আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রিজার্ভে নতুন মাইলফলক

প্রবাসীদের পাঠানো অর্থই (রেমিটেন্স) এতে মূল ভূমিকা রেখেছে বলে জানিয়েছেন  বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ (মঙ্গলবার) সকালে রিজার্ভ আমাদের ইতিহাসে প্রথম বারের মতো ১৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। ”
মঙ্গলবার দিন শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫০৭ কোটি ডলার।
আমদানি ব্যয় কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রকল্প সাহায্যও রিজার্ভের বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে বলে জানান তিনি। তবে মূল অবদান রেমিটেন্স।


গত এপ্রিল মাসে প্রবাসীরা ১১৯ কোটি টাকা দেশে পাঠিয়েছেন।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে ১২ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি বলে জানান ছাইদুর রহমান।
এদিকে বাজারে ডলারের সরবরাহ বাড়ায় ডলারের বিপরীতে টাকা শক্তিশালী হচ্ছে। প্রতিদিনই কমছে ডলারের দর।


মঙ্গলবার আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার ৭৭ টাকা ৯৩ পয়সায় বিক্রি হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে এই ডলারের দর বাড়তে বাড়তে এক পর্যায়ে ৮৫ টাকায় উঠেছিলো।
রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়ের ইতিবাচক ধারা ধরে রাখতে প্রায় প্রতিদিনই ডলার কিনছে বাংলাদেশ। তারপরও ডলারের দর কমছে।
ছাইদুর রহমান বলেন, অর্থবছরের দশ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) বাজার থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৪৭৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার কিনেছে।


“চলতি সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ৭৫ কোটি ডলার আমদানি বিল পরিশোধ করতে হবে। তারপরও রিজার্ভ ১৪ বিলিয়ন ডলারের ওপরে অবস্থান করবে। ”
আকুর দেনা পরিশোধের পর আগে কখনো রিজার্ভ ১৪ বিলিয়ন ডলারের ওপরে অবস্থান করেনি বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কর্মকর্তা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ১২ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৬ শতাংশ বেশি।
চলতি বছরের প্রথম চার মাসে (জানুয়ারি-এপ্রিল) গত বছরের একই সময়ের চেয়ে রেমিটেন্স বেড়েছে ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।


২০১২ সালে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১ হাজার ৪২০ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের চেয়ে ২১ শতাংশ বেশি। দেশের ইতিহাসে এক বছরে এতো রেমিটেন্স আগে কখনো আসেনি।
২০১১-১২ অর্থবছরের পুরো সময়ে (১২ মাসে) ১২ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল। যা ছিল আগের অর্থবছরের চেয়ে ১০ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি।
২০১০-১১ অর্থবছরে এসেছিল ১১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।