পানির অস্তিত্বের সাথে জড়িয়ে আছে প্রাণের সম্পর্ক। আর তাইতো পানি পৃথিবী তথা মহাবিশ্বের যেকোন স্থানেই থাকতে পারে। এই বিষয়ে বিজ্ঞানীদের সংশয়ের শেষ নেই। বরং তারা আশাবাদী। বিজ্ঞানীদের এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শেষ নেই।
সম্প্রতি এক চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া গেছে পৃথিবীর বাইরের পানির অস্থিত্ব প্রসঙ্গে। সৌরজগতেরই একটি বামন গ্রহে প্রচুর পরিমাণ পানি রয়েছে, বলে ধারণা করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এই পানি স্বচ্ছ এবং এর পরিমাণ পৃথিবীর থেকেও বেশি হতে পারে।
পৃথিবী থেকেও বেশি পানির উপস্থিতি থাকতে পারে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ধারণা করা বামন গ্রহটির নাম সেরেস।
রোমান দেবী সেরেস এর নামানুসারে গ্রহটির নামকরণ করা হয়েছে।
সেরেস দেবীকে মনে করা হতো, অংকুরোদগম, ফসল ফলানো এবং মাতৃ স্নেহের দেবী। ইতালীয় জ্যোতির্বিদ গুইসেপ্পি পিয়াজ্জি ১৮০১ খ্রীস্টাব্দের ১লা জানুয়ারী এটি আবিস্কার করেন।
সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষন সমূহ থেকে জানা যায়, সেরেসের পৃষ্ঠ পানি, বরফ ও পানিতে দ্রবীভূত বিভিন্ন খনিজ পদার্থের মিশ্রন দিয়ে তৈরি। ধারনা করা হয় এর পাথুরে কেন্দ্র এবং তার চারপাশে ঘিরে থাকা তরল পানির মহাসাগর রয়েছে।
এই বছর ২২ জানুয়ারি, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি’র বিজ্ঞানীরা সেরেস বামন গ্রহটির আবহমণ্ডল এবং পৃষ্ঠ তলে পানির উপস্থিতি শনাক্ত করেন।
হার্শেল স্পেস মানমন্দির এর দূরবর্তী ইনফ্রারেড সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে পানির উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, সেরেসের পৃষ্ঠতলের পানি এখনো বরফ অবস্থায় আছে। নিকট ভাবিষ্যতে যদি এই বরফ গলে স্বচ্ছ পানিতে পরিণত হয় তবে তা পৃথিবীর মোট পানির আয়তনের তুলনায় বেশি হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।