আমি একজন সাধারন মানুষ। জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দেহে সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন
-জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দেহে সফলভাবে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে তিনি রিকভারি ইউনিটে রয়েছেন।
নিউইয়র্কের বেলবিউ হাসপাতালে সার্জিক্যাল অনকোলজি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সার্জন ড. জর্জ মিলারের উদ্বৃতি দিয়ে অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজাহারুল ইসলাম সর্বশেষ একথা জানিয়েছন।
সার্জন জর্জ মিলার জানান, হুমায়ূন আহমেদের কোলনে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে।
এছাড়াও সুখবর হলো- ক্যান্সার ছড়ানো লিভারের তিনটি টিউমারকেই ‘লোকালাইজ অ্যাম্বুলাইজেশন’ এর মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে।
সর্বাধুনিক এ চিকিৎসা পদ্ধতি হলো সুঁইয়ের মাধ্যমে টিউমারে ইউরেনিয়াম প্রবেশ করিয়ে টিউমারকে ধ্বংস করা।
অপারেশনে জর্জ মিলারকে সহযোগিতা করেন ড. ড্যানিয়েল ও ড. উইলিয়াম।
অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী জানান, রিকভারি ইউনিট থেকে বুধবার ও বৃহস্পতিবার টানা ৪৮ ঘণ্টা পোস্ট অপারেটিভ ইউনিটে রাখা হবে। পরে সেখান থেকে হুমায়ূন আহমেদকে ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রায় সপ্তাহখানেক তাকে হাসপাতালে থাকতে হবে বলেও জানান মাজহারুল।
উল্লেখ্য, হুমায়ূন আহমেদের ক্যান্সার চিকিৎসায় দীর্ঘ সাড়ে ৬ ঘণ্টা সময় নিয়ে এই অপারেশন করা হয়েছে। অপারেশন শুরু হয় মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সময় সকাল ৯টা ২২ মিনিটে।
লেখকের পারিবারিক একটি সূত্র জানিয়েছে, অপারেশন থিয়েটারে ঢোকার আগে দেশের সকল মানুষের কাছে দোয়া চান হুমায়ূন আহমেদ। এ সময় হাসপাতালে লেখক ড. জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত ও তার স্ত্রী পূরবী দত্ত হুমায়ূনের বাল্য বন্ধু নুরুজ্জামান মণ্ডল ও মুক্তধারার বিশ্বজিৎ সাহা উপস্থিত ছিলেন।
লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন সার্বক্ষণিক হুমায়ুন আহমেদের পাশে রয়েছেন।
বেলভ্যু হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আরো অন্তত সাতদিন সেখানে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে হুমায়ূনকে। হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার পরও কিছুদিন বিভিন্ন ধরনের থেরাপি নিতে হবে।
বিশ্বজিৎ জানান, হুমায়ূনের শাশুড়ি সংসদ সদস্যা তহুরা আলীও নিউইয়র্কে এসেছেন। এই সাহিত্যিকের দ্রুত আরোগ্য কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তার স্ত্রী অভিনেত্রী শাওন।
১৯৪৮ সালে জন্ম নেওয়া হুমায়ূন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই লেখালেখি শুরু করে সাহিত্য সমালোচকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেন। তারপর ধীরে ধীরে দেশের জনপ্রিয়তম কথাসাহিত্যিকে পরিণত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের এই শিক্ষক। লেখালেখিতে ব্যস্ত হয়ে ওঠার পর অধ্যাপনা ছেড়ে দেন তিনি।
টিভিতে নাটক লিখে ও নিদের্শনা দেওয়ার পর চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেন হুমায়ূন। এ জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন।
ক্যান্সার ধরা পড়ার পর গত সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কের মেমোরিয়াল স্লোয়ান-কেটরিং ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসা নিতে শুরু করেন একুশে ও বাংলা একাডেমী পদকে ভূষিত এই লেখক।
দুই পর্বে মোট ১২টি কেমো থেরাপি নেওয়ার পর তার এমআরআই করা হয়। এর প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। সেখানের বেলভ্যু হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হবে।
অস্ত্রোচপারের আগে পরিবার-আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে গত মাসে দুই সপ্তাহের জন্য দেশে আসেন হুমায়ূন।
গরম গরম খবর পেতে ফেসবুক পেজটি লাইক দিন.. ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।