সকালের স্নিগ্ধ বাতাস মনে দেয় শান্তি, দুপুরের সূর্যটা মিষ্টি করে হাসে, রাত্রের আকাশে চাদ মামা দেখা দেই আকাশটা তখনই সকলের চোখে পরে যাই......... কুষ্টিয়া:
বর এলেন হেলিকপ্টারে। কনে ১৪ বছরের কিশোরী ইসমত আরাকে বিয়ে করে আবার উড়ে গেলেন। এ রাজসিক বাল্য বিয়েতে অতিথি ছিলেন রাজনীতিক ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা!
শুক্রবার কুষ্টিয়ার খোকসায় এ রাজসিক বাল্যবিয়ে হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের ছেলের সঙ্গে পৌর কাউন্সিলরের মেয়ের বিয়ে হলো রাষ্ট্রীয় আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী বাংলানিউজকে জানান, চেয়ারম্যানের ছেলের বিয়ে বলে কথা।
বয়সের কোনো বাধা নেই। কেউ কিছু বলারও সাহস পায়নি। স্থানীয় থানা পুলিশের উপস্থিতিতে বিয়েটি সম্পন্ন হলেও অসম এই বিয়েকে মেনে নিতে পারেনি এ এলাকার বিবেকবান মানুষ।
দুপুর ২টায় খোকসা মাঠপাড়া এলাকায় আকাশ থেকে নেমে এলো একটি হেলিকপ্টার। বর খোকসা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আয়ুব আলীর বড় ছেলে তানভীর।
আর কনে একই ইউনিয়নের ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমির উল ইসলামের মেয়ে ইসমত আরা।
একই এলাকায় দুজনের বাড়ি হলেও ছেলের বাবার ইচ্ছায় বিয়েতে হেলিকপ্টারের আয়োজন। এ সময় হেলিকপ্টার দেখতে উৎসুক মানুষের উপচে পড়া ভীড় জমে সেখানে।
কিন্তু মূল বিষয় হলো কনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। জন্ম ১৯৯৭ সালের ১৫ নভেম্বর।
যে কারণে এটি বাল্য বিয়ে।
এ ব্যাপারে খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল হাসান বাংলানিউজকে জানান, এ বিয়েতে তাকেও দাওয়াত করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি যাননি। তবে বাল্যবিয়ে প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক বনমালী ভৌমিক বাংলানিউজকে জানান, খোকসায় বাল্যবিয়ে হচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়ামাত্র খোকসার ইউএনওকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আক্কাস আলী বাংলানিউজকে বলেন, ‘ইউএনও স্যার আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবো’।
এদিকে বর ও কনেপক্ষের বক্তব্য, তাদের ছেলে-মেয়ের বিয়ে বৈধভাবেই হচ্ছে।
জানা গেছে, কনে ইভা খোকসা পাইলট স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। অভিযোগ রয়েছে, ইভার স্কুলের নাম ও বয়স গোপন রেখে বিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সে ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত ৫ম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষায় উপজেলার আল হেলাল বেসরকারি রেজি. প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অংশ নিয়ে তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমির উল ইসলাম তার মেয়ের জন্ম সনদ ১৮ বছর হিসেবে পৌরসভা থেকে গোপনে সংগ্রহ করলেও পৌর চেয়ারম্যান আনোয়ার আহমেদ খান বিষয়টি জানতে পেরে তা ফেরত নেন।
বিস্তারিত
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।