আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বামন পার্ক

মানুষের উপকার কম করলাম না,পরিনামে খেলাম শুধু বাঁশ। তবু হাল ছাড়ি নাই....উপকারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিছুদিন আগেও পথেঘাটে হাঁটতে গিয়ে কুঁকড়ে যেতেন লজ্জায়; কান লাল হয়ে যেত শিশু-কিশোরদের ঠাট্টা শুনে। বেশি সাহসীরা আবার এককাঠি সরেস, চাটি মেরে যেত মাথায়। অবহেলা-গঞ্জনার শিকার হতেন এমনকি বন্ধুদের কাছেও।

তবে এখন তাঁদের মুখে হাসি; হাতে কাজ অনেক। নেচে-গেয়ে আনন্দ দেন দর্শনার্থীদের। রূপকথার গল্প বলে মুগ্ধ করেন শিশুদের। পরিবেশন করেন নানা শারীরিক কসরত। দর্শকদের হাততালির সঙ্গে সঙ্গে খুশিতে ভাসেন নিজেরাও।

ইলেকট্রনিক পণ্য বিক্রি আর আবাসন ব্যবসার বদৌলতে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন চেন মিংজিং। টাকা-পয়সা তো অনেক হলো, এবার প্রয়োজন ভালো কিছু করা_ভাবনাটি থেকেই চীনের ৪৪ বছর বয়সী এই কোটিপতি ব্যবসায়ী সিদ্ধান্ত নিলেন, বানাবেন থিম পার্ক, যেখানে মানুষ কেবল আনন্দ করবে। তবে পার্কের প্রধান আকর্ষণ হিসেবে বামনদের চাকরি দেওয়ার কথা মাথায় আসার সঙ্গে সঙ্গে তুখোড় ব্যবসাবুদ্ধির জন্য মনে মনে পিঠ চাপড়ে দিলেন নিজেরই। থিম পার্কটি যেন আলাদা এক জগৎ। বসবাস করছেন মোট ১০০ জন কর্মী।

নিজেরাই চালাচ্ছেন পার্কের রাইডগুলো। তবে চাকরি নিয়ে এখানে বসবাস করতে বামনদের পালন করতে হচ্ছে নানা নিয়মকানুন। সবচেয়ে কঠিন নিয়ম_এখানে থাকতে পারবেন না ৪ ফুট ৩ ইঞ্চির বেশি কোনো মানুষ। পার্কের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী এবং অগি্ননির্বাপক দলের কর্মীরাও তাই ছোটখাটো। তবে তাঁরা আছেন বেশ আরামেই।

সবার জন্যই রয়েছে আলাদা রুম। সপ্তাহে বেতন পান ৮০০ থেকে হাজার ইউয়ান (৯ থেকে ২০ হাজার টাকা)। ডিউটি শেষে পার্কের উন্নয়নে করেন নানা কাজ। কুনমিং প্রদেশে ২০০৯ সালের মে মাসে চালু হয় পার্কটি। তৈরি করতে চেনের খরচ হয়েছে ১০০ মিলিয়ন ইউয়ান।

তিন ভাগে বিভক্ত পার্কটি_বামন রাজ্য, প্রজাপতি পার্ক ও মহাশূন্য। বামন রাজ্যে দর্শনার্থীরা ঘুরে দেখতে পারেন পার্ককর্মীদের প্রতিদিনের জীবন। শিশুরা হৈচৈ করে বেড়ায় প্রজাপতি পার্কে। আর পৃথিবীর বাইরের জগৎটা কত আজব ও মজার, সেটাই দেখানো হয়েছে মহাশূন্যে। তবে বামনদের থিম পার্ক এটিই প্রথম নয়।

১৯০০ সালের শুরুতে নিউ ইয়র্ক শহরের কোনি দ্বীপে ‘লিলিপুটিয়া’ নামে বানানো হয়েছিল বামনদের থিম পার্ক। মাত্র এক দশক পরই আগুনে পুড়ে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে লিলিপুটিয়া। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।