অনেকটা কী মিলে যাচ্ছে হুমায়ুন আহমেদের সঙ্গে ? ভিক্টোরীয় যে সমাজ এই আচরণকে শাপ-শাপান্ত করেনি, আমরা আজকে বিংশ শতাব্দীর বাঙ্গালিদের সমাজ কি তার চাইতেও রক্ষণশীল? এখন তো আমার মনে হয় তাই। ওই যে স্ট্যাটাস এর আলোচক বলেছেনঃ “নর্ম অব দা সোসাইটি”, যা আমাদের সমাজটাকে ঠিক আমাদের মতো করে চিন্তার ক্ষেত্রে নিরাপদ রাখে।

এই "নর্ম" বাঙ্গালি মধ্যবিত্তের ব্রহ্মাস্ত্র। কাউকে আইন দিয়ে আটকানো না গেলে যথা সময়ে এই "নর্ম" প্রয়োগ করা যাবে। তাঁরা মহত্তর সামাজিক বিপ্লবের মধ্যেও ভয়ংকর অন্যায় খুঁজে পাবে। আর সমাজে এই ধরনের মানুষ বেশী হলে তো কথাই নেই। তারা তাঁদের বেঁধে দেয়া নীতির স্তরে সবাইকে দম আটকে মারার চেষ্টা করবে।

কখনো কখনো নীতি-নৈতিকতা হয়ে যায় সুবিধাবাদের নামান্তর। এখন পৃথিবীতে যেকোন ন্যায্য লড়াইকে নীতির নামে দমন করা চলে। কেউ প্রশ্ন করতে পারেন সমাজে কী নীতি থাকবে না? এর কোন সহজ উত্তর নেই। ব্যক্তিগত মূল্যবোধ থাকতে পারে, রুচি বোধ থাকতে পারে, কিন্তু নৈতিকতার নামে "আমার" তৈরি করে দেয়া মান অন্যর উপর চাপিয়ে দেয়া যাবে না। যদি আমরা চাই একটা সাধারন মান অনুসরন করতে তাহলে সেটাকে নৈতিকতার লেবেল না লাগিয়ে আইন করে ফেলা ভালো।

প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায় সাম্প্রতিক সময়ের বিতর্ক "ডাক্তার দের" ডায়াগস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন নেয়ার প্রশ্ন। এটাকে নৈতিকতার আবেদন দিয়ে বন্ধ করা যাবেনা। কিন্তু দেখুন পশ্চিমে এই প্র্যাকটিস নেই, কারন "করাপ্ট প্র্যাকটিস অ্যাক্ট" দিয়ে ডাক্তার আর ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককে সরকার ক্যাঁক করে ধরবে। আর একটা উদাহরন দেই, কিছুদিন আগে সব ওষুধ কোম্পানির মালিকরা মিলে কিছু ওষুধের দাম একসাথে বাড়িয়ে দিয়েছিল। অনেকে অভিযোগ করলেন এটা নৈতিক নয়।

পশ্চিম হলে এটা শিল্পের মালিকরা কখনই করতে পারতেন না, তার অর্থ এটা নয় যে পশ্চিমাদের নৈতিক মান উঁচু, বরং এই ঘটনা "অ্যান্টি ট্রাস্ট" আইনের আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হতো। এবার শেষ করতে চাই অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে আমাদের অধিকারের সীমানা নিয়ে। আমরা কী কারো ব্যক্তিজীবন নিয়ে চর্চায় মাততে পারি? অন্যের ব্যক্তিগত সম্পর্কের কতটুকুই বা জানা সম্ভব? সম্পর্কের মধ্যে প্রেম-ভালবাসা-ঘৃণা-রাগ-অনুরাগ সবই থাকে, থাকে নানান রকমের মাত্রা। কেউ কাউকে চূড়ান্তভাবে ভালবেসে ঘর বাঁধলেও সে ঘর ভাঙতে পারে। সামাজিক সম্পর্কের বাইরেও থাকে অসংখ্য স্তর, বহুমাত্রিক ব্যঞ্জনা।

এজন্য মানুষের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মন্তব্য করা রুচিহীন এবং অনধিকার। সম্পর্কের সার্থকতা সময়ের মাপকাঠি দিয়ে মাপা সম্ভব নয়। বরং দেখা উচিত, কতদিন ধরে সম্পর্কটা "ভালোভাবে" টিকে আছে। যে শান্তির আশায় সবাই সম্পর্কে জড়ায়, সেটাই যদি পাওয়া না যায়, তবে একশো বছরের পুরনো সম্পর্কেরও কোনও সার্থকতা থাকে কি ? এমন অনেক সম্পর্ক আছে, যেগুলো শুধু টিকিয়ে রাখতে হয় জন্যই টিকে আছে ; সেসব সম্পর্ক শেষ হয়ে গেলেই মঙ্গল। অন্তত বাইরে ভালোবাসার সুন্দর মুখোশ পরে অভিনয়টা করতে হয়না।

সম্পর্ক হবে, যদি না টিকে তবে ভাঙবে, আবার হবে। নতুন সম্পর্কে আবার মানুষ জড়াবে, এটাই পৃথিবীর নিয়ম, তা যতই স্বার্থপর শোনাক না কেন। জোর করে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গেলে হয় অভিনয় করতে হয়, অথবা দিনের পর দিন অশান্তির মধ্যে থাকতে হয়। হুমায়ন আহমেদ এই অভিনয়টা করতে পারেননি জন্য আমাদের অনেকেরই আফসোস হয়। আফসোস করা সেইসব মানুষদের জন্য আমার আন্তরিক সমবেদনা।

 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.