বাংলা নিউজ নাকি সাড়ে ২৩ লাখ গ্রাহকের পক্ষে এ লড়াই একাই লড়েছে । ” হা হা লু খু গে
“সত্য, ন্যায়, যৌক্তিকতা এবং বাংলানিউজের পাঠকদের কাছে হার মানতে হলো বেসরকারি ডাচ-বাংলা ব্যাংককে। গ্রাহকদের ন্যুনতম জমার হার বাড়ানোর যে অন্যায় এবং অগ্রাহ্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো তা থেকে শেষ পর্যন্ত সরে আসতে বাধ্য হলো ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আর সাড়ে ২৩ লাখ গ্রাহকের পক্ষে এ লড়াই একাই লড়েছে বাংলানিউজ। ”
এ বক্তব্য বাংলানিউজের একজন পাঠকের।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকে চলতি ও সঞ্চয়ী হিসাবে ন্যুনতম জমার পরিমান বাড়ানোর একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে গ্রাহকের বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা চলছিলো। বাংলানিউজের একের পর এক প্রতিবেদনের মুখে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হয় ব্যাংকটি। এতে আনন্দিত গ্রাহকরাই তাদের প্রতিক্রিয়া পাঠান বাংলানিউজকে।
একজন পাঠক লিখেছেন, ‘ডাচ বাংলার নাকে খত, পাঠকই বাংলানিউজের শক্তি। ’
একজন লিখেছেন, বাংলানিউজ সাধারন মানুষের অধিকার আদায়ে অবস্থান নিয়েছে।
তথাকথিত জনপ্রিয়তার নামে স্রেফ বিজ্ঞাপনের কারণেই যেসব সংবাদমাধ্যম একটি রিপোর্টও প্রকাশ করেনি তাদের তীব্র সমালোচনা করেন এই পাঠক।
সম্প্রতি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাবের ন্যুনতম জমা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা এবং চলতি হিসাবের ন্যুনতম জমা ২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়। পহেলা জুলাই থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা ছিলো। এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে ব্যাংকটি তার ২৩ লাখ ৫০ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা তুলে নিতে পারতো। অপরদিকে, ছোট ছোট পুজির আমানতকারী এবং সঞ্চয়কে পরোক্ষভাবে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছিল এমন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে।
অথচ এই ব্যাংকটিই তার গ্রাহক বাড়াতে চটকদার বিজ্ঞাপন ও তথাকথিত সমাজ সেবামূলক কাজে অর্থায়নের কথা বলে গ্রাহকদের মনে কেড়েছিলো। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, ছোট ছোট ব্যবসা উদ্যোগ এসব পর্যায়ে ব্যাপক ক্যাম্পেইন চালিয়ে তৈরি করেছিলো সাড়ে ২৩ লাখ গ্রাহকের একটি বিশাল পুল।
ন্যুনতম জমা ৫০০ টাকা হওয়ায় অনেক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এই ব্যাংকে তাদের হিসাব খোলে এই চিন্তায় যে তাদের মাসিক খরচের অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে আদান প্রদান করবে। একটি ছাত্রের মাসিক আড়াই থেকে তিন হাজার টাকার খরচ সে অবস্থায় ব্যাংকে ৫০০ টাকা জমা রেখে অনায়াসেই তারা তা করতে পারছিলো। কিন্তু ডাচ-বাংলা তাদের নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়ার পর এ ধরনের শিক্ষার্থীরা বড় বিপাকে পড়েন।
আর এ কারণে বাংলানিউজের রিপোর্টের পর তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে থাকেন। তারা ব্যাংকটির এহেন অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠেন।
অনেকেই ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে হিসাব বন্ধ করে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ছোট ছোট সঞ্চয়কারীদের অনেকেই তাদের জমাকৃত টাকার বড় অংশ তুলে নেওয়া শুরু করেন। তাছাড়া ব্যাংকটির এমন সিদ্ধান্ত স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিলে, অন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো একইভাবে সিদ্ধান্ত নিতে উৎসাহ পেতো তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
বাংলানিউজ মনে করে এই অব্যাহত চেষ্টার মাধ্যমে আসা অর্জনের সুফল ভোগ করবেন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের গ্রাহকরা এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নিজেই। ব্যাংকটির পক্ষ থেকে আপোষের হাতছানি থাকলেও তা উপেক্ষা করেছে বাংলানিউজ।
তবে অতি দ্রুত ডাচ-বাংলা ব্যাংক এমন একটি গ্রাহক-অবান্ধব সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারায় ব্যাংকটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অনেক পাঠক। তারা বলেছেন, সারা দেশজুড়ে ব্যাংকটির শাখা ও বুথ রয়েছে। এমনটি খুব কম ব্যাংকেরই রয়েছে।
এ অবস্থায় গ্রাহকবান্ধব থেকে ব্যাংকিং করলে এর প্রতি মানুষের আগ্রহ আরও বাড়বে।
সূত্রঃ বাংলানিউজ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।