বিশ্বায়নের এ যুগে এবং ইন্টারনেটের কল্যাণে পৃথিবীর সবকিছুতে লেগেছে অনলাইনের ছোঁয়া। এক্ষেত্রে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যও পিছিয়ে নেই। বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকটাই ইন্টারনেটনির্ভর হয়ে পড়ছে। আধুনিক সমাজব্যবস্থাকে বলা হয়, তথ্যভিত্তিক সমাজ। একটি দেশের জন্য এই তথ্য খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যয়বহুল একটি ব্যানার।
উন্নত বিশ্বের প্রায় সব দেশে সনাতন ব্যবসা পদ্ধতির বদলে ই-কমার্স হয়ে উঠেছে ব্যবসার একমাত্র মাধ্যম। এর প্রধান কারণ, ই-কমার্স সবচেয়ে দ্রুতগতির ব্যবসা পরিচালনার একটি মাধ্যম। এ পদ্ধতিতে যে কোনো ব্যবসায়ী তার ব্যবসার পণ্যকে পৃথিবীর সব দেশে পৌঁছে দিতে পারেন। বিশ্ববাজারে নিজ অবস্থান ধরে রাখার জন্য ই-কমার্স ছাড়া আধুনিক ব্যবসা নেই বললে ভুল হবে না।
ই-কমার্স হলো একমাত্র মাধ্যম যার মাধ্যমে আপনার ব্যবসাকে খুব দ্রুত বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে পারেন। ধারণা করা হয়, পৃথিবীর সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য এক সময়ই-কমার্সের মাধ্যমেই পরিচালিত হবে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এর ব্যবহার। বাংলাদেশে ই-কমার্সের প্রভাব এখনো পুরোপুরি পড়েনি। তবে এগিয়ে চলছে এর অগ্রযাত্রা।
বাংলাদেশের অনেক ব্যবসাই এখন প্রচলিত পদ্ধতির পাশাপাশি ই-কমার্সের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের উচিত দ্রুত এ প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তন ঘটিয়ে সবাইকে ই-কমার্সের আওতায় নিয়ে আসা। অন্যথায় বিশ্ববাজারে আমরা ঠাঁই পাব না, তথা বাজার হারাব। বাংলাদেশের গার্মেন্টসশিল্পসহ বেশকিছু পণ্য এখনো বিশ্ববাজারে খুবই সমাদৃত। এ সেক্টরকে অতি দ্রুত ই-কর্মাসের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন, না হলে বিশ্ববাজারে নিজ অবস্থানে টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।
ই-কমার্সের আওতায় সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য চালালে বাইরের দেশের লোকেরা খুব সহজে নিজেদের দেশের পণ্যের সঙ্গে অন্যান্য দেশের তুলনা করতে পারবে। এ ছাড়া স্থানীয় বাজারের জন্য ই-কমার্সের ব্যাপক প্রচলন প্রয়োজন। এতে আমরা খুব সহজে ঘরে বসে বিস্তর বিবেচনা করে সবকিছু কেনাকাটা করতে পারব। সর্বোপরি বাংলাদেশে ই-কমার্সের প্রচলন করার জন্য সরকারি এবং স্থানীয় উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।