কুষ্টিয়ায় একাধিক ছাত্রীসহ কয়েকজন নারীর সঙ্গে মেলামেশা ও ভিডিওচিত্র ধারণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপ্রধান প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান ওরফে টুটুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে পাবনার ঈশ্বরদী থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে কুষ্টিয়া গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
আলিমুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলো ডটকমকে জানান, গতকাল দিবাগত গভীর রাতে ঈশ্বরদী উপজেলায় একটি গাড়ির ভেতর থেকে আলিমুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গত ৭ জুলাই কুষ্টিয়া মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
বাংলাদেশ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২-এর ৮(১) (৬) ও (৭) ধারায় করা মামলায় হেলাল ছাড়াও প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম ওরফে সজল ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান হাসানকে আসামি করা হয়। তাঁরা সবাই হেলালের গ্রামের বাসিন্দা। হাসানুজ্জামানকে গত ৮ জুলাই কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ১ আগস্ট হেলালের সহযোগী মনিরুল ইসলাম ওরফে মনোকে (মামলার এজাহারে নাম ছিল না) গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশ।
গত শনিবার সন্ধ্যায় (৩ আগস্ট) ঘটনার মূল হোতা স্কুল শিক্ষক হেলাল উদ্দীনকে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। শরিফুল এখনো পলাতক। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।