এবার পুলিশ প্রকাশ্য দিবালোকে ঢাকার নিম্ন আদালত চত্বরের পাশে পুলিশ ক্লাবের ভেতরে নিয়ে এক তরুণীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করল। আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই তরুণীকে পুলিশ আদালত চত্বর থেকে জোর করে থানায় নিতে চাইলে আইনজীবী ও সাংবাদিকেরা এতে বাধা দেন। এ সময় পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা ও মারধর করে। এতে দৈনিক কালের কণ্ঠের আদালত প্রতিবেদক এম এ জলিল ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের আদালত প্রতিবেদক তুহিন হাওলাদারসহ ১০-১২ জন আইনজীবী আহত হয়েছেন।
এ সময় প্রথম আলোর আদালত প্রতিবেদক প্রশান্ত কর্মকারকে মারধর করে তাঁর কোট ছিনিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে দুই আইনজীবীসহ ওই তরুণী এবং তাঁর মাকে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানান, দুপুর ১২টার দিকে ওই তরুণী তাঁর বাবা ও মায়ের সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত থেকে বের হচ্ছিলেন। মোটরসাইকেলটি পুলিশ ক্লাবের সামনে গেলে পুলিশ গতিরোধ করে। পুলিশ অভিযোগ করে, মোটরসাইকেলটি চোরাই।
এর পর তরুণীর বাবাকে থানায় নিয়ে যেতে চায় পুলিশ। বাবাকে নিয়ে যেতে চাওয়ায় তরুণীটি প্রতিবাদ জানায়। এ সময় পুলিশ তরুণীকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে ক্লাবের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে পুলিশ তরুণীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তরুণী বের হয়ে বিষয়টি আইনজীবীদের জানান।
খবর পেয়ে সাংবাদিক ও আইনজীবীরা আদালত চত্বরে ছুটে যান। এ সময় পুলিশ সাংবাদিক ও আইনজীবীদের লাঠিপেটা করে। টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরাম্যানরা ওই দৃশ্য ধারণ করতে গেলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন চিত্কার করে বলতে থাকেন, ভালো করে ভিডিও করেন!
একপর্যায়ে পুলিশ ওই তরুণী ও তাঁর মা এবং রাজু ও সাকিব নামের দুই আইনজীবীকে জোর করে পুলিশ ভ্যানে তোলার চেষ্টা করে। রাজু এ সময় প্রশান্ত কর্মকারকে জড়িয়ে ধরলে পুলিশ প্রশান্তকে মারধর করে তাঁর কালো কোট ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। তবে রাত ১০ টার দিকে দুই আইনজীবীকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।