বিএনপিনেতা আশিকুর রহমান আকুল খুন হয়েছেন। তিনি যশোর জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির যুববিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। গুরুতর আহত আকুল সোমবার রাত তিনটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিজদলের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থাকা বখাটেদের হাতে রাত ১০টার দিকে তিনি আহত হন। অমানুষের মতো তারা এই নেতাকে বেধড়ক মারপিট করে।
যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাতে তাকে ভর্তি করা হয়।
আশিকুর রহমান যশোর উপশহর ই ব্লকের বাসিন্দা। তারই প্রতিবেশীরা জানান, সম্প্রতি ওই এলাকার হিরণ, আসিফ, অমিতের নেতৃত্বে কয়েক বখাটে মোজাহার হোসেনের বাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। তাছাড়া মোজাহার হোসেনের কলেজপড়ুয়া মেয়েকে বখাটেরা প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে। ইট-পাটকেল এ বাড়ির গণ্ডি ছাড়িয়ে আকুলের বাড়িতেও মাঝেমধ্যে পড়ে।
কেননা এ বাড়িতেও কলেজপড়ুয়া মেয়ে রয়েছে।
এসব ঘটনায় সোমবার রাতে এলাকায় শালিশ বৈছক হয়। আশিকুর রহমান আকুল এসব কার্যকলাপের প্রতিবাদ করেন। তিনি এ সময় বখাটেদের একজনকে দু’একটা চড়-থাপড়ও মারেন। এ ঘটনায় সেই বখাটের মা তাকে শাসাতে থাকে।
আর পেছন থেকে হিরণ নামে ওই বখাটে আচমকা বাঁশ দিয়ে পেটাতে থাকে আকুলকে। অন্যরাও এতে অংশ নেয়। প্রচণ্ড মারধরের ফলে গুরুতর আহত হন আকুল। মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত তিনটার দিকে তিনি মারা যান।
মঙ্গলবার বেলা ১০টার দিকে আশিকুর রহমান আকুলের মরদেহ জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আনা হয়। এখানে তার মরদেহে শ্রদ্ধার্ঘ দেয়া হয়। তার গ্রামের বাড়ি যশোর সদরের কিসমত নওয়াপাড়ায় দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
বখাটে হিরণ জেলা মহিলাদলের নেতা পারুল বেগমের ছেলে। অন্যরা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলোর কর্মী-সমর্থক এবং এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত।
যোগাযোগ করা হলে যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু জানান, পারিবারিক কোন্দলের কারণে এই হত্যাকাণ্ড। এটি রাজনৈতিক কোনো দ্বন্দ্ব নয়। তার মৃত্যুতে দলের পক্ষ থেকে তিনদিনের শোক ও দোয়ামাহফিলের কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি আব্দুল জলিল বলেন, এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। লাশ দাফনের কাজে সবাই ব্যস্ত রয়েছেন।
পরে হয়তো মামলা হবে। #
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।