ভালো। স্বামী পরিত্যক্ত এক মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এজেডএম ফিরোজের ছেলে অর্ণবকে পুলিশ আটক করেছে। সোমবার রাত ১০টার দিকে শহরের পোস্ট অফিস পাড়া থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। শ্লীলতাহানির শিকার মোল্লাপাড়ার বাসিন্দা ওই মহিলা জানান, ঘটনার রাতে রিকশাযোগে তিনি পোস্ট অফিসপাড়ায় তার এক বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। তিনি তার বাসার কাছাকাছি পৌঁছালে খবর পেয়ে তার বান্ধবী তাকে নেয়ার জন্য এগিয়ে যান।
এ সময় পিপি পুত্র অর্ণব চড় মেরে বান্ধবীকে দূরে সরিয়ে দেন। এক পর্যায়ে রিকশা থেকে নামিয়ে ওই মহিলাকে টেনেহিঁচড়ে একটি গলিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় ওই মহিলার আর্তচিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসেন। খবর পেয়ে টহল পুলিশও ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পুলিশের উপস্থিতিতে অর্ণব ওই মহিলা সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করে।
সে মহিলাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ারও চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে অর্ণবের বাবা অ্যাডভোকেট এজেডএম ফিরোজ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। কিন্তু তিনি ছেলেকে ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে পুলিশ ওই মহিলাসহ অর্ণবকে আটক করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়। মহিলা অভিযোগ করেন, অর্ণব তার বান্ধবীকে চড় মেরে তাকে নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করে।
এক পর্যায়ে তার বোরকা খুলে ফেলা হয়। এদিকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর অর্ণব ও ওই মহিলাকে মধ্যরাতে ছেড়ে দেয়া হয় বলে এসআই ওয়াহিদুজ্জামান জানান। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে অ্যাডভোকেট এজেডএম ফিরোজ জানান, ওই মহিলা ভালো চরিত্রের নয়। সোমবার রাতে পাড়ার যুবকরা তাকে আটক করে। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে যুবকরা সটকে পড়ে।
ওই সময় তার ছেলে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েছিল। ফলে পুলিশ তাকে একা পেয়ে থানায় নিয়ে যায়। ওই মহিলার ভাই হায়দার আলী জানান, অর্ণব ক্ষমা চাওয়ায় বিষয়টি মীমাংসা করে নেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুল জলিলের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, অর্ণবের সঙ্গে ওই মহিলার ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পুলিশ এটি বুঝতে পেরে তাদের ছেড়ে দেয়।
তবে দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের চাপের মুখে পুলিশ অর্ণবকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।