আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মজার কাহিনী

বিচিত্র এ পৃথিবীর কী চিত্র আমরা জানি আর কী চিত্র জানি না, তাও আমরা জানি না । জ্ঞানের কোন শেষ নাই, বিশেষ কোন দেশ নাই, তাই চিন্তার লেশ নাই । জ্ঞানের রাজ্যের রসালো সব তথ্য জানাতে আমি আছি আপনাদেরই কাছাকাছি । ১/ ১৮৪৬ সালে কংগ্রেসে নির্বাচনের প্রাক্কালে আব্রাহাম লিংকন পিটার কার্টরাইট কর্তৃক পরিচালিত একটি প্রার্থনা সভায় যোগদান করেন । প্রার্থনার একপর্যায়ে কার্টরাইট উপস্থিত প্রার্থনাকারীদের মধ্যে যারা স্বর্গে যেতে চান তাঁদের উঠে দাঁড়াতে বললেন ।

লিংকন ছাড়া সবাই উঠে দাঁড়ালেন । অতঃপর যাঁরা নরকে যেতে চান না তাঁদের তিনি উঠে দাঁড়াতে বললে এবারও লিংকন ঠায় বসে রইলেন। এটা লক্ষ করে কার্টরাইট বলতে লাগলেন, ‘আমি আশ্চর্যান্বিত । মি. লিংকন যখন স্বর্গেও যেতে চান না আবার নরক থেকেও পরিত্রাণ পেতে চান না, তাহলে তিনি আমাদের বলবেন কি, তিনি কোথায় যেতে চান ?’ লিংকন আস্তে উঠে দাঁড়িয়ে জবাব দিলেন, ‘আমি কংগ্রেসে যেতে চাইছি । ’ ২/ রবীন্দ্রনাথ তাঁর পার্শ্বচর, অন্তরঙ্গ ও ভক্তদের সঙ্গে কথাবার্তায় যেমন হাস্য-পরিহাস করতেন, তেমনি মজা করার জন্য মাঝেমধ্যে তাঁদের ধাঁধাও ধরতেন ।

একবার তিনি এক ভক্তকে বললেন, ‘আচ্ছা, তিন অক্ষরের এমন একটা শব্দের নাম করো, যার আদ্যক্ষরটা ছেড়ে দিলে ‘কান’ থাকে না; দ্বিতীয় অক্ষরটা ছেড়ে দিলে ‘মান’ থাকে না; আর সব ছেড়ে দিলে প্রাণ থাকে না । ’ ধাঁধা শুনে ভক্তটি তো আকাশ-পাতাল ভাবতে লাগলেন । কিছুতেই আর শব্দটি বের করতে পারলেন না । অবশেষে কবিকে বললেন, ‘আপনিই বলে দিন । ’ কবি বললেন, ‘‘শব্দটা হচ্ছে ‘কামান’’।

এবার আমার প্রশ্নের সঙ্গে মিলিয়ে দেখো । প্রথম অক্ষর ‘কা’ ছেড়ে দিলে কান থাকে না, থাকে মান । দ্বিতীয় অক্ষর ‘মা’ ছেড়ে দিলে মান থাকে না, থাকে কান । আর তিনটি অক্ষর অর্থাৎ ‘কামান’ ছাড়লে কি কারও প্রাণ থাকে ? বলো, থাকে প্রাণ ?’ ৩/ হামদার্দ এর প্রতিষ্ঠাতা হেকিম আজমল খানের চিকিৎসক হিসেবে খুব নাম ডাক ছিল । তিনি নাকি রোগীকে না দেখেই শুধু রোগীর প্রশ্রাব দেখেই রোগ নির্ণয় করতে পারতেন ।

এ কথা শুনে একবার এক ব্যক্তি পরীক্ষা করার জন্য নিজের প্রশ্রাব না পাঠিয়ে উটের প্রশ্রাব পাঠালেন রোগ নির্ণয়ের জন্য । আজমল খান প্রশ্রাব পরীক্ষা করে ব্যবস্থাপত্র দিলেন-এই প্রশ্রাবের মালিককে আরও বেশী করে খড় এবং ভুষি খেতে হবে । ৪/ নামি চিত্রকর হেনরি মোশের বিমূর্ত ছবি লা বের প্রদর্শন চলছিল নিউ ইয়র্কের একটি জাদুঘরে । প্রদর্শনীতেলোকে ভিড় করে দেখতে এল ছবিটি। সবাই খুব প্রশংসা করলেন ।

প্রদর্শনীর সাতচল্লিশ দিনের মাথায় শিল্পী নিজে আসলেন প্রদর্শনী দেখতে । জাদুঘরের কিউরেটর জানাল- আপনার ছবিটির সবাই খুব প্রশংসা করছে । কিন্তু শিল্পী মোটেও খুশি হলেন না । মুখ গোমড়া করে জানতে চাইলেন-ছবিটা কি সেই প্রথম থেকেই এখাবে উল্টা হয়ে ঝুলছে । ৫/ সকাল বেলা কাজের লোক বিজ্ঞানী নিউটনের হাতে একটি ডিম দিয়ে বলল-স্যার, আমি একটু বাজারে যাচ্ছি।

চুলায় পানি ফুটতে দিয়েছি । ফুটে গেলে তাতে ডিমটা ছেড়ে দিয়ে সিদ্ধ করে নেবেন । একটু পর কাজের লোক ফিরে এসে দেখল ডিমটি নিউটনের হাতেই রয়ে গেছে, আর চুলায় সিদ্ধ হচ্ছে নিউটনের হাত ঘড়িটি । ৬/ একটা মজার তথ্য আমরা অনেকেই কিন্তু জানি না । কুমিরের বাচ্চা ছেলে না মেয়ে হবে সেটা নির্ভর করে কত তাপমাত্রায় ডিমগুলো তা দেয়া হচ্ছে তার উপর ।

তাপমাত্রা যদি ৯০ থেকে ৯৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস হয় তবে বাচ্চাটি হবে ছেলে আর তাপমাত্রা যদি ৮২ থেকে ৮৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস হয় তাহলে হবে মেয়ে বাচ্চা । ৭/ একজন অন্ধ বালক । নিউইয়র্কের একটা রাস্তার ধারে একটা সুন্দর ভবনের বাইরের সিঁড়িতে রোদের মধ্যে বসে আছে । তার হাতে তার হ্যাটটা উল্টো করে ধরা । তার আরেক হাতে একটা শক্ত কাগজের টুকরায় লেখা, ‘আমি অন্ধ, আমাকে সাহায্য করুন, প্লিজ ।

’ তার টুপিতে অল্প কয়টা পয়সা পড়েছে । লোকজন আসছে, যাচ্ছে । বেশির ভাগই তাকে সাহায্য না করেই পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে । একজন লোক কিন্তু ছেলেটার পাশে দাঁড়ালেন । তিনি পকেট থেকে খুচরা পয়সা বের করে ছেলেটার টুপিতে রাখলেন ।

দেখলেন, ছেলেটা খুব কম পয়সাই এ পর্যন্ত অর্জন করতে পেরেছে । তিনি ছেলেটার হাতের কার্ডটার দিকে তাকালেন । দেখলেন লেখা, ‘আমি অন্ধ, আমাকে সাহায্য করুন, প্লিজ । ’ তিনি তখন ওই কাগজটা ছেলেটার হাত থেকে নিলেন । কাগজের উল্টো পিঠে তিনি নতুন দুটো বাক্য লিখলেন ।

তারপর ছেলেটার হাতে সেই কাগজটা ধরিয়ে দিয়ে তিনি চলে গেলেন । দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছেলেটা লক্ষ করল, এরপর দ্রুত তার টুপিতে টাকা-পয়সা পড়ছে । খুব শিগগির ছেলেটার টুপি ভরে গেল । বিকেলবেলা । অন্ধ ছেলেটা টের পেল, সেই লোকটার পায়ের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে, যে কিনা তার সাইনবোর্ডটার কথা বদলে দিয়েছিল ।

সেই ভদ্রলোকও তার ওই কীর্তির ফলটা কী দাঁড়াল, তা দেখতে এসেছেন। এসে দেখলেন, হ্যাঁ, তার নতুন বাণীতে কাজ হয়েছে । ছেলেটার টুপি টাকায় গেছে ভরে । অন্ধ ছেলেটা বলল, ‘আপনি কি সেই ভদ্রলোক, যিনি আমার হাতের কার্ডের লেখা বদলে দিয়েছিলেন ?’ ‘হ্যাঁ। আমি সেই লোক ।

’ ‘আচ্ছা, আপনি কী করলেন যে আমার টুপি ভরে উঠল ?’ ‘আমি কিছুই করিনি । শুধু সত্যটা প্রকাশ করেছি । ’ ‘মানে কী ?’ ‘মানে কিছুই না । তোমার কার্ডে যা লেখা ছিল, সেটাই আমি একটু অন্যভাবে প্রকাশ করেছিলাম । আমি লিখেছিলাম, ‘আজকের দিনটা খুব সুন্দর ।

কিন্তু আমি তা দেখতে পাচ্ছি না । ’ ‘তাতেই এত পয়সা এল ?’ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছেলেটা বিস্মিত ! ‘হ্যাঁ । তোমার কথাটা ছিল, তুমি অন্ধ । আমিও তা-ই লিখেছি । কিন্তু অন্য রকম করে ।

আমি লিখেছি যে আজকের দিনটা সুন্দর, কিন্তু তুমি তা দেখতে পাচ্ছ না । এতে নতুন কী যুক্ত হলো ? এক. আমরা ব্যাপারটা শুরু করলাম ইতিবাচকভাবে । আজকের দিনটা সুন্দর, এই সুন্দর কথাটা অন্যের সঙ্গে শেয়ার করছি, যাঁরা জানছেন, তাঁদেরও মন ভালো হয়ে যাচ্ছে । তারপরের কথাটা তোমারই কথা যে তুমি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী । তুমি এটা দেখতে পাচ্ছ না ।

তাতে যাঁরা এটা পড়ছেন, তাঁরা বুঝতে পারলেন, তাঁরা কত সৌভাগ্যবান । আমাদের প্রত্যেকেরই নিশ্চয়ই এক শ কারণ আছে মন ভার করে থাকার । কিন্তু ভেবে দেখো, এক হাজারটা কারণ আমাদের প্রত্যেকের আছে, মনটা ভালো রাখার । আমরা প্রত্যেকেই কত সৌভাগ্যবান । শোনো, অতীতের দিকে তাকাবে, কোনো দুঃখবোধ ছাড়াই।

বর্তমানকে গ্রহণ করবে সাহসিকতার সঙ্গে । ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হবে আত্মবিশ্বাস নিয়ে । ’ ( তথ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট ) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.