বাধঁ জোড়ার আওয়াজ > With Great Power, Comes Great Responsibility আমি সোজা সাপ্টা উত্তর দেই । তেনা পেচানো পছন্দ না ।
এই বিশ্ব যদি বর্তমান মিসাইলের যুগ হয় অদূরের বিশ্ব যুদ্ধের গ্রহ ভ্রহ্মান্ড নিয়েও হয় তবুও নৌ বাহিনীর গ্রহনযোগ্যতা এতটুকুও কমবে না ।
স্থল বাহিনী, হেভী আর্টিলারী কিংবা বিমান বাহিনীকে অস্বীকার করার উপায় নাই । এখন কথা হল প্রাথমিকভাবে কি ট্যাকেল দেওয়া উচিত?
আমাদের সীমান্তের যা অবস্থা , এত বন্ধু বা শত্রু কাউকে ডিফাইন করা যাচ্ছে না ।
ইউরোপ এক হলেও এশিয়া এক হবার নয় । জাতি গত শত্রুতা লেগেই রয়েছে । পাকিস্তান শত্রু হলেও বিডি সরকার বিপদে তার সহায়তা নিতেও ভুলে না আর ভারত মিত্র হলেও সুযোগ বুঝে তারা তাদের দেশের স্বার্থে ছোড়াটা পেট অবধি ঢুকাতে ভুলে না ।
আঙ্গুল দিয়ে ব্যাপারগুলি কি দেখানোর দরকার আছে ? মনে তো হয় না । যারা নিয়মিত পত্রিকায় পড়েন, গণমাধ্যমে খেয়াল রাখেন তাদের ব্যাপারগুলি ওভারলুক হয় না ।
ইদানীয় এই ব্লগেই নয় বরং আরও কয়েকটা ব্লগে প্রতিরক্ষা বাজেট নিয়ে তর্ক বিতর্ক , জ্ঞানে বলেন বা অজ্ঞানেই বলেন প্রতিরক্ষা তত্ত্ব ফলানো হচ্ছে । অবশ্য এটা এমনই একটা স্পর্শকাতর ব্যাপার যে এটার সঠিক উপাত্ত আমার জানামতে কোন দেশই প্রকাশ করে না । যাও করে থাকে তা শুধু কথার কথা । ভিতরে ভিতরে ভয়াবহ ব্যাপার থাকে । আমি যদি ভুল থাকি তাহলে ধরায়া দিবেন ।
আমি একটা কাহিনী বলি, ছোটকালে আব্বার মুখে শুনছি ।
এক রাজার খুব সখ হল দুগ্ধদিঘীর । তো তার উজির-নাজির সবাইকে জানাতে বলল যে এই বছর রাজ্যের সব কর মাফ । বিনিময়ে সবাই গরু ছাগল, ভেড়া যে যেভাবে পারে দুধ দিয়ে একটা দিঘী প্রস্তুত করবে , আাগামী বছর তিনি তা দর্শন করবেন ।
তো যা বলা তাই কাজ , রাজ্যে ঢোল পিটিয়ে বলা হল আর সবাই সেই মোতাবেক প্রথমে খুশি হলেও পরে ধীরে ধীরে ব্যাপারটা বুঝল এত সহজ না ।
তখন প্রত্যেকই চিন্তা করতে থাকল যে আমি যদি ১ মগ পানি ঢালি তাহলে কিছু যায় আসে না । কারণ সবাই তো দুধই ঢালছে !
তো সে দিনক্ষণে আসল বছর ঘুরে , রাজা দিঘীর সামনে হাজির । কিন্তু কই দুধের সাগর ? এটা তো সাধারণ ঘোলা পানি !!! .. পানির থেকেও খারাপ !!
তো শানে নযূল হল প্রত্যেক দেশের মটো থাকে প্রতিরক্ষা খাতে যে প্রতিবেশীর আক্রমনের প্রতিরোধ হিসেবে । সবাই মনে করে যে সে আক্রমনের মুখে পড়তে পারে এতে করে .... কোল্ড ওয়ার শুরু হয় ।
ঠান্ডা যুদ্ধ শেষ হলেও বাস্তব হল এটা কখনো শেষ হবার নয় ।
এটা পৃথিবী যতদিন থাকবে ততদিন প্রতিরক্ষার নামে সামরিক বাহিনী প্রস্তুত থাকবে ।
এখন অনেক তো গেজাইলাম , মূল টপিকে যাই ।
আমাদের চারপাশে বন্ধু শত্রুর হিসাব করলে , ভারত ও বার্মাই পাওয়া যায় সর্ব প্রথম ।
যদি যুদ্ধ লাইগা যায় ...
ভারত: তুলনায় প্রচুর শক্তিশালী একটা অসম যুদ্ধ হবে । তাদের লড়তে গেলে তাদের সম পর্যায়ে যেতে হবে আর তার জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী অর্থনীতি ।
আমি কি ঠিক কইছি কিনা ?
জার্মান , অস্ট্রিয়া দুইটা যুদ্ধ করে থাপ্পড় খেয়ে তবুও সোজা ! জাপান পারমানবিক উষ্টা খাওয়ার পরেও শক্তিশালী, ইসরাইল একটা বেদুইন জাতির মত থেকে উথ্থান, চীন যে দেশ চীনা ডাইনেস্টীর মত কলহের পরেও আর জাপানের বিভীষিকাময় ২য় মহাযুদ্ধের অত্যাচারের মধ্যেও সুপার পাওয়ার !
সুতরাং বাংলাদেশ কেন নয় ???
শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতি্ও একটা জরুরী মাধ্যম । ভাইবেন না যে আমি শুধু আওমী কে বুঝাচ্ছি । লোল ্ আমি বিম্পি, জামাত এরশাদ এইগুলা শুদ্ধা বলতেছি তারা নিজেরাই খাইয়া কুল পায় না, দেশকে কি দিবে ! ভারতের তাবেদারী করেও ১০০ বছরের টার্গেট প্রনয়ন করা যায় না আর সৌদীর তাবেদারী করেও রাশিয়ান , চীন , আম্রিকা কারউ না । দেশের চিন্তা আগে ।
আজ যদি বার্মা ইসরাইলী , তুর্কী আম্রিকা, রাশিয়ান ,চীন বা ভারত সীমান্তে হত (যদি তারা চায় ) ........ তাহলে তারা নিজেরাই মার্চ কইরা বার্মা ঢুইকা শান্তির নাম দিয়া তাদের প্রাপ্য বোঝানোর চেষ্টা করত ! কিন্তু কাজ করত আগে , জাতিসংঘ ডাকত পরে ।
জাতিসংঘকে অবমাননা করছি না কিন্তু ৫ ভেটো -.... এর কারণে জাতিসংঘ আর জাতিসংঘ নাইক্কা । সেখানে সর্দাররাই সুপার ডুপার হিট ।
কিন্তু বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ভঙ্গুর তাই রোহিঙ্গার কেচালে অপরাগ , মেনে নিতেই হয় ।
সুতরাং উপরের কথার শানে নযূল হইল গিয়া ভারতের সাথে আমতা আমতা কইরা কথা না কইয়া স্ট্যান্ডার্ড কথা বলা উচিত আর আমাদের যাতে কোন প্রকার ভুল না হয় সে দিকে খেয়াল রাখা উচিত । কারণ তাদের টার্গেটই থাকবে একটা ভুল নিয়া ঝামেলা পাকানোর ।
আর তাদের শাসানোর বেশ কয়েকটা পথ খোলা থাকবে তাদের শত্রু ও মিত্র উভয় ভাবের দেশের সাথে দহরম মহরম করা । এর চেয়ে বড় অস্ত্র আর নাইক্কা ।
আর রইল বার্মা ....... এরে টাইট দেওয়ার পথ বাংলাদেশ নিজেই ।
অনেকে আছে বার্মারে গণায় ধরে না !
আমি বলি বাংলাদেশকে গণায় ধরে কয়জন ? শান্তি মিশনে যাওয়া মানে খুব শক্তিশালী কোন দেশ নয় এটাও তেমনি সঠিক ।
বাংলাদেশকে কটাক্ষ করা হচ্ছে না , বুঝানো হচ্ছে ,,,,,,,,......... শত্রুকে কখনো দুবর্ল ভাবতে নাই ।
যারা তা মনে করে তা বড় ভুল ।
মনে সাহস থাকা চাই যেমন , রসদ থাকা চাই তেমন । কিন্তু জনবল বা রসদ শেষ কথা না । প্রযুক্তও খুব জরুরী বর্তমান যুগে ।
হয়ত ইউরো ফাইটার হাতের থেকে মুখের কথা চলে বেশী ।
মানে কন্ট্রোল প্যানেল কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তায় চলে তবে অবশ্যই মানুষের নির্দেশে । কিন্তু মানুষ যদি দক্ষ হয় তাহলে নেনচাং দিয়েও শত্রু ঘায়েল করতে পারে ।
যদি মনে করুন নেনচাং দিয়ে প্রশিক্ষণই করা যায় তাহলে ভুল ।
MYANMAR
Myanmar Air Force
20 A-5C
1 F-6
25 F-7M
4 G4
10 + 20 MiG-29B/UB, to
be upgraded to SMT
standard
6 F27
2 C-212
6 Cessna 180
2 BN2 MPA
5 PC-6A/B
6 Bell 205
15 Mi-2
8 + 42 Ordered Mi-24, first units based at
Myitkyina
1 Ordered Dhruv
11 Mi-17V
9 SA316B
6 W-3/UT
6 FT-7
12 + 48 Ordered K-8, sale undisclosed by
either country
16 PC-7
10 PC-9
NOTES: Low levels of serviceability and
funding undermine fleet capabilities.
BANGLADESH
Bangladesh Air Force
8 A-5C
23 F-7M/BG
8 MiG-29SE/UB
8 L-39ZA
3 An-32
4 C-130B
19 Mi-17/171
6 Mi-171, attack role
16 UH-1N/Bell 212
4 Bell 206L
6 FT-6
11 T-37B
Bangladesh Army
2 Bell 206L4
4 Cessna 152
1 Grand Caravan
Bangladesh Navy
2 Ordered AW109, due for delivery
in 2011
NOTES: Competition for two MPAs ongoing
but plans for new fighter squadron still
in flux but reported to be finalizing acquisition
of JF-17 and J-10. New defence collaboration
deals with China and South
Korea signed in 2010
কিছু কমু না খালি পড়েন.... রিপোর্টটা ২০১১ এর ।
যদিও অনলাইন রিপোর্ট পুরো পুরি বিশ্বাসযোগ্য না তবে আচঁ হালকা পাবেন ।
Click This Link
বার্মা আর বাংলাদেশের সামরিক ক্ষমতা মোটামোটি কাছাকাছি । বাংলাদেশের জনসংখ্যার + পয়েন্ট ।
এখন কথা হল . নৌ বাহিনী নিয়ে ।
বাংলাদেশের বেশ কয়েকটা শক্তিশালী নেভাল ফ্লিট থাকা উচিত । না হলে সামুদ্রিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ নিজেকে রক্ষা করতে দিক বিদিক হয়ে যাবে ।
বিমান বাহিনীর দরকার নাই কারণ ডগ ফাইটের প্রয়োজন দেখছি না, ভারত বলেন আর বার্মা বলেন । আমাদের নিজের সীমানাকে সুরক্ষিত করা উচিত ।
বিজিবি যদি নাফ নদী পাহাড়া দেয় তো কোস্ট গার্ড আর নেভী বাহিনী কি কাঠাল ভাঙ্গে নাকি ? জাতির কাছে প্রশ্ন ।
বাংলাদেশকে আভ্যন্তরীনভাবে নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে । না হলে হুদা হুদি বিমান কিনা এইটা নিয়া আকাশে পিটি প্যারেড করিলে দেশের কোন লাভ হইবে না ।
স্থল বাহিনীকে তো অন্তত বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়োজিত করা যায় কিন্তু বিমান বাহিনীকে হার কিউলিস টাইপের কাজ ছাড়া মানে বিপর্যয়ে ত্রান কর্মকান্ড ছাড়া সারা বছর পরিষ্কার করা ছাড়া কিছুই দেখি না । যেখান নৌ বাহিনীক ২৪ ঘন্টা চোখ কান খুলা রাখতে হয় ।
অনেকে ভাসমান রণতরীর কথা বলবেন , সেটার পক্ষে নাই কারণ আমাদের বিমান বহর স্থল এ কার্পেট বোম্বিং বা ডগ ফাইট এর জন্য ই যথেষ্ট নয় সেখানে ভাসমান বিমান বহর অপ্রয়োজনীয় ।
সেই জায়গায় নেভীর জন্য কয়েকটা হেলিকপ্টার । তয় ভাবিয়েন না আমি বিমান বাহিনী হিসেবে ধরেছি ।
এটা হেলিকপ্টার এর দাবীদার ও ব্যবহার কারী নেভীরই ।
আর বেশ কয়েকটা Guided Missile ফ্রিগেট খুব দরকার + কোস্ট গার্ডদেরও ছোট খাট ফ্রিগেট বা Patrol boat দান করিলে ক্ষতি দেখছি না ।
অন্তত দেশের সমুদ্র সীমান্ত ভারতীয় ও বার্মার আগ্রাসন থেকে রক্ষা পাবে । তালপট্টির মত দ্বীপ সহজে ভারতের দখলে যাবে না ।
স্থল দিক দিয়ে হলে আমাদের জনগনও সহায়তা করতে পারবে , অন্তত প্রতিরোধ কিন্তু সমুদ্রে আমাদের নৌ বাহিনী অনেক অসহায় ।
এটা বাদ দেই সাধারণ চোরাচালানী প্রতিরোধ করতেই আমাদের হিম শিম খেতে হয় । যেখানে সোমালিয়ার তান্ডবে নিজ নিজ দেশের নেভী নিয়োজিত রাখে সেখানে আমরা নিজেরাই অসহায় হয়ে যাই ।
তাদের স্বল্প সংখ্যাক নৌ-যান নিয়ে ছোট্ট কিন্তু যথেষ্ট বড় সমুদ্র রক্ষা বড়ই কঠিন ।
শান্তিতে আমরা, সমরে আমরা,
জল রাশির অতন্দ্র প্রহরী তারা । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।