বাবা দিনমজুর। বর্তমানে অসুস্থ্য থাকায় কোন কাজ করতে পারেন না। তাই ছেলেমেয়ের পড়াশুনা’র খরচ দূরের কথা ঠিকমত সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হয় তাকে। বাবা’র কষ্ট লাগভের জন্য কোন উপায় না দেখে পড়া শুনার খরচ মেটানোর জন্য এই অপরিচিত শহরে কোন কাজ না পেয়ে বাধ্য হয়ে রিক্সা
চালাচ্ছি। গতকাল সন্ধ্যায় খুলনা নগরীর ডাকবাংলা মোড়ে একজন রিক্সা চালক মোঃ আলমগীর হুসাইন এই কথাগুলো বলছিলেন।
পেশায় রিক্সা চালক হলেও তিনি খুলনার সরকারি বি এল কলেজের ইংরেজী বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের একজন ছাত্র। সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার প্রতাপনগর ইউনিয়নের নাকনা গ্রামের আফুয়ার রহমান গাজীর বড় ছেলে তিনি। পিতা আফুয়ার গাজী একজন দিনমজুর দীর্ঘদিন বিভিন্ন রোগে অসুস্থ থেকে বর্তমানে বিছানায়। তার মা একজন গৃহিনী। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে বড়।
মেঝ ভাই ইমরান হোসেন ২০১২ সালে এস এস সি পাশ করেছে। সে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৪.৭৪ পেয়ে পাশ করেছে। ছোট ভাই আফজাল হোসেন স্থানীয় একটি স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াশুনা করে।
ছোট দুই ভাইয়ের পড়াশুনা ও সংসার খরচ চালাতে তার অসুস্থ বাবা’র এখন অনেক কষ্ট করতে হয়। বাবার কষ্ট দেখে নিজের পড়াশুনা নিজে চালানোর তাগিদে খুলনায় অনেক কাজ করার চেষ্টা করেছেন।
কিন্তু খুলনা শহরে নতুন ও পরিচিত লোকজন না থাকায় কোন কাজ মেলেনি। অবশেষে বাধ্যহয়ে রিক্সা চালাচ্ছেন তিনি। মোঃ আলমগীর হুসাইন ২০০৮ সালে জিপিএ-৫ পেয়ে মানবিক বিভাগে সাতক্ষীরার প্রতাপ নগর ইউনাইটেড একাডেমী থেকে এসএসসি পাশ করেছে। ২০১০ সালে সাতক্ষীরা এপিএস ডিগ্রী কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে জিপিএ-৪.৭০ পেয়ে পাশ করেছেন। তিনি বর্তমানে দৌলতপুর দীয়ানা উত্তর পাড়ায় একটি ছাত্রাবাসে থাকেন।
সকালে কলেজে পড়াশুনা করে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত রিক্সা চালান।
এই মেধাবী ছাত্রটির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনায় আমরা সমাজের বিত্তবানদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। যাতে করে এই ছেলেটি কোন কাজ করে তার পড়াশুনা’র খরচ মেটাতে পারে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।