মায়ের প্রেমিককে টাকার বিনিময়ে হত্যা করাল প্রবাসী ছেলে! গত ২ জুন গোপালগঞ্জের মকসুদপুরে এ ঘটনা ঘটে। প্রবাসী ছেলের মায়ের সঙ্গে খুন হওয়া দুলাল শেখের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ হত্যাকাণ্ডের মামলায় গ্রেপ্তার সুমন সাহা (২৪) ও মেহেদী (২৭) নামে দুই যুবক হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। আজ রোববার বিকেলে মুকসুদপুরের বিচারিক হাকিম গাজী জমসেদ হকের আদালতে সুমন ও মেহেদী দণ্ডবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক এ জবানবন্দি দেন। তারা জবানবন্দিতে অর্থের বিনিময়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
মুকসুদপুর থানার পরিদর্শক শ্যামলাল (তদন্ত) প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।
মুকসুদপুর থানা পুলিশ হত্যার অভিযোগে গতকাল শনিবার রাতে এই দুইজনসহ মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া অপর যুবকের নাম ফক্কার। অপর একজন এখনও পলাতক। গ্রেপ্তারকৃতদের গোপালগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সুমন সাহা মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা গ্রামের শংকর সাহার ছেলে। মেহেদী হাসানের বাবার নাম আবু মুসা। ফক্কারও একই গ্রামের।
জবানবন্দিতে সুমন সাহা ও মেহেদী বলেন, গত ২ জুন রাত ২টার দিকে তারা দুলাল শেখকে মদ খাওয়াতে গোহালা শ্মশান ঘাটে নিয়ে যান। সেখানে বসে তারা পাঁচ জন একসঙ্গে মদ পান করেন।
পরে দুলাল শেখ বেসামাল হয়ে গেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ পুতে রাখা হয়। অস্ত্রগুলো নদীতে ফেলে দিয়ে তারা চলে যান। এ ঘটনার পর দিন দুলালকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করা হয়। এলাকাবাসী ও স্বজনেরা শ্মশানে গিয়ে দুলালের ভাঙ্গা চশমা ও ছোপ ছোপ রক্ত দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে পরে লাশ উদ্ধার করে।
৩ জুন নিহতের প্রথম স্ত্রী ববিতা শেখ মুকসুদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মুকসুদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শ্যামলাল প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া ফক্কারের সঙ্গে মোবাইলে প্রবাসী ছেলের সঙ্গে এক লাখ টাকা ও একটি মোটর সাইকেলের বিনিময়ে হত্যার চুক্তি হয়। তবে তারা এখনও এসব পায়নি। অপর হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও তিনি জানন। Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।