কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার আধ্যাত্মিক সাধক হযরত সোলাইমান শাহ্ চিশতী (রঃ) মাজারে ৩ দিনব্যাপী ওরশ মোবারক আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার নওদা ক্ষেমিরদিয়াড় কমিউনিটি ক্লিনিক। ভেড়ামারা শহর থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। অভিযোগ রয়েছে ক্লিনিকটি থেকে কোন চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। সেবা ছাড়াই ফিরে যেতে হচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের।
কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডার (সিএইচসিপি) মোখলেসুর রহমান ট্রেনিং-এ থাকায় দায়িত্বপালন করার কথা ফ্যামেলী প্ল্যানিং-এর বেলী খাতুনের। তিনি ক্লিনিকটি বন্ধ করে দিয়ে অন্য কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে গেছেন ৩০/৪০ জন রোগী।
ক্লিনিকের ইনচার্জ আবুল মুনজুর সিএইচসিপি পদে কর্মরত। তবে বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রশিক্ষন নিচ্ছেন।
মুনজুরের পরের স্থানেই আছেন স্বাস্থ্য সহকারী সেলিনা বেগম। গত এপ্রিল মাস থেকে তিনিও ৬ মাসের সিএইচবিএ ট্রেনিং-এ কুষ্টিয়া জেলা শহরে রয়েছেন। আর ফ্যামেলী প্ল্যানিং-এর পদটি শূন্য রয়েছে দীর্ঘ ১০ মাস ধরে। এ ক্লিনিকের ৩ জন ষ্টাফের স্থলে ৩ জনই না থাকায় ক্লিনিকটি এখন বন্ধ।
ক্লিনিকের সিএইচসিপি আবুল মুনজুরের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি ট্রেনিং এ থাকায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাহাদুরপুর কমিউনিটির সিএইচসিপি শাহাজাদীকে।
তিনি সপ্তাহের রবি, মঙ্গল ও বুধবার ক্লিনিকে আসেন। যে কারনে সপ্তাহের বাকি দিনগুলো বন্ধ থাকে ক্লিনিকটি।
একই অবস্থা উপজেলার ১৮টি কমিউনিটি ক্লিনিকের। ক্লিনিকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ক্লিনিক থেকে শুধুমাত্র পরামর্শ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রের্ফাড এবং নামকাওয়াস্ত্রে ওষুধ দেওয়া ছাড়া কোন কাজ নেই। জরুরী ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য গজ, ব্যান্ডেজের ব্যবস্থাও নেই।
উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউপির হিড়িমদিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি পদে কর্মরত আছেন শাওকায় জামিল। তিনিও ট্রেনিং এ থাকায় দায়িত্বপালন করছেন শামীমা আক্তার বানু এবং স্বাস্থ্য সহকারী শামীমা নাসরিন।
, উপজেলার ১৮ টি ক্লিনিকেই বিদ্যুৎ নেই। নেই পানির ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম। কর্মকর্তাদের বসার মতো আসবাবপত্রও নেই ক্লিনিকগুলোতে।
নানা সমস্যায় জর্জড়িত ক্লিনিকগুলোতে বছরে ৪টি কিস্তিতে ঔষধ দেওয়া হয়। যা চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। যা দিয়ে নূন্যতম সেবাও দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
উপজেলা হেলথ ইন্সেপক্টর হাবিবুর রহমান বলেন, আগামী মাস থেকে সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে। সাধারন মানুষ চিকিৎসা সেবা পাবে বলেও তিনি আশ্বস্ত করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।