আমি জাতির আধার রাতের আলো...
পত্র-পত্রিকার খবর মতে-“জাতিসংঘের সর্বশেষ বিশ্ব জনসংখ্যা জরিপ অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৪৪ লাখ। আর জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। কিন্তু এভাবে বাড়তে থাকলে ২০৫০ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২২ কোটি ২৫ লাখে। ২০০১ সালের সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী দেশে জনসংখ্যা ছিলো ১২ কোটি ৪৩ লাখ। গত ৯ বছরে জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪ কোটি ১ লাখ।
বছরে বৃদ্ধির হার প্রায় ৪৪ লাখ ৫৫ হাজার ৫৫৫ জন। তবে সরকারের দাবি জাতিসংঘের এ জরিপ সঠিক নয়। ”(সুত্র; শীর্ষ নিউজ ডট কম/ ১১ জুলাই ২০১১ঈসায়ী)
পাঠক! আমাদের দেশের জনসংখ্যা নিয়ে কাফির বিধর্মী বিজাতীয় সংস্থাগুলোর এত মাথাব্যাথা কেনো। তারা সরকারকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, দেখো তোমাদের দেশের জনসংখ্যা এখন প্রায় সতের কোটির মত। অতএব এখনি তোমাদের জনসংখ্যা ঠেকাও, তা না হলে থাকবে কোথায়, খ্দ্যা পাবে কোথায়, এটা তোমাদের এক নম্বর সমস্যা ইত্যাদী।
নাউজুবিল্লাহ! অথচ ভিতরের কাহিনী কিন্তু এটা নয়। আসল আতঙ্কের কারন হলো, বিশ্বে যদি বাংলাদেশের মতো এভাবে জনসংখ্যা বাড়তেই থাকে তবে এটা ইহুদী খ্রীষ্টান মুশরিকদের জন্য মহা বিপদের কারন। কেননা সমান তালে কিন্তু সারা বিশ্বে ওদের মাঝে জনসংখ্যা মারাতœক নি¤œগতিতে প্রবাহিত। অর্থাৎ তারা হাজারো চেষ্টা করেও তাদের জনসংখ্যা বাড়াতে পারছেনা। এ অবস্থায় যদি মুসলমানরা বাড়তেই থাকে তবে কোনভাবেই তারা কুলিয়ে উঠতে পারবে না।
রাজত্ব কর্তৃত্ব প্রভাব প্রতিপত্তি সবই হারাতে হবে। আর তাই তারা মুসলমান অধ্যূষিত দেশগুলোর জনসংখ্যা কমানোর নানাপ্রকার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা পরিবার পরিকল্পনার নামে, নিরাপদ মাতৃত্বের নামে, সূখী পরিবারের নামে, নিরাপদ বাসস্থানের নামে বেনামে বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে বিরাট বিপদ হিসেবে চিহ্নিত করছে। নাউজুবিল্লাহ! অথচ মুসলমানরা বিশ্বাস করে যাবতীয় রিজিকের মালিক যিনি খালিক মালিক আল্লাহ পাক তিনি। এই বিশ্বাস রাখাটাই মুসলমানদের জন্য ফরজ ওয়াজিব।
অতএব, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এর দেশের সরকারের জন্য দায়িত্ব কর্তব্য অবিলম্বে জনসংখ্যা বিরোধী দেশী বিদেশী অপতৎপরতা এদেশে ব›দ্ধ ঘোষনা করা। কারন তাদের এই প্রচারনা মুসলমানদের ্ঈমান আমল বিরোধী অপতৎপরতা। যা বন্ধ হওয়া অতীব জরুরী। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।