মানবিক দায় ও বোধহীন শিক্ষা মানুষকে প্রশিক্ষিত কুকুরে পরিণত করে....আইস্ট্যাইন। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া নেত্রকোনা সদর উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা সহকারী দুই বছর ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। তিনি বর্তমানে সুইডেনে আছেন। সেখান থেকেই ছুটির আবেদন করছেন বলে জানা গেছে।
পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শামছিল আরেফিন খান ওরফে মাসুম নামে ওই কর্মচারীর বাড়ি জেলার বারহাট্টা উপজেলার যশমাধব গ্রামে।
তিনি ২০১০ সালের ৯ মে থেকে অননুমোদিতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। বিভিন্ন সময় তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেছেন। কিন্তু কোনো আবেদনই কর্তৃপক্ষ অনুমোদন করেনি। সর্বশেষ গত বছরের ১০ ডিসেম্বর তিনি ছুটির আবেদন করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শামছিল আরেফিনের স্ত্রী পিয়া আক্তার নেত্রকোনা শহরের নাগড়ায় থাকেন।
তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী ঢাকায় চিকিৎসাধীন। তিন-চার দিনের মধ্যে তিনি নেত্রকোনায় আসবেন। ’ ঢাকায় কোন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তা আমি বলতে পারব না। ’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে পিয়া আক্তার বলেন, ‘অন্যরা যদি বলে থাকেন তিনি সুইডেনে আছেন, তাহলে মিথ্যা বলেছেন। ’ পরে তাঁর পাশের বাসার এক আত্মীয়র সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘প্রায় দুই বছর ধরে শামছিল আরেফিন সুইডেনে আছেন।
শুনেছি তিনি বেড়াতে আসবেন। ’
পিয়া আক্তারের পাশের বাসায় পাঁচ বছর ধরে ভাড়া থাকেন মর্জিনা বেগম। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি দুই বছর ধরে তিনি সুইডেনে আছেন। ’
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, নেত্রকোনা কার্যালয়ের উপপরিচালক গোলাম মো. আজম বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তি দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অধিদপ্তরই নেবে।
’ এক প্রশ্নের জবাবে উপপরিচালক জানান, গত দুই বছরে ওই কর্মচারী কোনো বেতন পাননি। তাঁর কাজ অন্যদের সামলাতে হয়েছে।
ক্লিকান ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।