আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিশুদের হাতেও ‘অ্যাপ-চমক’

প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ম্যাশএবল এক প্রতিবেদনে এ ধরণের বেশ কয়েকটি অ্যাপ তুলে ধরেছে এবং মন্তব্য করেছে এ থেকেই প্রমাণিত হয় যে পরবর্তী যুগান্তরী অ্যাপের নির্মাতা হতে পারে কোনো শিশু-কিশোর।

আসুন জেনে নেই এরকম গুটিকয়েক সৃজনশীল অ্যাপ প্রসঙ্গে-

১. চো চেকার

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারের হ্যাম্পস্টেড অ্যাকাডেমিতে বেশ কড়াকড়িভাবেই চীনাবাদাম নিষিদ্ধ। এর প্রধান কারণ হচ্ছে অ্যাকাডেমিটির অনেক শিক্ষার্থীরই খাবারটি নিয়ে অ্যালার্জি আছে। আর এ বিষয়টি থেকে ধারণা পেয়ে বিদ্যালয়টির এইট গ্রেডের কয়েকজন শিক্ষার্থী বানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমভিত্তিক অ্যাপ চো চেকার। অ্যাপটি অ্যালার্জি সৃষ্টি করবে এ ধরণের খাবার চিহ্নিত করতে সক্ষম।

অ্যাপটিতে ব্যবহারকারী প্রোফাইল তৈরি করে ১২টি খাবার নির্বচিত করতে পারবে যা খেলে তার অ্যালার্জি হয়। এর পরের বিষয়টি বেশ সহজ অ্যাপটিতে কোনো খাদ্যের নাম লিখে সার্চ দিলে বা বারকোড স্ক্যান করলে তা ব্যবহারকারীকে জানিয়ে দিবে খাবারটিতে তার নির্বাচিত ১২টি উপাদানের কোনোটি ব্যবহৃত হয়েছে কিনা এবং সেটি কতটুকু স্বাস্থ্যকর হবে তার জন্য।

২. গেইমিং অ্যাপ ‘বাবল বল’

১৪ বছর বয়সী রবার্ট নে তৈরি করেছে পদার্থ-ভিত্তিক ধাঁধার গেইম বাবল বল। গেইমটি এতোটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল যে তা ২০১১ সালে অ্যাংগ্রি বার্ডকে আইটিউনসের অ্যাপ স্টোরের শীর্ষস্থান থেকে সড়িয়ে স্থানটি দখল করে নিয়েছিল। আনস্কা মোবাইলের করোনা টুল ব্যবহার করে চার হাজার লাইন কোড লেখার মাধ্যমে নে তৈরি করেছিলেন বাবল বল।

সৃজনশীল গেইমারদের জন্য আদর্শ এ গেইমটির ১৪৪টি অফিসিয়াল লেভেল রয়েছে। তবে গেইমাররা চাইলেই নতুন লেভেল তৈরি করতে পারবেন এমন সুবিধাও রাখা হয়েছে অ্যাপটিতে। ফলে বর্তমানে দুশ’রও বেশি কমিউনিটি তৈরি লেভেল আছে গেইমটিতে। আইওএস এ গেইমটির অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণও আছে। বাবল বল নির্মাতা নে থার্ড গ্রেডেই নিজের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করেন এবং বর্তমানে তিনি নে গেইমস এলএলসি নামের একটি কোম্পানির মালিক- প্রতিবেদনে জানিয়েছে ম্যাশএবল।

৩. ব্যাকডোর

আইওএসভিত্তিক ফ্রি অ্যাপ ব্যাকডোর ২০১৩ সালের জুলাই মাসে ছাড়া হয়। এ অ্যাপটি প্রধানত অজ্ঞাতনামা একটি মেসেজিং অ্যাপ যার মাধ্যমে ব্যবহারকারি ফেইসবুক বা গুগল+ সাইন ইন করে পরিচয় প্রকাশ না করেই বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। এ ছাড়াও অ্যাপটি প্রাপকের পরিচয় জানার জন্য বিভিন্ন সূত্র দেবে। ইন-অ্যাপ ক্রয়ের মাধ্যমে আরও সূত্র সংগ্রহ করা যাবে, যেমন-প্রেরক ছেলে না মেয়ে, তার কী পছন্দ ইত্যাদি। অবাক হবার মতো বিষয় হচ্ছে অ্যাপটির নির্মাতা ডেভিড সিঙ্গার মাত্র ১৩ বছর বয়সে অ্যাপটি তৈরি করেছিলেন।

এ ছাড়াও নিজেকে প্রাথমিক ইউজার ইন্টারফেস মনে করা সিঙ্গার ইউটেল নামের জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইটও তৈরি করেছেন যেখানে ভিজিটর প্রশ্ন পোস্ট করতে এবং অজ্ঞাতনামার ফিডব্যাক পাওয়ার অনুরোধ জানাতে পারবেন।

৪. থিংস টু থিংক অ্যাবাউট

যুক্তরাষ্ট্রের জ্যাকসন কাউন্টির ফিফথ গ্রেডের শিক্ষার্থী মিচ একই জেলার আরও দু’জন হাই স্কুল শিক্ষার্থীর সঙ্গে মিলে তৈরি করেছে আইপ্যাড অ্যপ থিংস টু থিংক অ্যাবাউট। অ্যাপটির লক্ষ্য হচ্ছে পালক শিশুদের লেখা এবং জটিল বিষয়ে চিন্তা করার আগ্রহ বাড়ানো। এ ছাড়াও অ্যাপটি চ্যালেঞ্জিং ধারণা এবং ইস্যুর বিষয়ে মতবিনিময়ে উৎসাহিত করে। এ অ্যাপটি শিশুদের বড় স্বপ্ন দেখতে বলে এবং সে পরিস্থিতিতে সে কী করতো সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে।

অ্যাপটির অ্যন্ড্রয়েড সংস্করণ তৈরির কাজ চলছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ম্যাশএবল।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     বুকমার্ক হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.