সুন্নি মুসলিম, ছালেহ্ মহররম হচ্ছে হিজরি সনের প্রথম মাস। এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে নিষিদ্ধ অথবা সম্মানিত। জাহেলিয়াতের যুগ থেকে এ মাসে যুদ্ধবিগ্রহ, রক্তপাত নিষিদ্ধ ছিল। মুসলমানদের মতো আরবের মুশরিকরা যাবতীয় দ্বন্দ্ব কলহ ও গৃহযুদ্ধ এ মাসে বন্ধ রাখত। কিন্তু পরবর্তীকালে ইসলামী শরিয়ত এ আদেশটি রহিত করে দেয়।
আবার দ্বিতীয় অর্থ অনুযায়ী সম্মান ও আদব প্রদর্শন এবং বিশেষভাবে ইবাদতের প্রতি যত্নবান হওয়ার বিষয়টি সর্বসময়ের জন্য বহাল রয়েছে।
মহররমের বিষয়ে আলোচনার আগে হিজরি সন এর সূচনা পর্ব নিয়ে কিছুটা হলেও জেনে নেয়া প্রসঙ্গত। ইসলাম ধর্মের আগমনের পূর্বে আরব দেশে বিভিন্ন রকমের হিসাব ও গণনা পদ্ধতি চালু ছিল। বিশেষ কোনো ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা নতুন একটি সন গণনা করত। সর্বশেষ আবরাহার হস্তিবাহিনী যখন খানায়ে কাবাকে ধ্বংস করতে এসে নিজেরা ধ্বংস হয়ে যায়, আরববাসীরা এ সময় থেকে আরেকটি সনের সূচনা করল।
এখন যে বারোটি আরবি মাস চালু আছে সেগুলো ইসলামের আগমনের পূর্বে আরবদের মধ্যে চালু ছিল। এ বারোটি মাসের মধ্যে চারটি মাসকে তারা সম্মানিত ঘোষণা করেছিল যুদ্ধবিগ্রহ থেকে বিরত থাকবে বলে। ইসলামের আবির্ভাবের পরও সে ধারা অব্যাহত রয়ে গেল, নতুন কোনো সনের সূচনা হল না। এতে করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে লাগল। শেষ পর্যন্ত নেতৃস্থানীয় সাহাবীরা ব্যাপক আলোচনার পর মুসলিম জাতির জন্য একটি স্বতন্ত্র সন তারিখ প্রবর্তনের জন্য একমত হলেন।
প্রকৃত পক্ষে, হিজরি সন শুরু হয়েছে হিজরতের সাথে সাথেই আর আনুষ্ঠানিকভাবে তা কার্যকর হয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইন্তেকালের ৭ বছর পর। মোট কথা, হযরত ওমর ফারুক (রা.) স্বীয় শাসনকালে হিজরতের ঘটনার ওপর ভিত্তি করে সরকারিভাবে হিজরি সন চালু করেন আর তা আরম্ভ হয় মহররম মাস থেকে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।