I realized it doesn't really matter whether I exist or not. নিড ফর স্পিড মোস্ট ওয়ান্টেড নিয়ে আগের পোস্টের শেষের দিকে বন্ধুদের সঙ্গে মাল্টিপ্লেয়ার (এমপি) গেমিং নিয়ে বলেছিলাম। এই পোস্টে বলবো এমপি গেমিং না করলে আপনি কি চরম উত্তেজনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
সাধারণত গেমগুলো সিঙ্গেল প্লেয়ার মোডের জন্য তৈরি করা হলেও বর্তমানে বের হওয়া গেমগুলোর একটি বড় উল্লেখযোগ্য দিকই হচ্ছে মাল্টিপ্লেয়ার মোড। কল অফ ডিউটি সিরিজের বিখ্যাত গেমগুলো সিঙ্গেল প্লেয়ার মোডের জন্য যতোটা না জনপ্রিয়, তারচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এর এক্সাইটিং মাল্টিপ্লেয়ার মোডের জন্য।
তেমন কোনো গেমার ফ্রেন্ড না থাকায় আর ইন্টারনেট স্পিডের দূরবস্থার কারণে মাল্টিপ্লেয়ার গেমিং তেমন না হলেও অবশেষে গত সপ্তাহে খোঁজ পেলাম এক বন্ধু গত এক বছর ধরে তার বাসায় গেমিং চালিয়ে আসছে।
আমার প্রায় আড়াই মাস বন্ধ ঘুমিয়ে কাটিয়ে বন্ধের শেষের দিন এসে এই খবর পেয়ে অত্যন্ত হতাশ হলাম। কিন্তু তারপরও গরম অগ্রাহ্য করে ৯ তারিখ ল্যাপটপ নিয়ে পৌঁছে গেলাম মাল্টিপ্লেয়ার গেমিং-এর উদ্দেশ্যে।
ওয়্যারলেস ল্যানে কানেক্ট করে অবশেষে খেললাম কল অফ ডিউটি ৪, এনএফএস মোস্ট ওয়ান্টেড এবং কাউন্টার স্ট্রাইক। সিএস ছাড়া অন্য গেমগুলো আগেও খেললেও সেদিন যেন পুরনো গেমগুলোর মধ্যেই নতুন এক এক্সাইটমেন্ট খুঁজে পেলাম।
কল অফ ডিউটি ৪ মডার্ন ওয়ারফেয়ার
এই গেমের নাম শুনেননি এমন গেমারের এখনো জন্ম হয়নি।
আর খেলেননি এমন গেমারের স্রেফ কপাল খারাপ। তবে এর মাল্টিপ্লেয়ার মোড যারা খেলেননি তারা এখনও মিস করছেন। বিশেষ করে পাশাপাশি বন্ধুদের সঙ্গে বসে দুই টিমে ভাগ হয়ে যুদ্ধ করার উত্তেজনা যতোটা ভাবা যায় তারচেয়েও কয়েকগুণ বেশি। এখানে বিভিন্ন ধরনের গেমিং মোড আছে। যেমন দু'দলে ভাগ হয়ে, অথবা যে যাকে পায় তাকেই কিল করে ইত্যাদি।
প্রতিটি কিলের জন্য রয়েছে পয়েন্ট। নির্দিষ্ট সময় শেষে যে টিমের অথবা যার সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট সেই জয়ী।
নিড ফর স্পিড মোস্ট ওয়ান্টেড
এখানে মাল্টিপ্লেয়ারে আলাদা কোনো ফিচার নেই। তবে এখানে উপভোগ করার মতো বিষয় হচ্ছে বন্ধুদের সঙ্গে পাল্লা দেয়া। অনলাইনের চেয়েও বেশি মজা পাওয়া যায় পাশাপাশি বা এক রুমে বসে খেলতে পারলে।
আমরা খেলার সময় একটু মজা করার জন্য সবচেয়ে স্লো স্পিডের গাড়িগুলো নিয়ে চারজনই রেস লাগিয়েছিলাম। ফলাফল ছিল অনেকটা গাড়ির কুচকাওয়াজের মতো।
কাউন্টার স্ট্রাইক
এই একটা গেম তৈরিই হয়েছে মাল্টিপ্লেয়ার গেমিং-এর জন্য। একা একা বট-এর সঙ্গে প্র্যাকটিস করা গেলেও এর মূল মজা মাল্টিপ্লেয়ার-এ। এটি অনেকটা কল অফ ডিউটির মতো হলেও এর পার্থক্য হচ্ছে এটি অনেকটা স্ট্র্যাটেজিক গেম।
অর্থাৎ, কড-এর মতো উড়াধূরা গুলি ছুঁড়ে সুবিধে করতে পারবেন না। টিম-এর সঙ্গে প্ল্যান করে ধীরে সুস্থে শত্রুর দিকে এগোতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে এক গুলিতে (হেডশট) শত্রুকে ধরাশায়ী করতে।
কাউন্টার স্ট্রাইক খেলে আমার বেশ পছন্দ হয়েছে। শিগগিরই এ নিয়ে একটি বিস্তারিত রিভিউ লিখবো আশা করছি। যারা আগ্রহী তারা অপেক্ষায় থাকুন।
গেমারদের কথা
আমি ছাড়া বাকি তিনজন, রাহাত, শোভন আর সাকিব ওরা সবাই এক্সপার্ট গেমার। রাহাত হচ্ছে ফিফা ১১-এ বস, শোভন কাউন্টার স্ট্রাইকে আর সাকিব কল অফ ডিউটিতে। কডে সাকিবকে দেখাই যায় না। ওর একটা কঠিন স্ট্র্যাটেজি হচ্ছে সে আপনার পেছন পেছন ঘুরবে এবং প্রত্যেকবার ছুরি দিয়ে ধরাশায়ী করবে। ওর মতো মিলি অ্যাকশন বোধহয় কম মানুষই পারবেন।
শোভনের ব্যাপারে আরেকটা মজার বিষয় হচ্ছে ওর ল্যাপটপ না থাকায় ও বাসা থেকে পিসি নিয়ে আসে। পুরো সিপিইউ হাতে করে কীভাবে আনে এটা একটা বড় রকমের চিন্তার বিষয়।
দেখুন গেমারদের (বড় করে এখানে )
বাম থেকে শোভন, রাহাত, সাকিব আর ক্যামেরার পেছনে আমি।
তবে আমার খুব একটা গেম খেলা হয় না। এর প্রথম কারণ হচ্ছে, গেমের জন্য পিসি আপগ্রেড করার মতো সামর্থ্য নেই।
হিসেব করে দেখেছি প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা লাগে মিনিমাম যাতে করে বর্তমান গেমগুলো "লো সেটিংস"-এ খেলা সম্ভব হয়। আর আগামী গেমগুলোর কথা বাদই দিলাম। গেমিং-এর জন্য এতো টাকা খরচ করার লাক্সারি না থাকায় ক্রাইসিস, মাস ইফেক্ট-এর মতো দারুণ সব গেমের গেমপ্লে ইউটিউবে দেখেই আপাতত সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।
যাই হোক, ২০০৫ বা ঐ সময়ের বের হওয়া গেমগুলো কম্পিউটারে চলে। এ জন্য ফার ক্রাই, মোস্ট ওয়ান্টেড, কল অফ ডিউটি ৪ ইত্যাদি মোটামুটি গ্রাফিক্সের কিছু গেম খেলার সুযোগ পেয়েছি।
কিন্তু ইন্টারনেটের দূরবস্থার কারণে কখনো মাল্টিপ্লেয়ার গেমিং-এর সুযোগ হয়নি। এছাড়াও বেশিরভাগ গেমই পাইরেটেড বিধায় কীভাবে অন্যান্য সার্ভারে কানেক্ট করতে হয় তা জানতাম না। গেম রেঞ্জার দিয়ে মোস্ট ওয়ান্টেড কয়েকবার খেললেও হাই পিং-এর কারণে খুব একটা মজা পাইনি। গেমের মধ্যে গাড়িগুলো ভূতের মতো লাফালাফি করতো কেন যেন।
পুরনো দিনের, অথবা মোটামুটি গ্রাফিক্স কার্ড ছাড়া অনবোর্ড/ইন্টিগ্রেটেড ইনটেল গ্রাফিক্স দিয়ে খেলা সম্ভব এমন মাল্টিপ্লেয়ার গেমিং-এর এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করুন এখনই।
পূর্বে আংশিক প্রকাশিতঃ Days As They Go By (2) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।