সবটাই চাই। তুমি নয় খানিকটাই দিও,তাও না পারো তো-কিছুই চাইনা। তবুও সবটাই চাইতে চাই। চাইতে দিও.. শবেবরাতের ইতিহাসঃ৪০০হিজরির আগেই সকল আগুন পূজারিদের দেশ মুসলমানদের দখলে আসে। "বারামাকা" নামক এক শ্রেণীর আগুন পূজারি তাদের অন্তরের বিশ্বাসকে অটল রেখে উপরে উপরে মুসলমান হয়।
তারা নিজেদের আগুন পূজা ঠিক রেখে মুসলমানদেরকে ধোঁকা দেয়ে তাদেরকেও এ পূজার সাথে জড়িয়ে দেয়ার জন্য আবিস্কার করে শবেবরাত নামক আগুন পূজার এক অভিনব পন্থা। চালু করে "ছালাতুর রাগায়েব" (শবেবরাতের নামাজ) এ সবের ফযীলত বণনায় তৈরী করে নবী মু সাঃ নামে অসংখ্য জাল হাদিস। এ নামাজের জন্য তারা মসজিদকে এমনভাবে আলো দিয়ে সাজাতো দেখে মনে হত অগ্নিমন্দির। সর্বপ্রথম শবেবরাতের এ প্রচলন শুরু হয়৪৪৮ হিজরিতে বায়তুল মাকদেশে। এই জঘন্য বিদআত ৩৫২ বছর চলার পর ৮০০ হিজরীতে তা বন্ধ করে দেয়া হয়।
সকল আরব এলাকাতে বন্ধ হয়ে গেলেও উহা ইরানের চেলতেই থাকে এবং তা সংক্রামিত হয় ভারত পর্যন্ত । দীপালি পূজায় অভ্যস্ত আগুন ভক্ত হিন্দু সম্প্রদায় নামে মাএ মুসলমান হয়ে মুসলিম শাসকদের খায়েরখা বনে গেল। তাদের মনের কুচক্র বুঝতে না পেয়ে এহেন মহাপাপে জড়িয়ে গেলেন অসংহ নিরীহ মুসলমান। রাতের আরামকে হারাম করে, কোটি টাকার সস্পদ নষ্ট করে এবং লক্ষ জনতার ঘুমের ব্যাঘাৎ ঘটিয়ে চলতে থাকে তাদের আগুন পূজার মহরা। যা আজও চলছে পুরোদমে।
বলাবাহুল্য এ পূজার মাধ্যমে আর যাইহোক মহান আল্লার সন্তস্টি অর্জন করা সুদূ্র পরাহত। কারন মহান আল্লাহকে পেতে হলে তার দেয়া পথেই পাওয়া যাবে,অন্য পথে নয়। হে আল্লাহ তুমি আমাদেরকে তো্মার দেওয়া সটীক পথে চলার তাওফিক দাও। আমিন।
প্রচলিত শবেবরাতের সংক্ষিপ্ত বাস্তব চিএঃ আরবি শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে সাধারনভাবে শবেবরাত বলা হয়।
আমাদের দেশে শবেবরাত সৌভাগ্য রজনী হিসাবেই পালিত হয়। এজন্য সরকারি ছুটি ঘোষিত হয়। লোকে্রা ধারনা করেন যে, এ রাতে বান্দার গুনাহ মাফ হয়। আযূ ও রুযী বৃদ্ধি করা হয়,সারা বছরের হায়াত-মউতের ও ভাগ্যের রেজিস্টার লিখিত হয়। এই রাতে রহুগুলো সব আত্মীয় স্বজনের সাথে মুলাকাতের জন্য পৃথিবীতে নেমে আসে।
বিশেষ করে বিধবারা মনে করে যে, তাদের স্বামীদের রূহ ঐ রাতে ঘরে ফেরে। এজন্য ঘরের মধ্যে আলো জেলে তারা সারা রাত মৃত স্বামীর রূহের আগমনের আশায় বুক বেধে বসে থাকেন। বাসগৃহ ধুপ ধুনা, আগরবাতি,মো্মবাতি ইত্যাদি দিয়ে আলো্কিত করা হয়। অগণিত বালব জ্বালিয়ে আলো্কসজ্জা করা হয়। আত্মীয়রা সব দলে দলে গো্রস্থানে ছুটে যায়।
হালুয়া রুটির হিরিক পরে যায়। ছেলেরা পটকা ফাটিয়ে আতশবাজি করে হৈ হুল্লো্রে রাত কাটিয়ে দেয়। যারা কখনো নামাজে অভ্যস্ত নয়, তারাও ঐ রাতে মাসজিদে গিয়ে ১০০ রাকাত নামাজ আদায়ে রত হয়, যেখানে প্রতি রাকাতে ১০ বার করে সূ্রায়ে ইখলাছ পরা হয়। তারপর রাএির শেষ দিকে ক্লান্ত হয়ে সবাই বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে পড়েন। একসময় ফজরের আযান হয়।
কিন্ত মাসজিদ্গুলো আশানুরুপ মুছুলি না পেয়ে মাতম করতে থাকে।
চোলবে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।